জেমস আব্দুর রহিম রানা যশোর জেলা প্রতিনিধি দৈনিক শিরোমণিঃ ঢাকার বাইরে যশোরেই প্রথম পার্সোনালাইজেশন সেলের মাধ্যমে ই-পাসপোর্ট প্রিন্টিং চালু হয়েছে। (৩অক্টোবর) রোববার দুপুরে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আইয়ূব চৌধুরী। এর মাধ্যমে খুলনা বিভাগের ১০ জেলার গ্রাহকদের অল্প সময়ের মধ্যে ই-পাসপোর্ট পৌঁছে দেয়া সম্ভব হবে। পাশাপাশি এটি ঢাকার পার্সোনালাইজেশন সেন্টারের ব্যাক আপ হিসেবে কাজ করবে। চূড়ান্তভাবে পাসপোর্ট অধিদপ্তর দৈনিক ২৫ হাজার ই-পাসপোর্ট প্রিন্টিংয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করলো।উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আইয়ূব চৌধূরী বলেছেন, নতুন করে পাসপোর্ট করতে হলে সঠিত তথ্য দিতে হবে। কর্তৃপক্ষের ভুল না হলে পাসপোর্টের কোন তথ্য সংশোধন করা হবে না। খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় ই-পাসপোর্ট সেবা চালু হবে। যশোর থেকে এই সেবা সমন্বয় করা হবে। অনলাইনে আবেদন করার পরে ২০ থেকে ২৫ দিনের মধ্যেই ই-পাসপোর্ট পাওয়া যাবে। ই-পাসপোর্টের সকল তথ্য স্থায়ীভাবে নিরাপদে রাখা যাবে। ই-পাসপোর্ট থেকে ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে ব্যক্তির সকল তথ্য বের করা সম্ভব হবে। ই-পাসপোর্ট থাকলে বিদেশে কোন দুর্ভোগে পড়তে হবে না।যশোর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদুর রহমান খানের।প্রধান অতিথি মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আইয়ূব চৌধূরী আরো বলেন, ই-পাসপোর্টে ফিঙ্গার ও মুখমন্ডলের ছাপ থাকবে। কোন ভাবেই পাসপোর্ট নকল করা যাবে না। তাই ই-পাসপোর্ট আবেদন করার সময় সকল তথ্য যাচাই-বাছাই করে পূরণ করতে হবে। বয়স, নাম, ঠিকানা, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, জন্ম নিবন্ধন নম্বর সঠিক ভাবে পূরণ করতে হবে।বক্তব্য রাখেন বিশেষ অতিথি জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান ও পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার। আরও বক্তব্য রাখেন জার্মানের টেকনিক্যাল প্রজেক্টের পরিচালক পার আলেকজান্ডার কোমারেক, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, যশোর পাসপোর্ট অফিসের উপ পরিচালক মোহাম্মদ নূরুল হুদা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মৌসুমী ইসলাম, মেহেরিস ইসলাম, স্বপ্না ও আজিজুর রহমানের ই-পাসপোর্ট বিতরণ করা হয়।পাসপোর্ট অফিস সূত্র জানায়, ২০২০ সালের জুন মাস নাগাদ দেশে মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের কার্যক্রম শেষ হয়েছে। এরপর দেশ ই-পাসপোর্টের যুগে প্রবেশ করে। বিশ্বের ১২০টি দেশে বর্তমানে ইলেক্ট্রনিক্স পাসপোর্টের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় ২০২০ সালের ২৮ জুন যশোর আঞ্চলিক অফিসে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। এরপর ঢাকা থেকে পাসপোর্ট ছেপে যশোরে পাঠানো হতো। এরপর যশোর অফিস সেগুলো বিলি করতো। কিন্তু এবার ঢাকার বাইরে যশোর থেকেও ছাপা হবে। এর মাধ্যমে খুলনা বিভাগের ১০ জেলার গ্রাহকদের অল্প সময়ের মধ্যে ই-পাসপোর্ট পৌঁছে দেয়া সম্ভব হবে। পাশাপাশি এটি ঢাকার পার্সোনালাইজেশন সেন্টারের ব্যাক আপ হিসেবে কাজ করবে। এরমাধ্যমে চূড়ান্তভাবে পাসপোর্ট অধিদপ্তর দৈনিক ২৫ হাজার ই-পাসপোর্ট প্রিন্টিংয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করলো।
১৭ views