শেখ সিরাজুল ইসলাম : তালায় জনগণের বাধা উপেক্ষা করে বালিয়া ডুমুরিয়া খেশরা বিলে লোনা পানি তোলার ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে একটি প্রভাবশালী মহল। নিরীহ জনগণের মুখের গ্রাস কেড়ে নিয়ে প্রভাবশালী মহলটি লোনা পানি উঠিয়ে তিনটি বিল নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয়ার জোর ষড়যন্ত্রে চালিয়ে যাচ্ছে। এলাকার সাধারন জনগন লোনা পানির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে থাকলেও প্রভাবশালী মহলটি ক্ষমতা ও টাকার জোরে বিভিন্ন মহল কে ম্যানেজ করে লোনা পানি উঠিয়ে তিনটা বিল নিজেদের আয়ত্তে নেয়ার জোর ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। লোনা পানির তোলার বিষয়ে কেউ বাধা হয়ে দাঁড়ালে তাকে গেটের ভিতরে চালিয়ে দেয়া হবে এমন হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অগণিত এলাকাবাসীর। এ বিষয়ে ইং (৬মে) সকাল আনুমানিক সাত ঘটিকায় বালিয়া ভাঙ্গলকুল পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির উপ কমিটি এলাকায় ঢোল পিটিয়ে বিকাল (৪) ঘটিকায় লোনাপানির পক্ষে-বিপক্ষের সমর্থকদের ডুমুরিয়ায় স্কুল মাঠে জরুরী জনসভায় উপস্থিত হওয়ার জন্য ঘোষণা দেন। ঘোষণা অনুযায়ী বিকালে ডুমুরিয়ায় স্কুল মাঠে উভয় পক্ষের লোকজন উপস্থিত হয়। বালিয়া ভাঙ্গনকুল পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির উপকমিটির সভাপতি মোঃ হাফিজুল মোড়লের সভাপতিত্বে এবং কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ মনিরুজ্জামান মোড়লের উপস্থাপনায় এই জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় লোনাপানির পক্ষে হাত উঁচু করে সমর্থন চাইলে লোনাপানির পক্ষে মাত্র চার থেকে পাঁচজন ব্যক্তি সমর্থন করেন। লোনা পানির বিপক্ষে সমর্থন চাওয়া মাত্রই মাঠে উপস্থিত অগণিত জনগণের ভিতর চার থেকে পাঁচ জন ছাড়া সকলের হাত আকাশমুখি হয়ে ওঠে, এক কথায় ডুমুরিয়া স্কুল মাঠে লোনাপানির বিরুদ্ধে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়। এ সময় উপস্থিত এলাকাবাসী বলেন, আমরা বিলে এক বিঘা জমিতে এক মৌসুমে বিশ থেকে সর্বোচ্চ আঠাষ মন পর্যন্ত ধান পাচ্ছি, ধান কেটে বিলে পাট রোপন করেছি, সামনে বর্ষার মৌসুমে ধানের সাথে মিষ্টি পানির মাছ চাষ করব, এ ছাড়াও জমির বাধে সবজি চাষ করব, সবমিলিয়ে জমিতে আমরা মিষ্টি পানির মাছ সহ তিনটির অধিক সোনার ফসল পাচ্ছি, আমরা জীবন থাকতে বিলে লোনা পানি উঠাতে দেবো না। এসময় উপস্থিত এলাকাবাসী আরো বলেন বিলে যার যেটুকু জমি আছে সে সেটুকু চাষাবাদ করে খেয়ে পরে বেঁচে থাকতে পারছে। এলাকাবাসী আরো বলেন, প্রভাবশালীরা বিলে লোনা পানি তুলে তিনটি বিল তাদের আয়ত্তে নিতে পারলে এলাকায় খাদ্যের জন্য হাহাকার লেগে যাবে, একই সাথে দিনমজুরদের জন্য থাকবে না কোনো কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ১০ নম্বর খেশরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ কামরুল ইসলাম লাল্টু বলেন, আমার ইউনিয়নের সাধারন জনগনের রুটিরুজি নষ্ট করে কোন প্রভাবশালীদের বিলে লোনা পানি তুলতে দেয়া হবে না, এলাকার সাধারণ জনগণ যেটা চাইবে সেটাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হিসাবে গণ্য হবে। নিরীহ এলাকাবাসী বালিয়া ডুমুরিয়া খেশরা বিলে লোনা পানি উঠানো বন্ধের জন্য জেলা উপজেলা প্রশাসন-সহ জন-প্রতিনিধিদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।