এস এ ডিউক ভূঁইয়া ,তিতাস (কুমিল্লা) ঃ
কুল্লিার তিতাসে সংস্কারের অভাবে বেহাল গাজীপুর টু জগতপুর রাস্তাটি। দীর্ঘ ৩ কিলোমিটার রাস্তাটির চরম বেহালদশা। গোটা রাস্তায় পিচের আস্তরণ উঠে অংসখ্য খানাখন্দ তৈরি হয়েছে। ওই সব গর্তে এখন বালি আর ধূলাবালির খেলা। বর্ষা মৌসুমে জল জমে প্রায় ডোবায় পরিণত হয় বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। যাতায়াত করাই দুষ্কর। গুরুত্বপূর্ন গাজীপুর- জগতপুর বাজার রাস্তাটি একটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে কমবেশী কয়েক হাজারেরও বেশি মানুষ যাতায়াত করেন। চলে অংসখ্য সিএনজি, রিকসা ও অটোরিকশা। খানাখন্দে ভরপুর রাস্তাটিতে হরহামেশাই ঘটছে ছোটখাট দুর্ঘটনা। বেহাল রাস্তাটি অবিলম্বে সংস্কারের দাবি তুলেছেন স্থানীয় মানুষজন।এই রাস্তার ধারেই রয়েছে বেশ কয়েকটি প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল ও মাদ্রাসা ও ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়। প্রতিদিন তাই এই রাস্তাার উপরই নির্ভর করেন হাজার হাজার বাসিন্দা।স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বেশ কয়েক বার রাস্তা সংস্কারের জন্য লোকজন এসেছিল কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। রাস্তাটির কিছু অংশ বলরামপুর ইউনিয়ন ও কিছু অংশ জগতপুর ইউনিয়নে পরেছে। প্রায় ১২ বছর যাবত রাস্তাটির দূরবস্থা। মনে হয় যেন দেখার কেউ নেই। সাগরফানা এলাকার মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন, ১২ বছর ধরে রাস্তাটির চিত্র খুবই খারাপ। চলার মতো অবস্থা নেই। রোগী কিংবা গর্ভবতী মহিলাদের খাটিয়ায় করে হাসপাতালে নিতে হয়। সে যেন এক বিভীষিকাময় পরিস্থিতি । রাস্তায় অসংখ্য গর্ত। যে কোনও সময়ে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা প্রবল। গাজীপুর- জগতপুর বাজার রাস্তাটির বেহাল দশার কথা স্বীকার করেছেন জগতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মজিবুর রহমান। তিনি জানান, ‘‘রাস্তাটি মেরামত ও সংস্কারের জন্য ইতিমধ্যেই উপজেলা মাসিক মিটিং ও সমন্বয় মিটিংয়ে কথা বলেছি। কিন্তু কিছুই হচ্ছে না। জনগণ গালি দেয়, মনে হয় আমাদের কিছুই করার নেই। আমরা ব্যর্থ। রাস্তাটি এলজিইডির হওয়ায় আমরা এর কাজ করতে পারছি না। আমি আশাবাদী কর্তৃপক্ষ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে রাস্তাটি মেরামত ও সংস্কার করবেন।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]