শেখ মিহাদ,ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলা প্রতিনিধি: রাজধানী ঢাকা থেকে চুরি হওয়া ৮২টি মোটরসাইকেলের ২টি ৪ জন চুর সহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর থেকে উদ্ধার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা শাখার মিরপুর জোনের টিম।তথ্য সূত্রে জানাযায়,রাজধানী ঢাকা থেকে বিভিন্ন সময় চুরি হওয়া ৮২ টি মোটরসাইকেল উদ্ধারের জন্য ডিবি-ডিএমপির মিরপুর টিম প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে গত ১০ মে মঙ্গলবার সকালে মোটরসাইকেল চুর চক্রের তিন সদস্য কে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্চারামপুরের মাতু মিয়ার বাড়ির মোড় নামক স্থান থেকে এবং অপর একজন কে একই উপজেলার ছয়ফুল্লাকান্দি বাজার থেকে আটক করেন।তারা হল নবীনগর উপজেলার সলিমগঞ্জ ইউনিয়নের বাড়াইল গ্রামের আবু সাঈদ মিয়ার ছেলে তানভীর(২৭), খলিল মিয়ার ছেলে আশিক(৩০),মুর্শিদ মিয়ার ছেলে সমির(২৫),আউয়াল মিয়ার ছেলে সাদ্দাম(৩২)।এসময় তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী মোট ৬ টি মোটরসাইকেল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে উদ্ধার করেন, এরমধ্যে নবীনগরের সলিমগঞ্জ বাজার কমিটির সভাপতি এস এম বাদলের নিজ বাড়ি বাড়াইল থেকে ২ টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করেন। গ্রেফতার হওয়া বাড়াইল গ্রামের আউয়াল মিয়ার ছেলে সাদ্দামের উক্ত ঘটনায় সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় তাকে মুরাদনগর থানা থেকে ছেড়ে দেয়া হয়।এবিষয়ে সরজমিনে সাদ্দামের বাড়িতে গিয়ে তাকে না পেয়ে তার বড় ভাই শেখ সাদি কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানায়,আমার ভাই গাড়ির কাজ করত তাই তাদের সাথে পরিচয়,ঘটনার দিন সকালে ঢাকা থেকে মোটরসকেল চুর চক্রের একজন সদস্য তাদের ফোন করে বলে তোমাদের গাড়ি আছে এগুলো ফেরিঘাট থেকে এসে নিয়ে যাও,এরই সুবাধে আমরা ভাই সহ বাকী ৩ জন সেই গাড়িগুলো নিয়ে আসার উদ্দেশ্যে ফেরিঘাট যেতে রওনা হলে পথে মধ্যে কাজ থাকায় আমার ভাই ছয়ফুল্লাকান্দি বাজারে নেমে পরেন, বাকীরা ফেরিঘাট পৌঁছা মাত্র ঢাকা থেকে আসা ডিবি পুলিশ তাদের আটক করে গাড়িতে উঠিয়ে আমার ভাইয়ের মুঠোফোন নাম্বার প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সনাক্ত করে এবং তাকে ছয়ফুল্লাকান্দি বাজার থেকে গ্রেফতার করেন। পরে ৪ জন সহ ঢাকা থেকে আটক করে নিয়ে আসা ২ জন কে নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কুমিল্লার বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে ৬ টি গাড়ি উদ্ধার করেন। এমনকি আমার ভাইকে প্রাথমিক ভাবে নবীনগর থানায় রাখা হয় পরে ঘটনায় সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় মুরাদনগর থানা থেকে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।উল্লেখ্য সলিমগঞ্জ বাজার কমিটির সভাপতি এস এম বাদলের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া দুইটি গাড়ি তারা চুর চক্রের সদস্য আশিক ও সমির থেকে স্ট্যামের মাধ্যমে ক্রয় করায় তাদের বাড়ির কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।গ্রেফতার সংক্রান্ত বিষয়ে ডিবি- ডিসি মিরপুর জোন এর দায়িত্ব থাকা মানষ কুমার পোদ্দার জানান,চুরাই মোটরসাইকেল সহ তাদের গ্রেফতার করে নিয়মিত ধারায় মামলা রুজু করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।