সারোয়ার হোসেন,তানোর প্রতিনিধি দৈনিক শিরোমণিঃ রাজশাহীর তানোরে আলুর হিমাগার মালিকরা ঋনে সার বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে কোন ধরনের কাগজপত্র ছাড়াই তারা বস্তার বস্তা সার বিক্রি করছেন বলেও নিশ্চিত হওয়া গেছে। অথচ প্রান্তিক চাষিরা বাড়তি দাম দিলেও পাচ্ছেনা সার।অন্য দিকে হিমাগারেরা প্রচুর সার মজুত করে তাদের নিজস্ব চাষিদের দিচ্ছেন প্রয়োজনীয় সকল ধরনের সার।ফলে সার নিয়ে কারসাজি কোনভাবেই বন্ধ হচ্ছেনা।এতে করে চরম ক্ষতির মধ্যে পড়ছেন প্রান্তিক চাষিরা।জানা গেছে,উপজেলায় রহমান গ্রুপের দুটি,আমান গ্রুপের একটি,তামান্না গ্রুপের একটি ও আল মদিনা সিডস নামের একটি সহ মোট ছয়টি হিমাগার রয়েছে।তাদের মাধ্যমে মৌসুমি যে সব আলু চাষিরা ঋন নিয়ে চাষ করে থাকেন তাদেরকেই বাড়তি দামে দেওয়া হয় সার।এমনকি সার গাড়িতে আনলোড করার সময় কাগজ দিলেও গেটে পুনরায় নিয়ে নেওয়া হয়।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কিছু আলু চাষিরা জানান,হিমাগার ও সার ডিলারদের মাঝে গড়ে উঠেছে এক প্রকারের সিন্ডিকেট। কারন ডিলারদের কাছ থেকে কি দামে কিনছে আর ঋনে কি দামে দিচ্ছে এসব তারাই যানে।আমাদের কাছ থেকে স্ট্যাম্প ও ফাকা চেক এবং ১৮% হারে সুদ নেয়।যা দেশের কোথাও আছে বলে জানা নেই।এরাই বড় সিন্ডিকেট। খোজ নিয়ে জানা যায়,চলতি মাসের গত মঙ্গলবার দুপুরের দিকে দেবিপুর মোড়ের পশ্চিমে হেরো ট্র্যাক্টরে করে বিভিন্ন প্রকারের সার নিয়ে যেতে দেখে সন্দেহ হলে এলাকাবাসী গাড়িটি আটকে দেন।ওই এলাকার কৃষক আব্দুল, মফিজসহ বেশ কিছু আলু চাষিরা জানান আমরা লাইনে দাড়িয়ে থেকেও প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম সার পেয়েছি। কিন্তু বাড়তি দামে বিভিন্ন এলাকা থেকে নিতে হয়েছে সার।কিন্তু হেরোতে সার দেখে আটকে দেওয়া হয়।পরে খয়বর নামের এক ব্যক্তি এসে বলেন সার আমার,আমি আমান হিমাগার থেকে নিয়েছি।তবে কোন ধরনের কাগজপত্র দেখাতে পারেনি।খয়বর জানান আমার বাড়ি মোহনপুর থানায়, আমি আমান হিমাগার থেকে ঋন নিয়ে আলু চাষ করছি।তার বিনিময়ে তাদেরকে আলু দিতে হবে এর বেশি কিছু বলতে চাননি তিনি।আমান হিমাগারের ম্যানেজার জালাল জানান,আমাদের মাধ্যমে যারা ঋন নিয়ে আলু চাষ করেন আমরা তাদেরকে সার দিই।কিন্তু কোন মেমো দিইনা, আর দেওয়াও লাগেনা। এসব বহু দিন থেকে হয়ে আসছে।উপজেলা কৃষি অফিসার শামিমুল ইসলামের সাথে মোবাইলে এবিষয়ে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে নম্বর শুধু বিজি আর বিজি পাওয়া যায়।
০ views