এস এ ডিউক ভূঁইয়া-তিতাস(কুমিল্লা)প্রতিনিধি,দৈনিক শিরোমণিঃ
কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় মসজিদের ইমামের ১৩ মাসের বকেয়া বেতন চাওয়ায় সংঘর্ষের ঘটনায় ৩ জন আহত হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।সংঘর্ষে জড়িত ২ জনকে আটক করেছে তিতাস থানা পুলিশ।ঘটনাটি ঘটেছে ২৩ এপ্রিল শুক্রবার উপজেলার সদর কড়িকান্দি ইউনিয়নের রাজাপুর উত্তর পাড়া ভূঁইয়া বাড়ী জামে মসজিদ সংলগ্ন।স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়,২৩ এপ্রিল শুক্রবার জুম্মার নামাজের পূর্বে মসজিদের দাতা সদস্য মো.পলাশ মিয়া সকলের বকেয়া বেতন দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন এবং
মিজান মাষ্টারের পরিবারের বকেয়া বেতন দেওয়ার কথাও উল্লেখ করেন।জুম্মার নামাজ শেষে মিজান মাষ্টারের ছেলে মো. টিটু মিয়া(৪০), মো. হাসান( ৩৩)মো.আতিক মিয়া( ২৫),আব্দুল কাদির ভূঁইয়া’র ছেলে মো.মিজানুর রহমান(৬০), তার স্ত্রী মোসাঃ জোসনা বেগম(৫৮)সহ আরও আজ্ঞতনামা-৮/১০ জন ক্ষিপ্ত হয়ে পলাশের উপর হামলা চালায়।মরিয়ম ও পারুল পলাশকে রক্ষা করতে গেলে তাদেরকেও পিটিয়ে আহত করে। তাৎক্ষনিক স্থানীয়রা উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় পলাশকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করান ।বাকী ২ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।এবিষয়ে মসজিদের কোষাধ্যক্ষ মো.খলিলুর রহমান বলেন, পলাশ মসজিদের খাতা দেখে সকলের বকেয়া বেতন এক সপ্তাহের মধ্যে দিয়ে দেওয়া জন্য অনুরোধ করেন।তখন অনেক মুসল্লী বলেন,কার কত মাস বাকী আছে একটু জানিয়ে দিলে ভাল হয়,তখন পলাশ সকলের নাম প্রকাশ করেন এবং কার কত মাস বাকী তা বলে দেন।জুম্মার নামাজ শেষে মসজিদ থেকে বাহির হওয়ার পর কাশেম নামের এক ব্যক্তি পলাশকে বলে বেতন দিবেনা।তখন কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাসান,টিটু,আতিক মিয়া,মিজানুর রহমান,তার স্ত্রী জোসনা বেগমসহ আরো অজ্ঞাতনাম-৭/৮ জন দেশীয় অস্ত্রশস্র নিয়ে পলাশের উপর হামলা চালায় এবং যারা রক্ষা করতে এগিয়ে আসে তাদেরকেও আঘাত করে।এঘটনায় পারুল আক্তার বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করাসহ আরও অজ্ঞাতনামা-৭/৮ জনের নামে তিতাস থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।যাহা তিতাস থানার মামলা নং-১৪,তারিখ-২৩/০৪/২০২১ ইং।মামলার এজাহার নামনীয় ১ নং আসামি টিটু ও ২ নং আসামি হাসানকে গ্রেপ্তার করে তিতাস থানা পুলিশ।বাকী আসামিদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত আছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা যায়।
১৩ views