আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদে টানা তিনবারের মতো পুননির্বাচিত হওয়ার পর প্রথমবারের মতো আজ দুপুরে হেলিকপ্টারযোগে ফেনীতে পৌঁছালে তাকে দলের জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারীর নেতৃত্বে দলীয় নেতাকর্মীরা ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। ওবায়দুল কাদেরের আগমন উপলক্ষে সকাল থেকে হেলিপ্যাডস্থল ফেনী ক্যাডেট কলেজের আশপাশে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা তাকে স্বাগত জানাতে মিছিলসহকারে সমবেত হন। সেখানে নেতাকর্মীরা ওবায়দুল কাদেরকে সংবর্ধনা দিলে দুপুর দেড়টার দিকে ফেনী থেকে সড়কপথে তার নিজ এলাকা নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে রওনা দেন। সেখানে তিনি মা-বাবার কবর জিয়ারত করবেন। পরে ফেনী হয়ে নোয়াখালী যাওয়ার পথে সড়কের দুই পাশে দাঁড়িয়ে সাধারণ জনগণ ও নেতাকর্মী ও আওয়ামী লীগ নেতারা ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘আন্দোলনের নামে রাজপথে বিএনপি-জামায়াত নাশকতা করলে মোকাবিলা করা হবে। বিশ্বের কোথাও তত্ত্বাবধায়ক সরকার নেই। এ দেশেও তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর হবে না। সঠিক সময়ে নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠুভাবে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে সরকার হস্তক্ষেপ করবে না।’
বিএনপির নেতৃত্বে যুগপৎ আন্দোলনের কর্মসূচির বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন ‘গতবারও ২৩ দল ছিল। এবার ৩৩ দল। অতি বাম, অতি ডানের মধ্যে প্রগতিশীল আর প্রতিক্রিয়াশীল একসঙ্গে হয়ে গেছে। সব এক কাতারে একাকার। লক্ষ্য কী? শেখ হাসিনাকে হটানো! বিএনপির এই ষড়যন্ত্র, নৈরাজ্য ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন পয়েন্টে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা সতর্ক অবস্থানে থাকবে। তারা বিভিন্ন দিক থেকে মিছিল নিয়ে এসে স্পটে শান্তি সমাবেশ করবে।
এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী এমপি, জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ উল হাসান, পুলিশ সুপার জাকির হাসান, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি পিপি হাফেজ আহমদসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।