নীলফামারী প্রতিনিধি : নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে কারেন্ট জাল। ২০০২ সালে সংশোধিত মৎস্য সংরক্ষণ আইনে কারেন্ট জাল, উৎপাদন, পরিবহন, বাজারজাতকরণ, সংরক্ষণ ওবূবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়। উপজেলার বিভিন্ন খাল- বিল ও নদ নদীতে বর্ষার পানি প্রবেশের শুরু থেকেই এক শ্রেনির অসাধু মৎস্য শিকারী কারেন্ট জাল, চায়না দুয়ারি জাল ও বাদাই জালসহ নানা ধরণের নিষিদ্ধ সরঞ্জাম দিয়ে মাছ শিকারে মেতে ওঠে।
সরেজমিনে উপজেলার শুটিবাড়ী হাট গিয়ে দেখা যায়, প্রচুর পরিমাণে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল বিক্রি হচ্ছে। আর হাটে নিষিদ্ধ প্রতিটি জাল বিক্রির খাজনা ওঠান হাটের ইজারাদারের প্রতিনিধিরা।
প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে এক শ্রেণির অসাধু মৎস্যজীবী এই জালের ক্রেতা। মজুদ-বিক্রি ও বহন নিষিদ্ধ জেনেও এক শ্রেণির পাইকারি ব্যবসায়ী কারেন্ট জাল মজুদ করে দেদার বিক্রি করছেন। এতে বিলুপ্ত হতে চলেছে উপজেলার বিভিন্ন জলাশয়ের দেশীয় প্রজাতির মাছ। প্রশাসনের কঠোর নজরদারির দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন জানান, প্রতিনিয়ত শুটিবাড়ী হাটে প্রচুর পরিমাণে নিষিদ্ধ এই কারেন্ট জালের আমদানি ও বিক্রি হয়। উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতি হাটেই এই জাল ক্রয়ের জন্য আসেন মৎস্য শিকারিরা।
শুটিবাড়ী হাটের ইজারাদার জানান, নিষিদ্ধ জাল ধরা আমাদের কাজ নয়, এটি প্রশাসনের কাজ। হাটে নিষিদ্ধ জাল বিক্রির খাজনা তুলার বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, অনেকেই এখানে জাল বিক্রি করতে আসেন তাই আমরা খাজনার টাকা নেই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শামীমা আক্তার বলেন, ইতিপূর্বেও উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার ও জলাশয়ে আমরা অভিযান পরিচালনা করে নিষিদ্ধ জাল আটক করে পুড়িয়ে ধ্বংস করেছি। নিষিদ্ধ জাল বিক্রি করার সুযোগ নেই। নিষিদ্ধ জাল বিক্রয়কারীদের অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনা হবে।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]