সদ্য পদত্যাগকারী তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান কানাডা ও দুবাই ঢুকতে না পেরে অবশেষে দেশে ফিরেছেন। এমিরেটস এয়ারলাইন্সের ইকে-৫৮৬ নম্বর ফ্লাইটটি বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টা ৫৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। ফ্লাইটের ফার্স্ট ক্লাস ক্যাটাগরির যাত্রী হিসেবে ঢাকায় আসেন মুরাদ।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে পদত্যাগের পর বৃহস্পতিবার রাতে কানাডার উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়েন মুরাদ হাসান। কোভিড ভ্যাকসিন সংক্রান্ত কাগজপত্র না থাকায় ডা. মুরাদ কানাডায় ঢুকতে না পারায় দুবাইয়ের একটি ফ্লাইটে তাকে তুলে দেওয়া হয়। তবে সেখানেও তিনি ঢুকতে না পেরে অবশেষে ঢাকায় ফেরেন তিনি।
এদিকে মুরাদ হাসানের দেশে ফেরার খবরে সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকরা ভিড় করেন। তবে, তিনি ওই নির্ধারিত ফ্লাইটে আসেননি।
অন্যদিকে রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে মুরাদ হাসান যাতে দেশে ফিরতে না পারেন, এজন্য বিক্ষোভ করেছে বিক্ষুব্ধকারীরা। বিমানবন্দর এলাকার প্রধান ফটকের বাইরের রাস্তায় প্রায় অর্ধশত বিক্ষুব্ধকারী অবস্থান নিয়েছে।
এদিকে করোনার ডাবল ডোজ টিকা সনদ না থাকায় দেশ ছেড়ে যাওয়া সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান কানাডা ঢুকতে পারেননি। কিন্তু ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট ও কোভিড প্রোটোকল না মেনে মুরাদ কীভাবে ঢাকা বিমানবন্দর থেকে কানাডায় গেলেন?
আজ রোববার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে বেসামরিক বিমান প্রতিমন্ত্রী শাহজালাল এয়ারপোর্ট পরিদর্শন করতে যান। পরিদর্শন শেষে বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে বিমানবন্দরের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী। এ সময় শাহজালাল বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক তৌহিদ-উল আহসানও কথা বলেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তৌহিদ-উল আহসান বলেন, বিমানবন্দর দিয়ে যেসব যাত্রী বাইরের দেশে যান, সেসব বহির্গমন যাত্রীদের স্বাস্থ্য সনদ চেক করা, ভ্যাকসিনেশন সার্টিফিকেট চেক করার দায়িত্ব সিভিল এভিয়েশনের, বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের নয়। আমরা ইমিগ্রেশন করি, যাত্রীদের সেবা দিই। ইমিগ্রেশন শাখা ইমিগ্রেশন করবে, স্বাস্থ্যের কাজ স্বাস্থ্য করবে। মুরাদ সংক্রান্ত তথ্য জানতে হলে আপনাদের যথাযথ কর্তৃপক্ষকে প্রশ্ন করলে তারা ভালো উত্তর দিতে পারবে।
ডা. মুরাদের ভ্যাকসিনেশন সনদ ছাড়াই দেশের বাইরে যাওয়ার বিষয়টি আপনাদের এখতিয়ারের মধ্যে পড়ে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি এই বিষয়টি আপনাদের মাধ্যমেই জানতে পারলাম।
এ ব্যাপারে বেসামরিক বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বলেন, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অনেকগুলো ডিপার্টমেন্ট কাজ করে। ইমিগ্রেশনের কাজ করে পুলিশ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। স্বাস্থ্যের ব্যাপারটি দেখে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। কোভিড আসার আগেও কিন্তু স্বাস্থ্য সংক্রান্ত একটি ফরম পূরণ করতে হতো। এসব কিছু নিয়ন্ত্রণ করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এনবিআর কাজ করে কাস্টমসের। এ বিষয়টা যদি আমরা ক্যাব-এর পক্ষ থেকে করতে চাই তাহলে তা কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য হবে না। সদ্য অব্যাহতি নেওয়া সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদের বিষয়ে আপনাদের প্রশ্নের সঠিক উত্তর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যারা আছেন তারা দিতে পারবেন।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]