রেজিঃ নং ডিএ ৬০০৯ | বর্ষ ১৪ | ৪ পৃষ্ঠা ৩ টাকা || রবিবার | ২৪ নভেম্বর ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
তিতাসে সংখ্যালঘু পরিবারের সম্পত্তির দখল পেতে ডিসি ও এসপি বরাবর মানবিক আবেদন
এস এ ডিউক ভূঁইয়া-তিতাস(কুমিল্লা)প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লার তিতাস উপজেলার মাছিমপুর গ্রামের সংখ্যালঘু হিন্দু পরিবারের সম্পত্তি দখল পেতে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর আবেদন করেছেন।মৃত অমর সাহার ছেলে মনিন্দ্র সাহা তাঁদের পৈতৃক সম্পত্তি দখল পেতে ১৩ এপ্রিল দুটি আলাদা আবেদন করেন। এতে অভিযোগ করা হয়েছে কুমিল্লার তিতাস উপজেলার মাছিমপুর মৌজাস্থ সাবেক ১৫২৩/২০৬৯ হালে ৩১৯৪ দাগে ২ শতক জায়গার পৈতৃকভাবে মালিক হন অমর চন্দ্র সাহা ও অনিল চন্দ্র সাহা। তাঁদের নামে ফাইনাল গেজেট প্রকাশ হয়। কিন্তু আমরা সংখ্যালঘু হিন্দু পরিবারের সদস্য হওয়ায় মাছিমপুর গ্রামের মৃত বাবর আলীর ছেলে আঃ বাতেন প্রকাশ বাতু মিয়া জোরপূর্বক ১ শতক জায়গা দখল করে নেয়। আমরা অনেকবার জায়গা ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করলেও তারা ছাড়তে রাজি নয়। এমন কি তারা গ্রাম্য বিচার শালিসও মানতে নারাজ।কয়েক বার বিচার শালিসে বসলেও কোন প্রকার লিখিত ডকুমেন্ট বা দলিলপত্র দেখাতে পারেননি। সম্পূর্ণ গায়ের জোরে তারা আমাদের পৈতৃক সম্পত্তি দখল করে রেখেছে। তারা আমাদেরকে প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছে যদি আর কোন দিন জায়গার কথা বলি কিংবা জায়গার আশেপাশে যাই,তাহলে তারা আমাদের পরিবারের সদস্যদেরকে খুন করে ফেলবে।
বাতু একজন চিহ্নিত ভূমি খেকো।সে মাছিমপুর গ্রামের রনজিত পোদ্দার ও ইন্দ্রজিৎ মাস্টারের বাজারের জায়গা জোর করে ভোগ দখল করে খাচ্ছে। তাদের ভয়ে পরিবার দু'টি এলাকা ছাড়া। তাদের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে কিছু দিন আগে তিতাস থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন ভূক্তভোগী পরিবারের পক্ষে মনিন্দ্র চন্দ্র সাহা।এছাড়াও গত ১১ এপ্রিল একটি সংবাদ সম্মেলন করেন পরিবারটি।এতে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে বাতু পরিবার। এই দিকে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বাতু বলেন,আমি নিজেই অসুস্থ। আমি আবার কবে তাদেরকে হুমকি দিলাম! বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা।আমি মরহুম জবেদ আলীর কাছ থেকে জায়গাটি ক্রয় করেছি স্ট্যাম্পের মাধ্যমে ।সত্যি কথা আমাদের কাছে কোন দলিল নেই। মনা সাহা জবেদ আলী চেয়ারম্যানকে একটি নাদাবিনামা দলিল দিয়েছে।আমরা চেয়ারম্যান সাহেব এর কাছ থেকে কিনে মালিক হয়েছি। আমাদের দোষ কোথায়? কাগজপত্র দেখে বুঝা যায়,বিএস ফাইনাল খতিয়ান, মৃত অমর সাহা ও অনিল সাহার নামে রয়েছে।বর্তমানে তাদের ৫ ছেলে যথাক্রমে ভজন সাহা,ধনু রঞ্জন সাহা,মানিক সাহা,রতন সাহা ও মনিন্দ্র সাহা মালিক হয়ে ঐচারচর গ্রামের মৃত আছমত আলীর ছেলে মোশাররফ হোসেনের কাছে ২ মাস আগে বিক্রয় করে দিয়েছে।কিন্তু সংখ্যালঘু পরিবারটি বাতুর বাঁধার কারণে মোশাররফ হোসেনকে দখল বুঝিয়ে দিতে পারছেন না।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]
Copyright © 2024 দৈনিক শিরোমনি | shiromoni.com. All rights reserved.