সারোয়ার হোসেন,তানোর প্রতিনিধি, দৈনিক শিরোমণিঃ রাজশাহীর তানোরে এবার রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে । আবার দামও ভালো পাচ্ছেন কৃষকরা। আর এসময় কৃষি কাজে মহা ব্যস্ত হয়ে পড়েন কৃষক শ্রমিকরা ।যেন দম ফেলার সময় নেই।আবার অনেক মাঠে শুরু হয়েছে আলু রোপণ। দিন রাত এক হয়ে পড়েছে উপজেলার কৃষকদের কাছে। ফলে ধানে স্বস্তি মিললেও আলু রোপণে সার পেতে যেমন হয়রানি, তেমনি বাড়তি টাকা গুনতে হচ্ছে। এতেই পড়েছেন বিপাকে প্রান্তিক চাষিরা। জানা গেছে, বরেন্দ্র অঞ্চল নামে ধান আলু উৎপাদনে জেলার মধ্যে অন্যতম উপজেলাটি। রোপা আমন ধান চাষ হয় উপজেলা জুড়ে। ধান কাটা মাড়ায়ের জন্য ভরসা বহিরাগত বা চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষি শ্রমিকরা। ইতিপূর্বেই প্রতিটি মাঠের ধান কাটা শেষ হয়েছে। যাদের বেশি জমিতে ছিল রোপা আমন ধান তাদের খৈলানে দিন রাত চলছে মাড়ায়ের কাজ। এমৌসুমে আবহাওয়া প্রায় সময় অনুকুলে থাকায় বাম্পার ফলন হয়েছে। সেই সাথে দামও ভালো পাচ্ছেন।অনেক মাঠে আলু রোপণ শুরু হয়ে গেছে। যার কারনে শ্রমিকরা মহা ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। কৃষক শ্রমিক কৃষাণী নবীন প্রবীণ সবাই কৃষি কাজে মেতে উঠেছেন। কাক ডাকা ভোর থেকে দিন ব্যাপী জমিতেই থাকতে হচ্ছে । নানা ভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন কৃষাণীরা। ধান উৎপাদনের পর এখানে আলুর চাষও হয় ব্যাপকহারে।কৃষক আইয়ুব,আব্দুল জানান এবারে বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রতি বিঘায় নিম্মেন ২০ মন ঊর্ধ্বে ২৫ মন করে ফলন হচ্ছে। সেই সাথে ধানের দামও ভালো পাওয়া যাচ্ছে। পৌর এলাকার কৃষক মহাসিন, জসিম, হামিদ, সৈয়বসহ অনেকে জানান আমরা ভাবতেই পারিনি ধানের এত ভালো ফলন হবে। যেমন হয়েছে ফলন তেমনি ভাবে দাম ভালো পাওয়া যাচ্ছে। এক মন ১ হাজার ৭০ টাকা থেকে ১ হাজার ৬০/৫০ টাকা দামে বিক্রি করা যাচ্ছে ধান। পাঁচন্দর ইউপির কৃষক হাকিম, তোফাজ্জুল, সাবের, কামরুল জানান ফলন ভালো হওয়ার কারনে কৃষকেরা আলু চাষে ঝুকে পড়েছেন। শ্রমিক গোলাম মোস্তফা, লিয়াকত, বাবু , মুকুল জানান ধান কাটা শেষ। এখন মাড়ায় চলছে। রাতে মারায়ের কাজ করা হচ্ছে। আর দিনে আলুর জমিতে কাজ করছি। কোন সময় নেই এটাই কাজের মৌসুম। আলুর জমিতে কাক ডাকা ভোর থেকে বিকেল ৪/৫ টা পর্যন্ত কাজ করলে ৫০০/৬০০ টাকা করে পাওয়া যাচ্ছে।কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, চলতি রোপা আপন ধান ছিল কয়েক প্রকারের। তার স্বর্ণা জাতের ধান ১১ হাজার ৩১৮ হেক্টর জমিতে, ৫১ জাতের ৮ হাজার ৮৬৫ হেক্টর, ব্রিধান ৮৭, ২২৭ হেক্টর, ব্রিধান ৪৯ , ৯৫০ হেক্টর, বিনাধান ১৭, ২৫০ হেক্টর ও চিনি আতব ৪৫০ হেক্টর জমিতে রোপণ করা হয়েছিল।উপজেলা কৃষি অফিসার শামিমুল ইসলাম বলেন এবারে উপজেলা ২২ হাজার ৫৮৯ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানের চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকা এবং নিয়োমিত মাঠ তদারকির জন্যই ধানের ফলন ভালো হয়েছে এবং দামও ভালো পাচ্ছেন। এমনকি খড়েরও দাম প্রচুর। এক কথায় এবারে ধান চাষ করে কৃষকরা লাভবান হওয়ার কারনেই আলু চাষে ঝুকেছেন বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
২ views