বিশেষ প্রতিনিধি মোঃ ওয়াজেদ আলীঃ জনাব শাহ মিজান শাফিউর রহমান, বিপিএম(বার), পিপিএম-সেবা, অতিরিক্ত ডিআইজি (অ্যাডমিন অ্যান্ড ফিন্যান্স), রংপুর রেঞ্জ, বাংলাদেশ পুলিশ, রংপুর মহোদয় ডিআইজি হিসেবে পদোন্নতি প্রাপ্ত হওয়ায় ফুলেল শুভেচ্ছা জানালেন জনাব দেবদাস ভট্টাচার্য্য বিপিএম, ডিআইজি, রংপুর রেঞ্জ, বাংলাদেশ পুলিশ, রংপুর মহোদয়।
এছাড়াও শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান বিভিন্ন জেলা/ইউনিটে কর্মরত উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাগণ।
গতকাল বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে তার পদোন্নতির কথা জানিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
উত্তর জনপদের প্রিয় মুখ নাটোর জেলার লালপুর উপজেলার কৃতি সন্তান
নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের নেতা,
কামরাঙ্গীরচর থানা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি, মতিঝিল থানা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক,
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জহুরুল হক হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক,
হাফিজ নাজনীন ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা, লালপুর ও বাগাতিপাড়া উপজেলার সাধারণ জনগণের আলোর পথ প্রদর্শক ও গরীব অসহায় মানুষের নয়নের মণি জনগণের ভালোবাসায় সিক্ত বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করে তিলে তিলে গড়ে ওঠা রাজপথের লড়াকু সৈনিক ও আওয়ামীলীগের তেজস্বী নেতা আলহাজ্ব মোঃ আনিসুর রহমান এর স্নেহের ছোট ভাই সুজলা সুফলা সবুজ শস্য শ্যামলা সবুজে অবারিত প্রাকৃতিক ঐশ্বর্যেভরা সোনার বাংলার প্রাণস্থল, দুটি পাতা একটি কুড়ির অঞ্চলে জন্ম নেওয়া নাটোর জেলার লালপুর উপজেলার মাটি ও মানুষের কৃতি সন্তান বাংলাদেশ পুলিশ প্রশাসনের আইডল এবং রংপুর বিভাগের পুলিশের একজন স্নেহময়ী অভিভাবক অসাধারণ ব্যাক্তিত্ব, অনলবর্ষী কর্মকর্তা , সৎ পরিছন্ন ব্যাক্তিত্বের ধারক ও বাহক, পুলিশ প্রজন্মের অনেকের অনুপ্রেরণার প্রিয় বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী (BANGLADESH POLICE) এর তারকা কর্মকর্তা –
রংপুর রেঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক (এডিশনাল ডিআইজি), হাফিজ-নাজনিন ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও লালপুরের কৃতী সন্তান শাহ মিজান শাফিউর রহমান ডিআইজি হিসাবে পদোন্নতি পেয়েছেন।
নাটোর জেলার লালপুর থানার মুরদহ গ্রামে ১৯৭১ সালের ২৫ জুলাই একটি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন জনাব শাহ মিজান শাফিউর রহমান বিপিএম(বার), পিপিএম-সেবা মহোদয় ।
জনাব শাহ মিজান শাফিউর রহমান অনু, বিপিএম(বার), পিপিএম-সেবা, মহোদয় রংপুর রেঞ্জে গত ১৯/০৭/২০২০খ্রিঃ হতে অত্র রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি(অ্যাডমিন অ্যান্ড ফিন্যান্স) হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
তাঁর বাবা ছিলেন একজন জনপ্রিয় শিক্ষক মরহুম হাফিজুর রহমান ও মা নাজনীন নূর নেছা বেগম। আলহাজ্ব মোঃ আনিসুর রহমান, মোঃ হাবিবুর রহমান, আ.ফ.ম রাশিদুর রহমান, এ,ক,এম সাইদুর রহমান এবং তিনি সহ তারা পাঁচ ভাই।
তার স্ত্রী রোকেয়া খাতুন বর্তমানে ইডেন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ভূগোল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন।
তিনি একদিকে যেমন জ্ঞান বিকাশের অবিচ্ছেদ্য মানুষ তৈরির কারিগর তেমনি বাংলাদেশ কে বিশ্ব দরবারে স্থান অর্জন করে নিতে তিনি বিশ্ব আন্তর্জাতিক রেজিস্ট্রারের স্মরণে বঙ্গবন্ধুর বিখ্যাত ভাষণ স্হান অর্জনে Historical ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছিলেন। অব দি ওয়াল্ড ইউনেস্কো কতৃক আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশ্বের স্মৃতি জাকার্তা, ইন্দোনেশিয়া ২০১১-এর দ্বিতীয় আঞ্চলিক কর্মশালায় উপস্থাপন করেছিলন বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের বিখ্যাত ভাষণ। তুলে ধরেছিলেন বিশ্বের কাছে বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ও তার আর্দশের কথা।
ব্যক্তি জীবনে তিনি এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক। ছেলে রাফিউর রহমান, ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ ও মেয়ে সাফিকা সাইয়ারা, আইডিয়াল স্কুলে অধ্যায়নরত।
তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত রসায়ন বিভাগ থেকে উচ্চ শিক্ষা সম্পন্ন করেন।
অতিরিক্ত উপমহাপুলিশ পরিদর্শক পদে রংপুর রেঞ্জে দায়িত্ব পালন করে আসিতেছিলেন শাহ মিজান শাফিউর রহমান। তিনি এর আগে ওই পদে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)-তে কর্মরত ছিলেন। ২০০১ সালের ৩১ মে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন তিনি। এরপর কর্মদক্ষতা ও সেবায় বাংলাদেশ পুলিশের বিপিএম, পিপিএম পদক লাভ করেন পুলিশের ২০তম ব্যাচের এই কর্মকর্তা।
তিনি পুলিশ সুপার পদে দায়িত্ব নিয়েই ছক কষেন আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নের পাশাপাশি তা টেকসই করার। ইতোমধ্যে কর্ম-পরিকল্পনার বাস্তবায়ন ঘটিয়ে কর্মস্থলে এবং সর্বস্তরের জনসাধারণের নিকট বেশ জনপ্রিয়তা ও খ্যাতি অর্জন করেছেন। লক্ষীপুর জেলা পুলিশের দায়িত্ব পালনকালে তিনি মাদক, সন্ত্রাস আর চাদাবাজের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়ে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়ে ছিলেন। অত্যন্ত বিনয়ী, সৎ আর সাহসী কর্মকর্তা হিসেবে সর্ব মহলে প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি। জনসাধারণের মাঝে আস্থা এবং নিরাপত্তাবোধ ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় বিভিন্ন ইউনিয়ন এবং বাজারগুলোতে জনসাধারণের সাথে আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক নিয়মিত মতবিনিময় সভা করেছেন। বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানসমূহে অংশগ্রহণ করে জঙ্গীবাদ, সন্ত্রাস, মাদক এবং ইভটিজিং এর নৈতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম চালু করেছিলেন। তিনি মাদক থেকে যুবসমাজকে রক্ষা করতে বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন খেলাধূলাসহ মাদক বিরোধী কনসার্টের আয়োজনও করেন। জঙ্গীবাদ ও মাদকের বিরুদ্ধে রয়েছে তার শক্ত অবস্থান। এছাড়াও শুধুমাত্র ব্যাংক চালান বাবদ খরচ মাত্র ১০০টাকায় ঢাকা জেলা পুলিশে কনেস্টেবল পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন কোমল স্বভাবের মেধাবী চৌকস এই পুলিশ কর্মকর্তা।
ঢাকার রমনা জোনের উপ-কমিশনার (ডিসি) থেকে শাহ মিজান শাফিউর রহমান ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন ২০১৬ সালের ১৬ জুন। এর আগে কেবল সততা আর সাহসীকতাকে আশ্রয় করেই সন্ত্রাসের জনপদ বলে পরিচিত ফেনী ও লক্ষ্মীপুরের গডফাদারদের রাজত্ব ভেঙে দিয়ে সেখানে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে পথে এনে আলোচনায় আসেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।
নিজস্বতা আর স্বকীয়তায় আবারো ‘টিম ঢাকা জেলা পুলিশকে’ অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছেন পুলিশ সুপার শাহ্ মিজান শাফিউর রহমান। এতে তিনি প্রশংসিত হয়েছেন সর্ব মহলে।
স্বাধীনতার চেতনাকে সমুন্নত করতে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে এবারো ব্যতিক্রমী আয়োজন করেছিলেন জাতীয় স্মৃতিসৌধে। ছিল জেলা পুলিশের সরব উপস্থিতি। স্বাধীনতার চেতনায় নতুন প্রজন্মকে উজ্জীবিত করার পাশাপাশি দিনটিকে আরো তাৎপর্যময় করতে এবারো বর্নাঢ্য আয়োজন নিয়ে দেশবাসীর সামনে উপস্থিত হয়েছিল ঢাকা জেলা পুলিশ। বিস্তৃত পরিসরে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে প্রান্তজনে ছড়িয়ে দিতে জাতীয় স্মৃতিসৌধ থেকে আমিনবাজার পর্যন্ত ঢাকা আরিচা মহাসড়কের দু’পাশে এবারো স্থাপন করা হয়েছিল ২৬৪ ফুট দৈর্ঘ্যের ২৮টি দৈত্যাকৃতির (জায়ান্ট) এলইডি টেলিভিশন। যাতে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা থেকে প্রচারিত হয় মুক্তিযুদ্ধের দূর্লভ ইতিহাস সমৃদ্ধ আলোকচিত্রসহ স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘটনাপ্রবাহ। ব্যতিক্রমী কাজের মধ্যে ছিল জাতীয় স্মৃতিসৌধের গৌরবময় স্বাধীনতা মঞ্চে শেরপুর জেলার পাঁচজন বীরাঙ্গনা নারী মুক্তিযোদ্ধাসহ ৬০ জন বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধাকে সংবর্ধনা। সততা, নিষ্ঠা, সাহস, পেশাদারিত্ব আর গুরুত্বপূর্ণ অবদানের কারণে নিজ বাহিনীতেই শাহ মিজান শাফিউর রহমান নিজেকে পরিচিতি করেছেন স্বতন্ত্র পরিচয়ে। তবে নিজের পেশাগত কাজে দেশবাসীর কাছেও সমানতালে প্রশংসিত তিনি। বৃটিশ আমল থেকে এ পর্যন্ত ৯২তম পুলিশ সুপার ও স্বাধীনতা পরবর্তী ৩১তম পুলিশ সুপার হিসেবে ২০১৬ সালের ১৬ জুলাই ঢাকা জেলায় যোগ দেন নাটোরের সন্তান শাহ মিজান শাফিউর রহমান। সুগঠিত নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি বাহিনীর সদস্যদের মর্যাদা দক্ষতা ও পেশাদারিত্ব বাড়িয়ে পুলিশ বাহিনীতেও নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন জনপ্রিয় ব্যক্তিত্বে। জেলা পুলিশে প্রয়োজনীয় সংস্কার আর পেশাদারিত্বকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে জেলা পুলিশকে করেছেন গতিশীল। বেশকিছু অপরাধকে নামিয়ে এনেছেন শুণ্যের কোঠায়। আইন শৃঙ্খলার উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণে নিজের ভূমিকা আর কৃতিত্বের জন্যে পেয়েছেন রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ সন্মাননা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ প্রথম রাজারবাগ পুলিশ লাইন থেকে বঙ্গবন্ধুর আহবানে মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রতিরোধ করেছে পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা। সেই গৌরবময় বাহিনীর উত্তরসুরী হিসেবে আমাদের দায় রয়েছে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানিত করা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে আরো শাণিত করা। তাই পেশাগত গন্ডির বাইরে বাইরে আমরা দেশত্ববোধকে সামনে রেখে জাতির সূর্য্য সন্তানদের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য এই পদক্ষেপ। এ ছাড়াও ঢাকা জেলার সাত থানা থেকে মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন এমন ২২ জন মুক্তিযোদ্ধা ছাড়াও ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালো রাতে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স থেকে প্রতিরোধ যুদ্ধে সরাসরি ঝাঁপিয়ে পড়া ৯ জন পুলিশ সদস্যকেও সংবর্ধিত করা হয় এই অনুষ্ঠানে।
২০১৮ সালে বিজয় দিবসে শাহ্ মিজান শাফিউর রহমানের সার্বিক তত্ত্বাবধান আর নির্দেশনায় মহান মুক্তিযুদ্ধ ও হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা জুলিও কুরিও পদকে ভূষিত-বাংলাদেশের স্বাধীনতার জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান এবং তার সুযোগ্য কন্যা “মাদার অব হিউমিনিটি”,গণতন্ত্রের মানস কন্যা, আধুনিক বাংলাদেশের উন্নয়নের রূপকার ও ডিজিটাল বাংলার স্বপ্নদ্রষ্টা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলার মানুষকে একটি সুখী এবং সমৃদ্ধিশীল দেশ উপহার দেওয়ার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। বাংলার মানুষের স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার ও তাঁর পরিবারের দূর্লভ আলোকচিত্রের সমাহারে ঢাকা জেলা পুলিশ প্রকাশ করে নান্দনিক প্রচ্ছদ আর অলংকরনে সজ্জিত স্মারকগ্রন্থ ‘গৌরবময় স্বাধীনতা’। মুক্তিযুদ্ধের অজানা ঘটনাচিত্র, দূর্লভ ইতিহাস সমৃদ্ধ ৩৪০ পৃষ্ঠার স্মারক গ্রন্থটি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেওয়া হয়। সেই গ্রন্থটি হাতে পেয়ে শিক্ষক, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবিসহ নানা মহলে প্রশংসিত হয় জেলা পুলিশের অসামান্য এই উদ্যোগ। পুলিশের ২০তম ব্যাচের কর্মকর্তা ২০০১ সালে যোগ দেন বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে। দিনাজপুর জেলা, সিএমপি, র্যাব, এসবি ও যশোর জেলায় দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করা এই কর্মকর্তার অভিজ্ঞতার ঝুলিতে রয়েছে বহু প্রশংসা আর পদক। দু’বার জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ পেয়েছেন ‘জাতিসংঘ শান্তি পদক’। পুলিশ সুপার হিসেবে লক্ষীপুর জেলায় সন্ত্রাস ও গডফাদার দমনে অত্যন্ত দক্ষতা ও সফলতার স্বাক্ষর রাখা শাহ মিজান শাফিউর রহমান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের রমনা বিভাগে উপ-পুলিশ কমিশনারের দায়িত্ব পালন শেষে পুলিশ সুপার হিসেবে যোগ দেন ঢাকা জেলায়। সবাই পথে চলে। আর কেউ কেউ পথ দেখায়। পদ দেখানো মানুষটিই আমাদের শাহ মিজান শাফিউর রহমান। স্যার যা করে যাচ্ছেন তা পরবর্তীতে হয়ে উঠবে অনুসরণীয় ও অনুকরণীয়। এমন অসংখ্য প্রয়াস আজ সাড়া ফেলেছে সমাজে। এর ফল পেতে শুরু করেছেন ঢাকা জেলাবাসী। সততা, নিষ্ঠা আর স্বদেশ প্রেমে উজ্জীবিত হয়ে দেশের জন্যে আমাদের যে অনেক কিছু করার আছে, আমাদের কাজে কর্মে প্রেরণার বাতিঘর হিসেবে প্রমাণ করেছেন তিনি।৷ সাংবাদিক ওয়াজেদ জানান
কিছু কথা না বললেই নয়
কিছু কিছু মানুষ আছেন, যারা পৃথিবীতে আসেন তাদের চারপাশের সবকিছুকে আলোকিত করার জন্য। তাদের উপস্থিতি সবাইকে আনন্দে মাতিয়ে রাখে। পারিবারিক বন্ধনে বেঁধে রাখেন আশেপাশের মানুষগুলোকে। সেরকম একজন মানুষ শাহ মিজান শাফিউর রহমান।
যুগে যুগে কিছু মানুষের জন্ম হয় যারা নিজেদের সুখ শান্তি ভুলে গিয়ে পরার্থে জীবন উৎসর্গ করেন। অন্যের জন্য কিছু করতে পারার মধ্যেই যেন ওই মানুষগুলো আত্ম তৃপ্তি পান। সত্য সুন্দর কল্যাণের ত্রিবেণী সঙ্গমে দাঁড়িয়ে একজন সত্যিকারের মানুষ সুন্দরের চাষ করেন, ভালোবাসার ফসল ফলান সমাজে। রুক্ষ পৃথিবীর দুঃখ গোছানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেন। এক কথায় মানুষের জন্য কিছু করতে নিজের সর্বস্ব বিলিয়ে দেন। এই পৃথিবীতে
আলো আঁধারির খেলার ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে সময়। মহা কালের যাত্রাপথে আমরা সবাই ক্ষণিকের অতিথি। এখানে হাতে গোনা কয়েকজন মানুষ যুগে যুগে জন্ম গ্রহণ করেন যারা স্বার্থের উর্ধ্বে বাস করেন। তাদের কাছে পর কল্যাণই বড় কিছু। যারা বিপদে পড়া মানুষের মুখে এক চিলতে হাসি ফোটাতে পারার মধ্যেই তারা বিশ্ব জয়ের আনন্দ লাভ করেন সেই রকম একজন ভাল মানুষ, ভালবাসার মানুষ, অনুপ্রেরণার মানুষ, কাছের মানুষ, শাহ মিজান শাফিউর রহমান।
খুব কাছ থেকে দেখেছি প্রিয় মানুষটাকে, ভাল লাগে ভাল মানুষদেরর সাথে কথা বলতে পারলে। যার কাছ থেকে অনেক কিছু শেখা যাই। বেশি কিছু বলবো না। আপনার বিষয়ে বলতে গেলে অনেক কথা, আমার ক্ষুদ্র জ্ঞান তা প্রকাশ করা অসম্ভব।
রংধনুর রঙে লিখে, নীল মেঘের খামে ভরে, দক্ষিণা বাতাস দিয়ে, এই চাঁদ আর রাতের তারা ভরা আকাশ কে সাক্ষী রেখে, আমার হৃদয় নিংরানো হৃদয়ের হৃদয় স্থল থেকে আমার প্রাণের প্রিয় স্যার কে আমার মনের কথা বলতে চাই,, ফুলে ফুলে ভরে যাক আপনার ভূবন, রংধনুর মত সাত রঙে রাঙুক আপনার জীবন!! আপনার জীবনের সব দুঃখ-কষ্ট সরে যাক দূর অজানার দেশে, আজকের এই শুভ ক্ষণে শুধু এই কামনাই করি আমি আল্লাহর কাছে!!
আমি আলাদিনের চেরাগের দৈত্য কে দেখিনি দেখেছি আপনাকে। আমি যুদ্ধ দেখিনি কিন্তু
সারা বিশ্ব এখন লড়ছে কোভিড-১৯ নামক এক কঠিন শত্রুর সাথে। অতিমারীর এই দুঃসময়ে বাংলাদেশ পুলিশ লড়াই করছে প্রথম সারির যোদ্ধা হিসেবে তারই ধারাবাহিকতায় রংপুর বিভাগের নিয়মিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, কোয়ারেন্টাইন-লকডাউন বাস্তবায়ন, করোনা সচেতনতা, অসহায় মানুষের পাশে দাড়াতে গিয়ে পরিবার পরিজন ছেড়ে জীবনের সাথে যুদ্ধ করে দিনরাত কাজ করে যাওয়া যোদ্ধা হিসেবে আপনাকে দেখতে পেয়েছি। আমি মানুষটাকে কারো আবদার ফিরাইতে দেখিনি শুধু আবদার পূরণ করতে দেখেছি যথাসাধ্যমতো। আমি ফেরেশতা দেখিনি কিন্তু আপনাকে দেখেছি যিনি কোন ফেরেশতা থেকে কম নয়। শত ব্যস্ততার মাঝেও পরিবারের জন্য সময় বের করে নেয়। আমি মানুষ টা কে কখনো ক্লান্ত হতে দেখিনি আপনার কর্মজীবনে। শুধু দেখেছি পরিশ্রম করতে।
আশাকরি দ্বীন দেশ ও জাতীর কল্যাণে যেন বাকিটা জীবন উৎসর্গ হয়। মহান রব সমিপে আপনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করি, ভালোবাসা অবিরাম শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন । সৃষ্টিকর্তা আপনাকে দীর্ঘজীবী করুন ।
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন যেন আপনাকে সততার সাথে রাষ্ট্র ও জনগণের কল্যাণে নিয়োজিত রাখেন।
ডিআইজি পদে পদোন্নতি পাওয়ায় মাননীয় দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, সিনিয়র সচিব জননিরাপত্তা বিভাগ, সম্মানিত অভিভাবক আইজিপি স্যার সহ সকল সিনিয়র অফিসার এবং শুভাকাঙ্ক্ষীদের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন এবং সকলের নিকট দোয়া প্রার্থনা করেছেন শাহ মিজান শাফিউর রহমান।
কোভিড-১৯ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া বন্ধে সহায়তা করে আসুন সবাই সঠিক ভাবে মাস্ক পরি সবাই স্বাস্থ্য বিধি মেনে মাস্ক পরিধান করে চলাচল করি এবং নিজে সুস্থ থাকি অন্যদের সুস্থ আর সুরক্ষিত থাকতে সহযোগীতা করি।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে সুস্থ থাকুন নিরাপদে থাকুন। নিজে বাঁচুন দেশকে বাঁচান।