করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে অনলাইনে ক্লাসসহ শিক্ষা কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে স্মার্টফোন কিনতে শিক্ষা ঋণ ডিসেম্বরের শেষ নাগাদ পাবে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। রবিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের।
গত ৪ ই নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী শহিদুল্লাহর সভাপতিত্বে অনলাইন প্লাটফর্মে আয়োজিত এক সভায় শিক্ষার্থীদের স্মার্টফোন ক্রয়ে সুদবিহীন ঋণ দেওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সিদ্ধান্ত মোতাবেক ইউজিসিতে প্রেরিত বিভাগীয় প্রদানদের স্বাক্ষর সম্বলিত তালিকা অনুযায়ী কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬৩৪ জন শিক্ষার্থী এ ঋণ পাবেন।
রেজিস্ট্রার বলেন, তালিকাভুক্ত ৬৩৪ শিক্ষার্থীর প্রত্যেককে ৮ হাজার টাকা করে বিনা সুদে ঋণ দিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পূরক বাজেটে একটি প্রস্তাবনা ইউজিসিতে পাঠানো হবে। ইউজিসি অনুমোদন দিলেই আগামী মাসের শেষ নাগাদ শিক্ষার্থীদের আমরা ঋণ প্রদান করতে পারবো।
উপর্যুক্ত ঋণ শিক্ষার্থীরা অধ্যয়নকালীন থেকে সনদপ্রাপ্তির পূর্ব পর্যন্ত যেকোন সময়ে সমান চার কিস্তিতে কিংবা এককালীন পরিশোধ করতে পারবেন।
এদিকে শিক্ষার্থীদের ঋণ দেওয়ার পাশাপাশি ইন্টারনেটের সহজলভ্য প্যাকেজ সরবরাহের কথাও ভাবছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে টেলিকম অপারেটরদের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে জানিয়ে রেজিস্ট্রার বলেন, আমরা গ্রামীণফোন এবং রবি আজিয়াটা লিমিটেডের সাথে এ ব্যাপারে যোগাযোগ করেছি। পরবর্তী সিন্ডিকেট সভায় বিষয়টি উত্থাপন করা হবে। সিন্ডিকেটে পাশ হলেই আমরা অপারেটরদের সাথে চুক্তির ব্যাপারে সামনে এগুবো।
প্রসঙ্গত, করোনা পরিস্থিতিতে গেল ২৫ জুন ইউজিসির সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর এক সভায় অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এরপর জুলাই থেকে দেশের সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আনুষ্ঠানিকভাবে অনলাইনে ক্লাস শুরু হয়।
এতে স্মার্টফোন না থাকায় ও ইন্টারনেটের মূল্যবৃদ্ধির ফলে অর্ধেক শিক্ষার্থী ক্লাসে অংশগ্রহণ থেকে বঞ্চিত হতো। শিক্ষার্থীদের এই প্রতিবন্ধকতা দূর করার লক্ষে গত ৪ ই নভেম্বর ইউজিসির এক ভার্চুয়াল সভায় দেশের সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত ৩৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪১ হাজার ৫০১ জন অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীকে বিনা সুদে আট হাজার টাকা করে ঋণ দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।