চাহিদা বাড়ায় ঢাকার আশপাশে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর’ নামে আন্তর্জাতিক মানের সর্বাধুনিক নতুন একটি বিমানবন্দর নির্মাণের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে।
জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে এ কথা জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী।
রবিবার (২৮ নভেম্বর) একাদশ জাতীয় সংসদের পঞ্চদশ অধিবেশনে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
পাবনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য নুরুজ্জামান বিশ্বাসের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন ঈশ্বরদী বিমানবন্দর সংস্কারের পরে পুনরায় চালু করার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। ঈশ্বরদী বিমানবন্দরের জন্য মোট ৪৩৬ দশমিক ৬৫ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে সেনাবাহিনীর কাছে ২৯০ দশমিক ৭৪ একর হস্তান্তর করা হয়েছে।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) দখলে থাকা অবশিষ্ট ১৪৫ দশমিক ৯১ একর জমিতে রয়েছে টার্মিনাল ভবন, রানওয়ে, ট্যাক্সিওয়ে, অ্যাপ্রোন, নেভিগেশন যন্ত্রপাতি, যোগাযোগ যন্ত্রপাতি, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসিক এলাকা ও বিমানবন্দরের প্রবেশ সড়কসহ অন্যান্য স্থাপনাদি রয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঈশ্বরদী বিমানবন্দরে মিলটারি ফার্মকে হস্তান্তর করা জমি, মিলটারি ফার্ম কর্তৃক দখল করা জমিসহ এ বিমানবন্দরের জন্য অধিকৃত জমি বেবিচকের অনুকূলে হস্তান্তরের পর বিমানবন্দরটি সংস্কার করে পুনরায় চালুর পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে।
বরিশাল বিমানবন্দরটি আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার সরকারের কোনো পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে কিনা বরিশাল-৪ আসনের সংসদ পংকজ নাথের এমন প্রশ্নের বিমান প্রতিমন্ত্রী জানান, বরিশাল বিমানবন্দর ফ্লাইট পরিচালনার উপযোগী রয়েছে। এ বিমানবন্দরের রানওয়ে, ট্যাক্সিওয়ে, টার্মিনাল ভবন এবং ৫০ হাজার বর্গফুট অ্যাপ্রোনসহ অন্যান্য সুবিধা রয়েছে।
এ বিমানবন্দরের সেবার মান আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার জন্য বেবিচক বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। বিমানবন্দরটি আধুনিকায়নের জন্য বিস্তারিত সম্ভাব্যতা সমীক্ষা, ড্রইং-ডিজাইন, মাস্টার প্ল্যান ও ব্যয় প্রাক্কলন নির্ধারণের জন্য আন্তর্জাতিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ইয়োসিন হিরিম সম্ভাব্যতা সমীক্ষা সম্পাদন ও মাস্টারপ্ল্যান প্রস্তুতের কাজ শেষ হয়েছে।
যশোর-৩ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, যশোর বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার পরিকল্পনা আপাতত সরকারের নেই। মংলা সমুদ্র বন্দরের কার্যকারিতা বৃদ্ধি এবং মংলা ইপিজেড ও মংলা ইকোনোমিক জোনের কার্যকারিতা বৃদ্ধির জন্য পিপিপির আওতায় খানজাহান আলী বিমানবন্দর নির্মাণের বিষয়ে সরকার নীতিগত অনুমোদন রয়েছে।
লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সাংসদ নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়নের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, নোয়াখালী বা লক্ষ্মীপুরের বিমানবন্দরর নির্মাণের পরিকল্পনা সরকারের আপতত নেই। আকাশপথে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকে নোয়াখালী সদর উপজেলার দূরত্ব মাত্র ৪৮ নটিক্যাল মাইল। পাশাপাশি যোগাযোগ ব্যবস্থাও বেশ ভালো।
এ সময় তিনি বিমানকে লাভজনক করার জন্য সরকারের বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]