রেজিঃ নং ডিএ ৬০০৯ | বর্ষ ১৪ | ৪ পৃষ্ঠা ৩ টাকা || শনিবার | ৩০ নভেম্বর ২০২৪ | ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
তানোরের বাজারে বালাইনাশক দোকানে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে পটাশ সার
সারোয়ার হোসেন,তানোর দৈনিক শিরোমণিঃ রাজশাহীর তানোর পৌর এলাকার তালন্দ বাজারের বালাইনাশক ব্যবসায়ী মনিরুল ইসলাম প্রতি বস্তা পটাশ সার বিক্রি করছেন এক হাজার টাকা করে বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে বেশি দামে বিক্রি করলেও মেমো দিচ্ছেনা। এতে করে কৃষকেরা পড়েছেন চরম বিপাকে। ফলে বাধ্য হয়েই কিনতে হচ্ছে সার।জানা গেছে, চলতি মৌসুমে সার নিয়ে ডিলাররা ইঁদুর বেড়াল খেলা শুরু করেছেন।সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে মনিরুল সার মজুত রেখে নিচ্ছেন বাড়তি দাম।অথচ তিনি যে পটাশ সার বিক্রি করছেন সেই সার বিসিআইসির ডিলারদের কাছে থাকার কথা।কিন্তু ডিলারদের কাছে না থাকলেও মনিরুলের দোকান ভর্তি রয়েছে সার।তালন্দ বাজারের বেশকিছু ব্যক্তিরা জানান, মনিরুলের দোকানে সব সময় প্রচুর সার মজুত করে রাখে।শুধু এবার না প্রতি বছর এই সময় মনিরুল বেশি দামে বিক্রি করে প্রান্তিক কৃষকদের পকেট কাটছে।আার নিজের পকেট ভরছেন।একজন বালাইনাশক ব্যবসায়ীর দোকানে কিভাবে এত সার মজুত থাকে।এসব দেখার দায়িত্ব স্হানীয় কৃষি দপ্তরের। কিন্তু এসময় তাদের কোন ধরনের বাজার মনিটরিং থাকেনা।যার কারনে ইচ্ছে মত পটাশ সার বিক্রি করছেন।অবস্থাটা এমন সংশ্লিষ্টদের উদাসীনতার কারনেই সার নিয়ে চলছে লংকাকান্ড।
নাম প্রকাশ না করে এক আলু চাষি বলেন সকালের দিকে তালন্দ বাজারের মনিরুলের কাছ থেকে পটাশ সার কিনেছি।সরকারি মুলা প্রতি বস্তা ৭৫০ টাকা করে।কিনতে হচ্ছে এক হাজার টাকা করে।কোন উপায় নাই নিতেই হবে।বালাইনাশক ব্যবসায়ী মনিরুল এক হাজার টাকার কথা অস্বীকার করে জানান, বাহির থেকে বাড়তি দামে নিয়ে আসতে হয়েছে। লোকসান করে তো ব্যবসা করা যাবেনা।আপনি বালাইনাশকের ব্যবসায়ী হয়ে এই ভাবে বস্তার বস্তা সার বিক্রি করতে পারেন কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান অবশ্যই বিক্রি করতে পারব বলে দম্ভোক্তি প্রকাশ করেন এবিষয়ে জানতে উপজেলা কৃষি অফিসার শামিমুল ইসলামের মোবাইলে ফোন দেওয়া হলে শুধু বিজি আার বিজি পাওয়া যায়।তিনি হয়তো নম্বর বিজি করে রেখেছেন।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]
Copyright © 2024 দৈনিক শিরোমনি | shiromoni.com. All rights reserved.