এস এ ডিউক ভূঁইয়া তিতাস(কুমিল্লা)থেকেঃ
কুমিল্লার তিতাসে শক্তি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সামাজিক উন্নয়ন মূলক কার্যক্রম চলমান রয়েছে।উপজেলার
মজিদপুর ইউনিয়নের মৌটুপী সিকদার রোডস্থ শক্তি ফাউন্ডেশনের কার্যক্রমের বিষয়ে অনুসন্ধানে গিয়ে জানা যায়,শক্তি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ১০০ জন অসহায় গরীব বয়স্ক ব্যক্তিদের মাসিক ৫০০শত টাকা করে দিয়ে যাচ্ছেন।এছাড়াও ৭ জন এতিমকে এবং ২ জন বয়স্ক অসহায় প্রবীণকে প্রতি মাসে ১০ কেজি চাউল,২কেজি ডাল,১কেজি গুড়া দুধ ও নগদ-৩ হাজার করে টাকা দিয়ে যাচ্ছেন শক্তি ফাউন্ডেশন।এছাড়া শক্তি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ৩১টি স্কুলে দ্বিতীয় শ্রেণী পর্যন্ত পড়া-লেখার দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন করে আসছেন।মজিদপুর ইউনিয়নের স্বাস্থ্য সেবার জন্য ডাক্তারসহ ১৫ জন কর্মী নিয়োগ দেওয়া আছে।এছাড়াও শক্তি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বিনা মূল্য ডাক্তারের মাধ্যমে চক্ষু চিকিৎসা দেওয়া হয় এবং ডাক্তারের মাধ্যমে অপারেশন করে চোখের ছানি কাটানো হয়।মজিদপুর ইউনিয়নের চাঁন নাগেরচর গ্রামের মোসাম্মৎ লুতু বেগমের সাথে কথা হলে তিনি বলেন,আমার চাচারা আমার জায়গা বেদখল করে নিয়ে গেছে।আমাকে দেখার মতো কেউ নেই। তখনই আমার পাশে দাঁড়ান শক্তি ফাউন্ডেশন এবং প্রতি মাসে আমাকে চাল,ডাল,দুধ ও নগদ-৩ হাজার করে টাকা দিয়ে যাচ্ছেন।শক্তি ফাউন্ডেশনের দেয়া চাল,ডাল,দুধ ও নগদ-৩হাজার টাকা দিয়ে আমি চলতে পারি।এছাড়া একই ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামের রত্না বেগম বলেন,আমার স্বামী নেই,আমার সংসার চালাতে অনেক কষ্ট হতো। একথা শোনার পর আমার পাশে এসে দাঁড়ান শক্তি ফাউন্ডেশন এবং প্রতি মাসে আমাকে চাল,ডাল,গুড়া দুধ ও নগদ-৩ হাজার করে টাকা দিয়ে যাচ্ছেন শক্তি ফাউন্ডেশন। তবে এগুলো দিয়ে কোনো রকম চলতে পারি।এদিকে মৌটুপী গ্রামের মোঃ রেজাউল ও জয়দন বেগম বলেন, যখন করোনা আইছে তখন থেকে আমাগোর বাড়ীতে এসে ৫০০ শত টাকা করে বয়স্ক ভাতা দিয়ে যাচ্ছেন শক্তি ফাউন্ডেশন।শক্তি ফাউন্ডেশনের বিষয়ে ৯ নং মজিদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ ফারুক মিয়া সরকার বলেন, আমাদের এখানে অনেক এনজিও আছে,সেই এনজিও গুলো শুধু নিতে জানেন, দিতে জানেন না।আমার জানা মতে শক্তি ফাউন্ডেশন এযাবৎ এলাকার অসহায় গরীব-দুঃখী মানুষের সেবা মূলক নানা কর্মযজ্ঞ করে যাচ্ছেন।শক্তি ফাউন্ডেশনের কো-অর্ডিনেটর মোঃ আজহারুল মন্ডলের সাথে শক্তি ফাউন্ডেশনের সেবা মূলক কর্মকান্ডের বিষয়ে সাক্ষাত করা হলে তিনি বলেন,আমাদের শক্তি ফাউন্ডেশনের সাথে জড়িত রয়েছেন মজিদপুর ইউনিয়নের লালপুর গ্রামের কৃতিসন্তান সাবেক প্রধান বিচারপতি মোঃ তোফাজ্জল হোসেন এর সহধর্মিনী শক্তি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক ড.হুমাইরা ইসলাম পিএইচডি বড় আপার তত্ত্বাবধানে আমার এই এলাকার অসহায় ৯ জন মানুষকে প্রতি মাসে চাল,ডাল,
দুধ ও ৩ হাজার টাকা এবং ১০০ শত জন বয়স্ক ব্যক্তিকে ২০১৮ ইং সাল থেকে ৫০০ শত করে টাকা দিয়ে আসছি।এছাড়া মৃত ব্যক্তির লাশ দাফন-কাফন বাবদ-২ হাজার টাকা করে এপর্যন্ত ৭৬ জনকে প্রদান করা হয়েছে।এবং জীবন যাত্রা মান উন্নয়নের জন্য লালপুর গ্রামের মৃতঃ ছাফর আলীর ছেলে মোঃ কালা মিয়াকে ২৪ হাজার টাকা ও মজিদপুর গ্রামের মমতাজ উদ্দিনের স্ত্রী আম্বিয়া খাতুনকে ২৪ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে।এবং বিশেষজ্ঞ চক্ষু ডাক্তার দ্বারা বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা ও চোখের ছানি অপারেশন করাসহ মজিদপুর ইউনিয়নে আমাদের ৩১টি স্কুল আছে,সেখানে দ্বিতীয় শ্রেণী পর্যন্ত পড়া-লেখা করানো হয়।এছাড়া অসহায় ও গরীবদের মাঝে কম্বল,চাদর,ছাতা, প্রতিবন্ধিদের
হুইল চেয়ার,কমেড চেয়ার দেয়াসহ বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করে আসছে শক্তি ফাউন্ডেশন।
এছাড়াও মজিদপুর ইউনিয়ন সামাজিক উন্নয়ন মূলক কাজ করেছেন এমন নবীন ও প্রবীন মাঝে আমাদের প্রতিষ্ঠান থেকে সম্মাননা ও ক্রেস্ট প্রদান করেছি।
আমাদের নির্বাহী পরিচালকের নির্দেশনা হলো মজিদপুর ইউনিয়নের অসহায় গরীব-দুঃখী মানুষদের পাশে থেকে তাঁদেরকে দারিদ্র মুক্ত করার লক্ষে কাজ করে যাওয়া।