সারোয়ার হোসেন,তানোর(রাজশাহী) প্রতিনিধি দৈনিক শিরোমণিঃ রাজশাহীর তানোরে দীর্ঘ প্রতিপক্ষার পর অবশেষে মুল সড়কের কার্পেটিংয়ের কাজ সম্প্রতি শেষ হয়েছে। এতে করে জনমনে স্বস্তি ফিরে এসেছে।জানা গেছে, তানোর থেকে চৌবাড়িয়া রাস্তাটি দীর্ঘ দিন মেরামত না করায় চরম বেহাল অবস্থা ছিল।প্রতিদিন ঘটতো দূর্ঘটনা। কিন্তু স্হানীয় সাংসদ গত জাতীয় নির্বাচনের আগে বলেছিলেন।যার প্রেক্ষিতে মুল সড়কসহ গ্রামীন রাস্তারও কাজ চলমান রয়েছে। উপজেলার মুল সড়ক তানোর থেকে চৌবাড়িয়া, তানোর থেকে মুন্ডুমালা ধামধুম পর্যন্ত। এদুই সড়কের কার্পেটিং কয়েকদিন আগেই শেষ হয়েছে। রাস্তাটি চাপড়া ব্রীজ থেকে চৌবাড়িয়া পর্যন্ত। চৌবাড়িয়া সড়কের মালার মোড়ের হোটেল ব্যবসায়ী আইয়ুব আব্দুল শিক্ষক সুলতান,হাজী সেলিম, মাসুদ পারভেজ রনি সাইফুল জানান,এই রাস্তার অবস্থা এতই খারাম ছিল যা কল্পনাতীত। বাইক সাইকেল নিয়েও চলাচল করতে প্রচুর বেগ পেতে হত।কিন্তু এখন পিচ দেওয়া শেষ হওয়ার কারনে সবার মাঝে এক প্রকার স্বস্তি ফিরেছে।ভ্যান চালক বাসারত আবুল কালাম মইনুল এনামুল অটো চালক এরশাদ সাগর রাশেলসহ অনেকে বলেন,সড়কের অবস্থা এতোটা খারাম ছিল ভাড়া মারতেই ভয় লাগত।কারন চল্লিশ পঞ্চাশ টাকার ভাড়া মারতে গিয়ে দু চারশো টাকার ক্ষতিই হত।পৌর সদরের অটো চালক আব্দুল, আক্কাশ,ওহাব, ইসমাইল বলেন, কার্পেটিং শেষ হওয়ার আগে তানোর থানা মোড় থেকে চৌবাড়িয়ার ভাড়া পেলেও যেতাম না।কারন সড়কে এতই খানাখন্দ ছিল ভাড়া নিলেই গাড়ী বিকল হয়ে পড়ত।তবে রাস্তাটি চাপড়া ব্রীজ থেকে হয়েছে, বাকি আছে উপজেলা থেকে ব্রীজ পর্যন্ত। বিশেষ করে গুবিরপাড়া গ্রামের সামনের সড়কে বেশ কিছু ভয়ংকর গর্তের সৃষ্টি হয়ে আছে।উপজেলা থেকে প্রায় দু কিলোমিটার সড়ক টি সংস্কার হলেই অন্তত মুল সড়কে স্বস্তি নিয়ে চলাচল করা যাবে। চৌবাড়িয়া সড়ক দিয়ে দিনে রাতে চলে ছোট বড় যানবাহন। বিশেষ করে চৌবাড়িয়া হাটের দিনে গরু বহনকারী ভটভটি চলে ব্যাপক হারে পিচ দেওয়ার আগে প্রায় গারী দূর্ঘটনার কবলে পড়ত।আধুনিক মেশিনে দ্রুত কার্পেটিংয়ের কাজ শেষ হওয়ার কারনে স্বস্তি সহকারে গাড়ী চালাতে পারছেন চালকরা।খোজ নিয়ে জানা গেছে, দশ দশমিক চৌদ্দ কিলোমিটার রাস্তাটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৯কোটি ৬৪ লাখ ৮৩ হাজার ৩৮৩ টাকা।এছাড়াও তানোর থেকে মুন্ডুমালা রাস্তার কার্পেটিং কাজও শেষ হওয়ায় দুর্ভোগ থেকে মুক্তি মিলেছে ওই রাস্তার চালকদেরও। অপর দিকে তানের থানা মোড় থেকে মুন্ডুমালা পর্যন্ত কার্পেটিংয়ের কাজ।এসড়কেরও চরম বেহাল অবস্থা ছিল। পুরো সড়কে ছিল ছোটবড় গর্ত।।তবে মুন্ডুমালা থেকে উপজেলার শেষ প্রান্ত ধামধুম পর্যন্ত ডাবলু বিএম করে রাখা আছে।এসড়কে সব ধরনের যান চলাচল করে।যার কারনে লালচে ধূলায় একাকার হয়ে পড়ছে চলাচল কারীরা। এর আগে সরনজাই থেকে সরকার পাড়া শুকদেব পুর মোহরের ভিতর দিয়ে গ্রামীণ এই রাস্তায় অনেক আগেই কার্পেটিংয়ের কাজ।এছাড়াও গ্রামীন অনেক রাস্তার কাজ থমকে রয়েছে।শুধু ডাবলু বিএম করে রাখা হয়েছে। নিয়মিত পানি না দেওয়ার কারনে ধূলায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে জন জীবন। আলু রোপনের এই সময় সব ধরনের যান চলে অন্য সময়ের তুলনায় অনেক বেশি।এজন্য দ্রুত কাজ শেষ করতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।রাস্তা নির্মাণ কারী ঠিকাদার ওয়াসিম জানান, রাস্তার কাজ শেষ করতে পেরেছি। কারন এদু রাস্তা উপজেলার মুল সড়ক হিসেবেই পরিচিত। এজন্য আগেই শেষ করা হয়েছে। তবে মাঝে টানা বৃষ্টি না হলে আরো আগে শেষ হত।উপজেলা প্রকৌশলী সাইদুর রহমান বলেন, সড়কের কাজ যাতে সঠিক ভাবে হয় এজন্য সব সময় মনিটরিং করা হয়েছে। গ্রামীন অনেক রাস্তার কাজ চলমান রয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই হবে বলে আশাবাদী এই কর্মকর্তা।উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না বলেন, গ্রামীন জনপদকে শহরে রুপান্তরিত করতে বর্তমান সরকারের পরিকল্পনা মোতাবেক সাংসদ সাবেক শিল্পপ্রতি মন্ত্রী আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী বাস্তবায়ন করছেন।যার অনেক দৃষ্টান্ত রয়েছে।প্রতিটি সেক্টরে দৃশ্যমান মান উন্নয়ন। যা অনেকেই কল্পনাও করেননি।সকল ধরনের উন্নয়ন করছেন বর্তমান সরকারের প্রতিনিধি পোড়া মাটির শহীদ পরিবারের সন্তান সাংসদ।
১ view