এস এ ডিউক ভূঁইয়া-তিতাস(কুমিল্লা)থেকেঃ
কুমিল্লার তিতাসে শুক্রবার জুম্মার নামাজের সময় বাতাকান্দি বাজারের ৪ টি দোকানে চুরির অভিযোগ পাওয়া গেছে।ঘটনাটি ঘটেছে ২৬ মার্চ শুক্রবার জুম্মার নামাজের সময় বাতাকান্দি বাজারের আলম সুপার মার্কেটের ৩ টি দোকানে ও আব্দুস সালাম প্লাজার ১টি দোকানে। এহেন চুরি ঘটনায় সরজমিনে অনুসন্ধানে গিয়ে জানা যায় ২৬ মার্চ শুক্রবার জুম্মার নামাজের সময় বাতাকান্দি বাজারের আলম সুপার মার্কেটের জিমি ফ্যাশন এন্ড গিফ কর্ণারের তালা কেঁটে ভিতরে প্রবেশ করে নগদ-২৫ হাজার টাকা চুরি করে নিয়ে গেছে বলে জানায় জিমি ফ্যাশন এন্ড গিফ কর্ণারের প্রোঃ মোঃ জামাল মোল্লা।এদিকে একই সময় একই মার্কেটর এস আর ফ্যাশনের তালা কেঁটে ভিতরে প্রবেশ করে নগদ-১৫ হাজার টাকা চুরি করে নিয়ে গেছে বলে জানায় এস আর ফ্যাশনের প্রোঃ মোঃ সাইফুল ইসলাম। একই সময় একই মার্কেটের আল্লাহর দান বস্ত্র বিতানের তালা কেঁটে ভিতরে প্রবেশ করে নগদ-১ লক্ষ ২৭ হাজার ৩ শত টাকা চুরি করে নিয়ে গেছে বলে জানায় আল্লাহর দান বস্ত্র বিতানের প্রোঃ মোঃ ইসমাইল হোসেন।এদিকে একই সময় একই বাজারের আব্দুস সালাম প্লাজার স্টুডেন্ট লাইব্রেরী এন্ড খেলা ঘরের তালা কেঁটে ভিতরে প্রবেশ করে নগদ-৪-৫ হাজার টাকা ও ২ টি মোবাইল ফোন যার মূল্য-৩ হাজার টাকা চুরি করে নিয়ে গেছে বলে জানায় স্টুডেন্ট লাইব্রেরী এন্ড খেলা ঘরের প্রোঃ মোঃ নাছির উদ্দিন।
এদিকে ২৫ মার্চ বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে উপজেলার গাজীপুরস্থ ছাত্র লীগের প্রধান কার্যালয়ের পশ্চিম দিকে ইসমা ট্রেডিংএর বাহিরে রাখা সোয়াবিন তেল ভর্তি ১ টি ড্রাম যার মূল্য ২৫ হাজার ১ শত টাকা চুরি করে নিয়ে গেছে বলে জানায় ইসমা ট্রেডিংএর প্রোঃ আসকাফুল ইসলাম নাদিম।
এদিকে গত ২৩ মার্চ মঙ্গলবার দিবাগত আনুমানিক রাত ২ টার দিকে উপজেলার সদর কড়িকান্দি বাজারের মেসার্স জান্নাত জেনারেল স্টোরের বাহিরে রাখা সোয়াবিনের ৩টি তেল ভর্তি ড্রাম চুরি করে নিয়ে যায়।যার মূল্য ৭৫ হাজার টাকা বলে জানায় মেসার্স জান্নত জেনারেল স্টোরের প্রোঃ মোঃ ইয়াছিন ভুঁইয়া।এদিকে একই রাতে একই বাজারের রিপন স্টোরের বাহিরে রাখা সয়াবিন তেল ভর্তি ৪ টি ড্রাম চুরি করে নিয়ে যায়।যার মূল্য প্রায় ১লক্ষ টাকা বলে জানায় রিপন স্টোরের প্রোঃ মোঃ রিপন মিয়া।
এদিকে ৭ মার্চ রবিবার দিবাগত রাতে উপজেলার
ভিটিকান্দি ইউনিয়নের পোড়াকান্দি গ্রামে জহির নামে এক সিঁদেল চোরকে আটক করেছে গ্রামবাসী। জানা যায় সে মজিদপুর ইউনিয়নের বালুয়াকান্দি গ্রামের আ'লীগ নেতা ছাদির মিয়ার ছেলে।তার শশুর বাড়ী একলারামপুর।তার বাবা এসকল অপকর্মের কারণে বাড়ী থেকে তাকে বের করে দিয়েছে।তবে তার আসল পরিচয় কারো কাছেই স্বীকার করছে না।সে একেক সময় একক রকমের কথা বলছে। একবার বলছে, তার বাড়ী মেঘনার চর।তার নাম জাহাঙ্গীর আলম,পিতা আব্দুর রহমান। একটু পর আবার বলছে,তার বাড়ী কড়িকান্দি গ্রামের উত্তর পাড়া।আবার বলছে,তার বাড়ী মজিদপুর। তার সাথে আরও দু'জন রয়েছে বলে সে জানায়।তারা হলো ভিটিকান্দি গ্রামের সুবিদ আলীর ছেলে রবি ও কদমতলী গ্রামের আকিল। তাকে বেদম প্রহার করা হয়েছে,তার শরীরের হাত ও পায়ে জখম রয়েছে। গণধোলাই দেওয়া হয়েছে বিষয়টি স্পষ্ট।সে আরও জানায় মাদকের কারণেই চুরি করে।জানা যায়
পোড়াকান্দি গ্রামের অজিত এর ঘরে সিঁদ কাটে চোরের দল।অজিত এর স্ত্রী রুমা জানায় রাত প্রায় ২.৩০ টা ৩ টা হবে হঠাৎ একটি শব্দ আসায় ঘুম ভেঙে যায়।তখন দেখি ঘরের ভিতরে বড় বড় চোখ মেলে একটি লোক দাঁড়িয়ে আছে। আমি চিৎকার করায় সে পালিয়ে যায়।আমরা ভয়ে আছি,এভাবে কি জীবন চলে? আমরা নিরাপত্তা চাই, আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি।এদিকে মমতাজ বেগম(৬৫) বলেন,আমার গাছের কলা ও অন্যান্য ফল রাখতে পারছি না চোরের কারণে।
দাসকান্দি গ্রামের শাহ আলমের ছেলে চা দোকানদার হুমায়ন এসব করাচ্ছে। সেএকজন মাদক ব্যবসায়ীও বটে। নোয়াখালী-ফেনীতে সে এসব অপকর্ম করে বিতাড়িত হয়েছে। এই দিকে পোড়াকান্দি গ্রামের প্রবাসী ইলিয়াস হোসেন বলেন, পোড়াকান্দি গ্রামের শামসুল হকের ছেলে আনোয়ার হোসেন চুরি ডাকাতির ঘটনার সাথে জড়িত। কিছুদিন আগে সে আমার টিউবওয়েল চুরি করে এবং হাতে নাতে তাকে ধরে ফেলি।আমাকে সে হুমকি-ধামকি দেয় কিছু বললে মেরে ফেলবে।একজন নামাজ পড়ি আরেক জন পাহারা দেই। টয়লেটে বসে বসেও ফাকা জায়গা দিয়া চোর ডাকাত পাহারা দেই। সে এক ভয়াবহ পরিস্থিতি! আমাদের ঘুম নিন্দ্রা কিছুই নাই। দাসকান্দি গ্রামের ফিরোজ মিয়ার ছেলে আলী আক্তার বলেন,তালা কেঁটে ইসমাইল এর বাবা মুকবুল হোসেন এর ঘর থেকে ২ টি মোবাইল চুরি করেছে আজকের চোরের দল।তাকে আমরা ধরতে সক্ষম হই এবং আটককৃত চোরকে পুলিশের নিকট সোপর্দ করেছি।
এদিকে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি রবিবার রাত ৯ টার দিকে বলরামপুর ইউনিয়নের উলুকান্দি গ্রামের মৃত সুবল সরকারের ছেলে সুমন সরকার (৩৫)এর গোয়ালঘর থেকে কালো রংয়ের একটি ৭ মাসের গাভীন গরু চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় প্রতিবেশি আবুল কালাম আজাদের স্ত্রী রিনা বেগম টের পেয়ে টস লাইট মেরে কালো রংয়ের গরুটি নিয়ে যেতে দেখে ফেললে তখন চোর গরুটি ফেলে নিজের জীবন বাঁচানোর জন্য পালিয়ে যায় বলে জানায় গরুর মালিক সুমনের মা মরিয়ম বেগম।একই রাত ৩ টার দিকে কড়িকান্দি
(সদর) ইউনিয়নের বন্দরামপুর গ্রামের মৃত আব্দু খন্দকারের ছেলে হাজিব খন্দকার (৩৫) এর দু'চালা ঘরের পূর্ব দিকে দু'টি সিদ কেটে দুচালা ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে ১টি মোবাইল ফোন যার মূল্য-১২ হাজার টাকা,নগদ ৫ হাজার ৫'শ টাকা ও ইসলামী ব্যাংক গৌরীপুর শাখার একটি চেক বই চুরি করে নিয়ে যায় বলে জানায় হাজিব খন্দকারের স্ত্রী ফাতেমা।একই রাতে একই বাড়ীর মৃত মাহফুজ খন্দকারের ছেলে আবুল কাসেম (৭০) পায়খানায় গেলে এসুযোগে ঘরের ভিতরে ভিতরে প্রবেশ করে ১টি মোবাইল ফোন,যার মূল্য-১ হাজার ৫শ' টাকা ও গায়ের ১ টি বিদেশী চাদর যার মূল্য-৫ হাজার টাকা চুরি করে নিয়ে গেছে বলে জানায় আবুল কাসেম।
এদিকে গত ৯ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দিবাগত রাতে উপজেলার বাতাকান্দি সরকার বাড়ীর মৃত দেলোয়ার হোসেন সরকারের ছেলে মেসার্স শাহ আমানত ট্রেডার্সের প্রোঃ মোঃ রুবেল সরকারের বাতাকান্দি বাজারের চাউলের গোডাউনের তালা ভেঙ্গে ৪৪ বস্তা চাউল নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। যার মূল্যে আনুমানিক ১ লক্ষ টাকা বলে জানায় মেসার্স শাহ আমানত ট্রেডার্সের প্রোঃ মোঃ রুবেল সরকারর।
এদিকে গত ৪ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতের ভোর ৫ টার দিকে উপজেলার বলরামপুর ইউনিয়নের উলুকান্দি গ্রামের মৃত মুন্সী মুতি ব্যাপারীর ছেলে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ আলাউদ্দিন মুন্সীর বাড়ীতে চোর প্রবেশ তাঁর ব্যবহিত ৭০ হাজার টাকা মূল্যের পালসার
মোটরসাইকেলটি চুরি করে নিয়ে গেছে বলে জানায় মোটর সাইকেলের মালিম মোঃ আলাউদ্দিন মুন্সী।
এদিকে গত ২৩ জানুয়ারি শনিবার দিবাগত রাতের কোনো এক প্রহরে উপজেলার বলরামপুর ইউনিয়নের ছাত্র লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম সারোয়ার মাসুম এর দক্ষিণ আকালিয়ার বাড়ীতে চোর প্রবেশ করে তাঁর ব্যবহিত মোটর সাইকেলটি চুরি করে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। যার মূল্য ৬৫ হাজার টাকা বলে জানায় মোটর সাইকেলের মালিক গোলাম সারোয়ার মাসুম।
এদিকে গত ১৮ ডিসেম্বর শুক্রবার জুম্মার নামাজের সময় উপজেলার আসমানিয়া বাজারে চুরি করতে এসে জনতার হাতে ধরা খেলো ৪ চোর।আটককৃত চোর চক্রকে জনতা গণধোলাই দিয়ে পুলিশের নিকট সোপর্দ করেছে।আটককৃত চোর চক্ররা হলো মুরাদনগরের জয়নাল(২০),দেবিদ্বারের মোর্শেদ (৩০),চট্টগ্রাম আকবারশার মাসুদ(২৬) ও কুমিল্লার চৌমুহনীর রবি(২৫)। স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায় শুক্রবার জুম্মার নামাজের সময় আসমানিয়া বাজারের বিভিন্ন দোকানে চুরি করার সময় জনতার হাতে ধরা পরে।
এদিকে গত ২৯ শে ডিসেম্বর মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার মাছিমপুর বাজারের মিতালী ডিজিটাল স্টুডিও এন্ড ভিডিও দোকানের সাটার কেঁটে দোকানের ভিতরে চোর প্রবেশ,করে ২ টি ক্যামেরা,১টি মোবাইল ফোন ও নগদ-২৪ হাজার টাকা চুরি করে নিয়ে গেছে বলে জানায় মিতালী ডিজিটাল স্টুডিও এন্ড ভিডিও দোকানের মালিক তাপস রায়।
এদিকে গত ১৪ নভেম্বর শনিবার রাত ২ টার দিকে উপজেলার মজিদপুর ইউনিয়নের মোহনপুর গ্রামের মৃত আশাদ ব্যাপারী ছেলে মোঃ বাবুল মিয়ার ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা মূল্যের (গাড়ী নম্বর থ ২৯১২)সিএনজিটি মোহনপুর ব্রিজের পাশের গ্যারেজ থেকে চুরি করে নিয়ে গেছে বলে জানায় সিএনজির মালিক মোঃ বাবুল মিয়া।
এদিকে গত ১৪ অক্টোবর বুধবার সকালে হোমনার পঞ্চবটি স্ট্যান্ড থেকে ৪ টাকা চুক্তিতে তিতাস উপজেলার কলাকান্দি ইউনিয়নের মাছিমপুর বাজারে আপডাউন ভারা হিসেবে অটোরিক্সা নিয়ে যায় ৪ জন।এরপর মাছিমপুর বাজার মসজিদ গেইটের সামনে এসে অটোরিক্সা চালককে অজ্ঞান করে অন্য একটি সিএনজিতে তুলে মুরাদনগর সরকারি হাসপাতালে ফেলে যায়।এদিকে সিন্ডিকেটের ৪ জন মলমপাটির সদস্যরা অটোরিক্সা নিয়ে যায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এদিকে গত ৩০ অক্টোবর শুক্রবার তিতাস উপজেলার(সদর) কড়িকান্দি বাজারে জুম্মার নামাজের সময় একটি চোর চক্র ৩ টি দোকানের তালা কেঁটে ভিতরে প্রবেশ করে ৩ টি দোকান থেকে নগদ- ৭ লক্ষ টাকা নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এদিকে গত ৫ সেপ্টেম্বর শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলার মজিদপুর ইউনিয়নের বালুয়াকান্দি গ্রামের সৌদি প্রবাসী মোঃ মুক্তড় হোসেন এর বাড়ীতে দুর্ধর্ষ চুরি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।জানা যায় তাঁরা পাঁচ ভাই প্রবাসে থাকায় তাঁর মা ও ছোট ভাইয়ের স্ত্রী শিপাকে নিয়ে বাড়ীতে বসবাস করেন। ঘটনার দুই দিন আগে বাচ্চা প্রসব করার জন্য তাঁর ভাবি শিপাকে ঢাকা নিয়ে যায়।ওই বাড়ীতে কোনো লোক না থাকায় ফাঁকা বাড়ী পেয়ে এ সুযোগে দরজা ভেঙে ভিতরে চুর প্রবেশ করে ১০ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ-৫ লক্ষ টাকা ও ১ টি ৫২ ইঞ্চি এলইডি টিভিসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র হাতিয়ে নিয়ে যায় চোরেরা।পূর্বের শত্রুতার জের ধরে এঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারনা করেন তাঁরা।
এদিকে গত ৬ সেপ্টেম্বর শুক্রবার দুপুরে জগতপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মোঃ দেলোয়ার হোসেন এর মোটরসাইকেলটি উপজেলার বাতাকান্দি মুরগী বাজার মোবারক এর বাড়ীর সামনে থেকে চুরি করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ উঠেছে।অভিযোগ সূত্রে জানা যায় মোটরসাইকেলের নাম (ডিসকাভার-১২৫) সিসি যাহার রেজিঃ নং ঢাকা মেট্রো হ-২৬৮৮৪৫, ইঞ্জন নংJZZWGL-৪৫৯৮৪,চেসিস নং MD2A15B Z2GWL-৯২৭৭৯।আনুমানিক বেলা আড়াই টার দিকে বাতাকান্দি মুরগী বাজারে মোটরসাইকেলটি রেখে মোবারক এর বাসায় খাবার খাওয়ার জন্য যায় দেলোয়ার হোসেন।খাবার শেষে ফিরে এসে দেখে রেখে যাওয়া মোটরসাইকেলটি নেই। সম্ভাব্য সকল জায়গায় খোঁজাখুঁজি করার পরও কোনো সন্ধান মেলেনি মোটরসাইকেলটির। যার মূল্য-১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা বলে জানায় মোটরসাইকেলের মালিক জগতপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মোঃ দেলোয়ার হোসেন।
এদিকে গত ৮ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার রাতের কোনো এক প্রহরে তিতাস উপজেলার বাউন্ডারী ভিতরে সাব রেজিস্ট্রার অফিসের দরজার গিরিল কেঁটে ভিতরে প্রবেশ করে চোর চক্র। এসময় অফিসে রক্ষিত ১৫ হাজার ৭'শ ৫৫ টাকা চুরি করে নিয়ে যায় এবং অফিসের ৪ টি স্টীলের আলমারি ও ৩ টি টেবিল ওয়ারড্রয়ার ভেঙে কাগজ পত্র তছনছ করে ফেলে যায় চোর চক্র। এরপরের দিন বুধবার সকালে অফিস সহকারী মাহবুব অফিসে এসে দেখে প্রধান দরজার তালা খুলে ভিতরে প্রবেশ করে দেখতে পায় অফিসের সকল আলমারি খোলা এবং প্রতিটি টেবিলের ড্রয়ার উপরে কাগজ পত্র তছনছ করা অবস্থায় পড়ে রয়েছে।মাহবুব তাৎক্ষনিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাম্মৎ রাশেদা আক্তারকে চুরির ঘটনা জানালে তিনি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ পারভেজ হোসেন সরকারকে ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) সৈয়দ মোহাম্মদ আহসানুল ইসলামকে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।এবিষয়ে তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) সৈয়দ আহসানুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, সাব রেজিস্ট্রার অফিসের অফিস সহকারী মানোয়ারা বেগম বাদী হয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।তার-ই আলোকে চোর চক্র করে সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা অব্যাহত আছে।
এদিকে গত ১৬ আগস্ট রবিবার দিবাগত রাতের কোনো এক প্রহরে উপজেলার কলাকান্দি ইউনিয়নের মাছিমপুর গ্রামের সৌদি প্রবাসী মোঃ মোস্তাক ব্যাপারীর ছেলে মোঃ তারেক এর ব্যবহিত(ইয়ামা আর-১৫ বি-২) মোটরসাইকেলটি তার বাড়ী থেকে চুরি করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। যার মূল্য-১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা বলে জানায় মোটরসাইকেলের মালিক মোঃ তারেক।
এদিকে গত ১৮ জুলাই মঙ্গলবার দিবাগত রাতের কোনো এক প্রহরে উপজেলার কলাকান্দি ইউনিয়নের মাছিমপুর গ্রামের সুনিল মিস্ত্রির ছেলে বিশিষ্ট ফার্নিচার ব্যবসায়ী সঞ্জয় চন্দ্র দাসের বাড়ীতে চুর প্রবেশ করে তাঁর ব্যবহিত(লাল রংয়ের ডিসকভার-১০২০৫, যার নম্বর কুমিল্লা ১৩৭১০১) মোটরসাইকেলটি চুরি করে নিয়ে যায়।যার রেজিস্ট্রেশনসহ মূল্য-১ লক্ষ ৬৩ হাজার টাকা বলে জানায় মোটরসাইকেলের মালিক বিশিষ্ট ফার্নিচার ব্যবসায়ী সঞ্জয় চন্দ্র দাস।
এছাড়া মাছিমপুর বাজারের আরিফা স্টোরের তালা কেটেঁ রাত ২ টার দিকে ভিতরে চোর প্রবেশ করে ২'লক্ষ-৫০ হাজার টাকার মালামাল চুরি করে নিয়ে গেছে বলে জানায় আরিফা স্টোরের প্রোঃ মোঃ রিপন মিয়া।
এদিকে গত ৫ ফেব্রুয়ারি বুধবার দিবাগত রাতে মাছিমপুর বাজারের কাজী রবিউল খান টেলিকমের সাটারের তালা কেঁটে চোর ভিতরে প্রবেশ করে নগদ-১ লক্ষ টাকা চুরি করে নিয়ে গেছে বলে জানায় কাজী রবিউল খান টেলিকমের প্রোঃ কাজী রবিউল আওয়াল খান।একই রাতে মাছিমপুর বাজারের ত্রীনার্থ স্টোরের সাটারের তালা কেঁটে চোর ভিরতে প্রবেশ করে নগদ-২০ হাজার টাকা ও ৭ হাজার টাকা মূল্যের একটি হাত ঘরি চুরি করে নিয়ে গেছে বলে জানায় ত্রীনার্থ স্টোরের প্রোঃ বিমল দেব নার্থ।
এর আগেও মাছিমপুর বাজারের দিনদুপুরে আকাশ স্টোরের চালের টিন কেঁটে ভিতরে চোর প্রবেশ করে নগদ-৭০ হাজার টাকা চুরি করে নিয়ে গেছে বলে জানায় আকাশ স্টোরের প্রোঃ নুর মোহাম্মদ।
এছাড়াও মাছিমপুর গ্রামের মোঃ লাল মিয়ার ছেলে কবুতর ব্যবসায়ী মোঃ জুয়েল মিয়ার বাড়ীতে রাতের কোনো এক প্রহরে চুর প্রবেশ করে ৫ লক্ষ টাকার বিদেশী কবুতর গুলো চুরি করে নিয়ে গেছে বলে জানায় কবুতর ব্যবসায়ী মোঃ জুয়েল মিয়া।
এছাড়া রাতের কোনো এক প্রহরে উপজেলার(সদর) কড়িকান্দি বাজারের ভূঁইয়া ইলেকট্রনিক্সের দোকানের তালা কেঁটে দোকানের ভিতরে প্রবেশ করে ৭টি টিভি,২টি ফ্রিজ,১০ টি ফ্যান ও নগদ-৭০ হাজার টাকাসহ দোকান থেকে ইলেকট্রনিক্সের বিভিন্ন মালামাল লুটে নিয়ে গেছে বলে জানায় কড়িকান্দি(সদর)ইউনিয়ন
আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ভূঁইয়া ইলেকট্রনিক্সের প্রোঃ মোঃ ছাইদুর রহমান ভূঁইয়া।
একই কায়দায় বিভিন্ন হাট বাজার কিংবা বিভিন্ন গ্রামে একাধিক চুরির ঘটনায় ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে অভিযোগ উঠেছে তিতাস উপজেলায় প্রতিদিনই ঘটছে চুরির ঘটনা।এহেন একাধিক চুরির ঘটনায় যেনো এক অজানা আতংকের সৃষ্টি হয়েছে তিতাসে।এই অজানা আতংকের মধ্যেই কোনো রকম বসবাস করছে তিতাসের মানুষ!
এবিষয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ শওকত আলীর মোবাইল ফোনে কল করা হলে তিনি বলেন, সাক্ষাতে এবিষয়ে কথা বলব বলে ফোনটি তিনি কটে দেন।
একাধিক চুরির ঘটনার বিষয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর কড়িকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ মহসীন ভূঁইয়া'র মোবাইল ফোনে কল করা হলে তিনি বলেন,রাতের বেলায় ডিউটি দিতেছি, দিনের বেলায়ও কি আমরা ডিউটি দিমু নাকী।আর সিসি ক্যামেরা বাজারের ভিতরে এমন লোক আসা যাওয়া করে এটা তো বিশ্বাস যাবে কেমনে।আর ফাইনালসিয়াল ব্যাপার সেপার আছে তো। যা-ই হউক আমরা ব্যবসায়ীদের সাথে আলাপ করে বাজারে সিসি ক্যামেরা লাগানোর জন্য স্বইচ্ছায় যে যা দেয় এবং আমরাও সহযোগিতা করে বাজারে সিসি ক্যামেরা লাগানোর ব্যবস্থা জন্য করবো।এদরনের ঘটনায় দোকানদারদের অসাবধানাতো আছে,নিজেরা দোকানে থাকেনা এবং বাহিরে মালামাল ফালাইয়া রাখে।বিভিন্ন গুরুত্ব পূর্ণ জায়গাতে সিসি ক্যামেরা লাগানোর জন্য বলা আছে এবং অলরেডি ব্যবস্থা হইতেছে। আর সব দোকানদার ও ব্যবসায়ীদের সাবধানে চলার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
চুরির ঘটনার বিষয়ে উপজেলা কৃষক লীগের সম্মেলন প্রস্ততি কমিটির আহবায়ক হাজী শাহ আলম সরকার এর মোবাইল ফোনে কল করা হলে তিনি বলেন,আমাদের প্রতিক্রিয়া কি আমরা তো চাই সব অপকর্ম নির্মূল করার জন্য। আমাদের তিতাসে যেনো কোনো চোর,ডাকাত ও নেশাখোর যাতে না থাকতে পারে। আমরা,অনুরোধ করি প্রশাসনকে ও সরকারি দলের উর্ধতন নেতৃবৃন্দকে।তারা আছেন যাতে দ্রুুত আমাদের তিতাস উপজেলা থেকে একবারে সকল অপকর্ম নির্মূল করে এটাই আমাদের কাম্য আর কি। এগুলোতো আমাদের সবারই ক্ষতি হইতেছে। জনগণ থেকে শুরু করে প্রশাসনের এবং সবারই ভাব মূর্তিক্ষুন্ন হইতেছে। আমরা চাই এগুলো নির্মূল করার জন্য জোর চেষ্টা চালিয়ে যাবে স্থানীয় প্রশাসন।
এবিষয়ে উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি মোঃ গাজী সোহেল রানা'র মোবাইল ফোনে কল করা হলে তিনি বলেন, আসলে এখন যে পরিস্থিতি বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মিটিং গুলো তিতাস উপজেলায় হয়।ওই মিটিং গুলোতে কোনো মন্তব্য প্রকাশ করার মত সুযোগ থাকে না। আমরা আওয়ামীলীগের সহযোগী সংগঠনের রাজনীতির সাথে জড়িত। সেসুবাদে আইনশৃঙ্খলা মিটিংয়ের কোনো চিঠি আমরা পাই না।তাই সহযোগি সংগঠনের রাজনীতি করেও সেই সুযোগ না পাওয়ায় এহেন ঘটনার বিষয়ে কিছু বলতে পাড়ি না। এবং আওয়ামীলীগের যতগুলো মিটিং হয়।সে মিটিংয়ে গুলোতে চুরি ও ডাকাতি প্রতিরোধে প্রস্ততিমূলক নির্দেশনাও দেয়া হয় না সহযোগি সংগঠনকে।তাহলে আমরা এখন কী করবো।
এবিষয়ে উপজেলা ছাত্র লীগের সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন সাদ্দাম এর মোবাইল ফোনে কল করা হলে তিনি বলেন,আমাদের তিতাস থানার ওসি ভালো উদ্যোগ নিয়ে গ্রামবাসী এবং সকল রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে উদবর্ধ করে থামানো গেছে ডাকাতি,এখন যেহেতু চুরির ঘটনা ঘটছে, দেশটা যেহেতু আমাদের সকলের আমরা সকলেই মিলেমিশে কাজ করতে হবে এবং চুরি- ডাকাতি নির্মূল করতে হবে।এজন্য সাধারণ জনগণসহ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সহযোগিতা কামনা করেছেন তিনি।
একাধিক চুরির ঘটনার বিষয়ে তিতাস থানার ওসি(তদন্ত) শহিদুল ইসলামের মোবাইল ফোনে কল করা হলে তিনি বলেন,দিনের যে পাটি শুক্রবারে চুরি করতো এগুলো তো ধরা পড়ে গেছে।সবার বাড়ী কিন্তু চট্টগ্রামে। এরা চট্টগ্রাম থেকে এসে এখানে আকামটা করে। হয়তো সেল্টার দিচ্ছে কেউ। এখানকার সেল্টার পাটিকে ধরতে হবে।এখন তো মনে করেন আমরাও থাকি বাহিরে।জনগণ, সাংবাদিক ও চেয়ারম্যান সবাই তো বাহিরে ডিউটি করতেছে,করতেছে না।তারপর মনে করেন যে দিনেদুপুরে চুরির ঘটনায় বার বার বলা হইতেছে প্রতিটা বাজারে সিসি ক্যামেরা লাগান,
পাহারার দেওয়ান, অথচ বাতাকান্দি হলো সবচের বড় বাজার। এখানে তিনটা চেয়ারম্যান আছে, এই বাজারের আওতাধীন অথচ আমরা সি সি ক্যামেরা লাগাইতে পারতেছিনা এই চেয়ারম্যান গো বইলা।এখন নামাজের সময় যদি একটা ঘরে চুরি হয়। সেক্ষেত্রে আমরা আর কত পাহারা দিব কন।এখন আমরা কি করবো জানেননি অনাকাঙ্ক্ষিত সময় দিনে হউক আর রাতে হউক যাদেরকে পাবো তাদেরকে নিয়ে আসবো ঠিক আছে।এই কিছু কিছু সময় আছে, নামাজের সময় দিনের ১ টা থেকে শুরু করে ২ টার মধ্যে যেসকল লোকদের আমরা বাহিরে পাবো বা বাজারের মধ্যে পাবো নিয়ে আসব।যা হউক আরো সতর্ক সবারই হইতে হবে বুঝছেননি।আমরা এই কারণে ঐ বিট পুলিশিং করেছি।যাতে আমাদের সাথে এলাকার লোকজন দ্রুুত সাড়া দেয়।