তিতাস(কুমিল্লা)প্রতিনিধিঃ কুমিল্লার তিতাসে ১০ বছর আগে কালভার্ট নির্মাণ করা হলেও দুই পাশে সংযোগ সড়ক না থাকায় এলাকাবাসীর কোন কাজে আসছে না এই কালর্ভাটটি।সংযোগস্থলে তৎকালীন এমদাদ চেয়ারম্যানের আমলে তার নীজ উদ্যোগে কিছু মাটি দিলেও সেটি বর্ষাকালীন মৌসুমের পানির সঙ্গে চলে গেছে অনেক আগেই।ফলে কালভার্ট এর উপর দিয়ে যানবাহন চলাচল তো দূরের কথা বরং ৮-১০ টি গ্রামের জনসাধারণের চলাচলেও ভোগান্তির শেষ নেই।জানা গেছে,২০১২ সালে ১১ লাখ টাকা ব্যয়ে উপজেলার জিয়ারকান্দি ইউনিয়নের
পূর্ব গোপালপুর হইতে রসুলপুর গ্রামের মানুষের চলাচলের সুবিধার্থে সরু রাস্তার মাঝখানে নির্জন চকের খালের উপর এই কালভার্টটি নির্মাণ করা হয়।কালভার্টের দুই পাশে ৮/১০ ফুট উঁচু থাকলেও সংযোগের দুই পাশে কোনো মাটি নেই।স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছি।আমরা ইউনিয়ন ও উপজেলার সুযোগ-সুবিধাসহ সব ধরণের সেবা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছি এই সমস্যার কারণে।রাস্তার অভাবে ইউনিয়ন বা উপজেলা সদরে কোনো জরুরি কাজ থাকলে সেখানে দ্রুত যেতে পারি না।পার্শ্ববর্তী দাউদকান্দি উপজেলার গলিয়ারচর দিয়ে নদী পার হয়ে যেতে ডাবল খরচ দিয়ে এবং সময় গচ্ছা দিতে হয়।এমনকি ফসল পর্যন্ত পরিবহন করতে পারছি না।নামমাত্র কালভার্ট দিয়ে রাখা হলেও আমাদের কোনো উপকারে আসছে না। এ রাস্তায় বর্ষাকালীন মৌসুমে গলা পানি হয়ে যায়, তাছাড়া ধান কাটার পর পরই এই রাস্তা পানিতে তলিয়ে গিয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে যায়।বৃষ্টি হলেতো কথাই নেই পিচ্ছিল ও কাদায় ভরে যায়।কালভার্ট সংলগ্ন নতুন বাড়ির মালিক জয়নাল আবেদিন (৬৫)বলেন,
কালভার্ট নির্মাণের পর পর জমি বরাট করেছি,বাড়ি করবো বলে কিন্তু ১০ বছর হয়ে গেলো
রাস্তাও হয়না স্বপ্নের বাড়িও বানানো হলনা।এই কালভার্ট আমাদের কোন উপকারেতো আসেই নি বরং ক্ষতিই হয়েছে।রাস্তা না হলে ঘরও করবো না।পূর্ব গোপালপুর গ্রামের কৃষক জামাল উদ্দিন জানান, এই কালভার্ট এলাকাবাসীর কাজে আসত, যদি রাস্তা থাকতো, যে খালের উপর কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে, সে খাল তেমন গভীর নয়,পাতা পানি মাত্র।আমরা খালের উপর দুইটা বাশ পেতে অনায়াসেই বোঝা নিয়ে যেতে পারতাম, কিন্তু এই কালভার্ট উচু হওয়ায় বোঝা নিয়ে উঠতে অনেক কষ্ট হয়।রাস্তা থাকলে হয়তোবা এমনটি হতোনা।আমরা অবহেলিত আমাদের এই রাস্তাটা নিয়ে কারো কোন ভাবনা নেই। পথচারী আনোয়ার হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, লাখ লাখ টাকা খরচ করে এখানে
কালভার্ট করেছে,কিন্তু কালভার্টের দুইপাশে রাস্তা না থাকায় তা আমাদের কোনো উপকারে আসছে না। তারা আরও বলেন,এলাকার মানুষের আবাদী শস্য,ভারী মালামাল হাট-বাজারে নিতে পায়ে হেঁটে পারাপার হতে হয়।আমাদের যদি কোনো জরুরি রোগী জেলা সদর ও হাদপাতালে যেতে হয়, তাহলে আমাদের পায়ে হাটা ছাড়া আর কোন উপায় নেই।বর্ষাকালীন মৌসুমে আমাদের খেয়া নৌকার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়।এক কথায় আমাদের ভোগান্তির শেষ নেই।এই ভোগান্তি থেকে আমরা মুক্তি চাই।এ ব্যাপারে জিয়ারকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী আলী আশ্রাফ বলেন,কালভার্ট হলেও দুর্ভাগ্যবসত রাস্তাটা হয়নি।আমি রসুলপুর হতে বড় একটি রাস্তার লিষ্ট দিয়েছি, আশা করি এটি হবে ইনশাআল্লাহ।রাস্তা না হওয়ায় কালভার্টটি অকেজো হয়ে আছে বলে জানা গেছে। তিতাস উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) আহসান উল্লাহ বলেন,এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যানকে বলেন।এই কালভার্টের বিষয়ে আমার কিছু জানা নাই, যেহেতু আমার আমলে তা হয়নি।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]