এসএডিউক ভূঁইয়া-তিতাস(কুমিল্লা)প্রতিনিধি,দৈনিক শিরোমণিঃ
কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় “ব্রি ধান-৮৮” বাম্পার ফলন হয়েছে।তিন বিঘা জমিতে উৎপাদিত “ব্রি ধান-৮৮” বাম্পার ফলন দেখে কৃষক জজ মিয়ার মুখে ফুটে উঠেছে আনন্দের হাঁসি।সরজমিনে তিতাস উপজেলার বলরামপুর ইউনিয়নের কালাইগোবিন্দপুর ব্লকে ঘুরে দেখা যায়,তিন বিঘা জমিতে “ব্রি ধান-৮৮ “আবাদ করেছে জজ মিয়া নামের এক কৃষক।সে বীজ হিসেবে তিন বিঘা জমিতে এ জাতের ধান আবাদ করেছে।আধা-পাকা সবুজ ধান বাতাসের তালে তালে দুলছে।ধানের মৌ মৌ গন্ধ চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। কোথাও কোথাও আগাম জাতের আংশিক ধান কাটা শুরু হয়েছে। তবে এখনো পুরোপুরি ভাবে ধান কাটা শুরু হয়নি।তিতাস উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মো.কাউছার আহমেদ এর সাথে কথা হলে তিনি জানান,বলরামপুর ইউনিয়নের কালাইগোবিন্দপুর ব্লকে আমি দায়িত্ব পালন করে আসছি এবং এই ব্লকে জজ মিয়া নামের এই কৃষক বীজ হিসেবে তিনবিঘা জমিতে “ব্রি ধান-৮৮” আবাদ করেছে।পুকা-মাকড়ের হাত থেকে বীজ জাতের ধানকে রক্ষা করার জন্যে কৃষক জজ মিয়াকে আমি সার্বিক ভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছি,যাতে পুকা-মাকড়ে তাঁর বীজ জাতের ধানকে নষ্ট করতে না পারে।নতুন এই বীজ জাতের ধান আবাদকৃত কৃষক জজ মিয়ার সাথে কথা হলে তিনি জানান,পরীক্ষা মূলক ভাবে আমি তিনবিঘা জমিতে “ব্রি ধান-৮৮” আবাদ করেছি।ভয় পেয়ে গিয়ে ছিলাম কিছুদিন আগে বয়ে যাওয়া ধমকা হাওয়াকে।যাক আল্লাহর রহমতে বয়ে যাওয়া ধমকা হাওয়ায় আমার তিনবিঘা জমিতে আবাদকৃত বীজ জাতের ৮৮” ধানের কোন প্রকার ক্ষতি করতে পারে নাই।আর পুকা- মাকড় যাতে আমার আবাদকৃত জমির ধান নষ্ট না করতে পারে এব্যাপারে দায়িত্বরত উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মো.কাউছার আহমেদ স্যার আমাকে সার্বিক ভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছে।জানা যায়,আগামী সপ্তাহের মধ্যে ধান কাটার ধূম পড়বে।যদিও উপজেলা জুড়ে ধান কাটার মহোৎসব চলছে।জমির ধান গোলায় তুলতে কৃষকরা মরিয়া হয়ে উঠেছেন।দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ইতোমধ্যে ধান কাটার শ্রমিকরা তিতাস উপজেলায় আসতে শুরু করেছেন।তাঁদের সাথে কদর বেড়েছে স্থানীয় শ্রমিকদেরও।স্থানীয় হাট-
বাজারে ধান কাটার কাস্তে ও কাটা ধান রাখার জন্যে ত্রিপাল বিক্রির ধুম পড়েছে।সংগ্রহ করা হচ্ছে ধান মাড়াইয়ের মেশিন।ধান শুকানোর জন্যে তৈরী করা হচ্ছে মাঠ ও খলা।ধান রাখতে তৈরি করা হচ্ছে গোলা ও আলাদা ঘর। সব মিলিয়ে তিতাস উপজেলায় বাম্পার ফসল তোলা নিয়ে রীতিমতো ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কৃষক-কৃষাণীরা।
১৫ views