ঢাকার মিরপুরে দীর্ঘ ১২ বছর ধরে বসবাস করেছেন আলমাস খান। তিনি পেশায় একজন পিকআপ ভ্যানচালক। শুক্রবার সেই পিকআপে করেই বাড়ির সমস্ত আসবাবপত্র ও স্ত্রী-সন্তান নিয়ে পাড়ি জমিয়েছেন নিজ বাড়ির উদ্দেশে। এ সময় পদ্মা সেতুর উত্তর টোল প্লাজার সামনে কথা হয় তার সঙ্গে।তিনি বলেন, পদ্মা সেতু পার হলেই আমার বাড়ি মাত্র ১০ মিনিটের রাস্তা। মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার চরসেমাই গ্রামে বাড়ি। আগে বাড়ি যেতে হলে ঘাটে গাড়ি নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হতো। এখন পদ্মা সেতু হয়েছে। পদ্মা সেতুর এপার থেকে ১৫ মিনিটেই বাড়ি যাওয়া যায়। তাই পুরো পরিবার নিয়ে বাড়ি চলে যাচ্ছি। এখন বাড়ি থেকেই গাড়ি চালাব।তিন মেয়ে ও বাসার আসবাবপত্র নিয়ে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার ছোট গোপালপুর গ্রামে শ্বশুরবাড়ি যাচ্ছেন গৃহবধূ শারমিন। তার স্বামী রফিকুল ইসলাম পেশায় একজন প্রাইভেট কারচালক। দীর্ঘ দিন বসবাস করেছেন ঢাকার মগবাজার।শারমিন বলেন, আগে পরিবারের সবাইকে নিয়ে ঢাকায় থাকতাম। এখন সেতু চালু হয়েছে। সেতু পার হলেই মাত্র দশ মিনিটের মধ্যে শ্বশুরবাড়িতে যাওয়া যায়। আমার স্বামী এখন বাড়িতে থেকে গাড়ি চালাবেন। তাই পুরো পরিবার নিয়ে বাড়ি চলে যাচ্ছি,তিনি আরও বলেন, সেতু হওয়াতে আমরা ঢাকায় যে টাকা দিয়ে বাসা ভাড়া করে থাকতাম, সেটাও বাঁচবে আবার সংসারের অন্যান্য খরচও কম হবে। আমরা এখন অনেক খুশি।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]