এস এ ডিউক ভূঁইয়া, তিতাস,কুমিল্লা :
কুমিল্লার তিতাসে আটকৃত আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য শরীফ আহম্মেদ সরকারের দেয়া তথ্যমতে আরও এক ডাকাতকে আটক করেছে তিতাস থানা পুলিশ।তিতাস থানার চৌকস এস আই মোঃ বিল্লাল হোসেন মোঃ কাউছার নামে ঐ কুখ্যাত ডাকাতকে আটক করতে সক্ষম হন।এই দিকে আটক কুখ্যাত ডাকাত শরীফ (৩০)কে গতকাল ১৭ মার্চ বুধবার কোর্টে চালান করা হয়েছে।এদিকে কুখ্যাত ডাকাত শরীফ আহম্মেদ সরকারের সহযোগী ২ নং আসামী কাউছার ডাকাতকে ১৮ মার্চ বৃহস্পতিবার কোর্টে চালান করেছেন তিতাস চৌকস এস আই বিল্লাল হোসেন।নারান্দিয়া ইউনিয়ন ফ্রেন্ডস ক্লাবের সভাপতি আল আমিন মাসুমের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় তার বাবা মিজানুর রহমান বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে। তিতাস থানার মামলা নং ১৮,তারিখ ১৬/০৩/২০২১ ইং।মামলায় অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনসহ মোট আসামি করা হয়েছে ৮ জনকে।তারা হলো,তিতাস উপজেলার জগতপুর ইউনিয়নের রায়পুর গ্রামের মৃত খোরশেদ মিয়ার ছেলে শরীফ সরকার (৩৪),দাউদকান্দি উপজেলার লক্ষীপুর গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে কাউছার মিয়া,চারপাড়া গ্রামের আবুল হাসেমের ছেলে তাহের মিয়া (৪৫),উত্তরনগরের মৃত মমতাজ উদ্দিনের ছেলে কুদ্দুস মিয়া (৪০), চান্দিনা উপজেলার রফিক মিয়া (৩২), ভবেরচরের রহিম,দাউদকান্দি নুরপুরের আবুল কালাম (৩৫),কালাইগোবিন্দপুরের মাসুম (২৫)। উল্লেখ্য,গত ১৫ মার্চ দিবাগত রাত আড়াই টার দিকে নারান্দিয়া ইউনিয়ন ফ্রেন্ডস ক্লাবের সভাপতি আল আমিন মাসুমের বাসায় ডাকাতি করতে গেলে শরীফ সরকার নামে একজনকে আটক করে তিতাস থানায় সোপর্দ করে। ৭-৮ জনের ডাকাত দলের অন্যরা পালিয়ে যায়।আটককৃত ডাকাত শরীফ তিতাস উপজেলার জগতপুর ইউনিয়নের কৈয়ারপাড় রায়পুর গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবার নাম মৃত খুরশিদ মিয়া। সে এলাকার একজন চিহ্নিত ডাকাত।
তবে বিগত দিন যাবৎ উপজেলার বিভিন্ন বাড়ীতে সিরিজ ডাকাতির ঘটনার বিষয়ে সরজমিনে অনুসন্ধানে গিয়ে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে সিরিজ ডাকাতির লোমহর্ষ ঘটনার কথা জানা যায়। তিতাস উপজেলার বিভিন্ন বাড়ীতে সিরিজ ডাকাতির ঘটনার ফিরিস্তি তুলে ধরা হলো।৫ মার্চ শুক্রবার দিবাগত রাত ৩ টার দিকে উপজেলার জগতপুর ইউনিয়নের সেলিমপুর গ্রামের মৃত মমতাজ উদ্দিনের ছেলে বৃদ্ধা ইব্রাহিম খলিলকে(৬০)কুপিয়ে গুরুতর আহত করে তাঁর ঘরে থাকা নগদ-২৫ হাজার টাকা,৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার,২টি মোবাইল মূল্য-৩০ হাজার টাকা ও ১ টি চার্জ লাইট মূল্য-৩ হাজার টাকা ডাকাতি করে নিয়ে গেছে বলে জানায় আহত ইব্রাহিম খলিলের ছেলের বউ লিজা আক্তার।একই রাতে একই বাড়ীর মৃত রমিজ উদ্দিনের ছেলে প্রবাসী আবুল কাসেমের বিল্ডিংয়ের কেচি গেইটের তালা ভেঙে বিল্ডিংয়ের প্রথম দরজাটি ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে তাঁর স্ত্রী পাররুল বেগমকে(৪৫) পিটিয়ে গুরুতর আহত করে কান ও গলাসহ স্টীলের আলমারি ভেঙে দেড় ভরি স্বর্ণালঙ্কার,৫টি মোবাইল, মূল্য-৬৩ হাজার টাকার ও নগদ-১৮ হাজার টাকা ডাকাতি করে নিয়ে যায় বলে জানায় আবুল কাসেমের স্ত্রী পারুল বেগম।একই রাতে একই পাড়ার মৃত আব্দুর কাদিরের ছেলে হারুন মিয়া(৩৫) এর ঘরের দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে ৭ ভরি রূপা,২ টি মোবাইল মূল্য-৯ হাজার ৫’শ টাকা ও নগদ-৩ হাজার টাকা ডাকিত করে নিয়ে গেছে বলে জানায় হারুন মিয়ার স্ত্রী রোমা আক্তার।একই রাতে একই পাড়ার মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে আবু তাহের(৪৫)এর ঘরে প্রবেশ করে স্টীলের আলমারি ভেঙে নগদ-৫ হাজার টাকা,১০ ভরি রূপা,১টি স্বর্ণের আংটি,বিভিন্ন মালামাল মূল্য-৭ হাজার টাকা,২ টি মোবাইল মূল্য-১৫ হাজার টাকা,৩ টি চার্জ লাইট মূল্য-৭ হাজার টাকা,বাচ্চাদের খেলনা,১টি লোহার দাউ ও ১ টি কাচি ডাকাতি করে নিয়ে গেছে বলে জানায় আবু তাহেরের স্ত্রী নাছিমা বেগম।একই রাতে একই বাড়ীর মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে প্রবাসী বাবুল হোসেন(৩৯) ঘরের দরজা খুলে ভিতরে প্রবেশ করে তাঁর ছেলে আরিফুল ইসলামকে(১৩) গলায় ছুরি ধরে তাঁকে জিম্মি করে তাঁর মা শ্যামলী আক্তার(৩৩)এর কাছ থেকে স্টীলের আলমারির চাবি নিয়ে আলমারি খুলে নগদ-১৫ হাজার টাকা,১টি মোবাইল মূল্য-১৫ হাজার টাকা,২টি চার্জ লাইট মূল্য-৯ হাজার টাকা,সাড়ে চার ভরি রূপার নূপুর ও আট আনি ওজনের স্বর্ণের জিনিস নিয়ে যায় বলে জানায় আবুল হোসেনের স্ত্রী শ্যামলী আক্তার। একই রাতে একই গ্রামের মৃত মরম আলী প্রধানের ছিলে অবসর প্রাপ্ত নায়েক সেলিম মেম্বার(৫৮)এর ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে সুকেসের ড্রয়ারের তালা ভেঙে ১ ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার,১টি মোবাইল মূল্য-১০ হাজার টাকা,১টি ওয়াটারগ্রুপের হাত ঘরি মূল্য-২ হাজার টাকা ও নগদ-২৫ হাজার টাকা ডাকাতি করে নিয়ে যায় বলে জানায় সেলিম মেম্বার। একই রাতে সেলিম মেম্বারের বড় ছেলে মাসুদ আলম(৩৫)এর ঘরের দরজা খুলে ভিতরে প্রবেশ করে ১টি মোবাইল মূল্য-১ হাজার টাকা ও নগদ-৭’শ টাকা নিয়ে গেছে বলে জানায় মাসুদ আলমের স্ত্রী আসমা বেগম। একই রাতে তাঁর মেজ ছেলে মাহবুব আলম(৩৩)এর ঘরের দরজা খুলে ভিতরে প্রবেশ করে ১টি মোবাইল মূল্য-২ হাজার টাকা ও নগদ-২ হাজার টাকা নিয়ে গেছে বলে জানায় মাসুদ আলমের স্ত্রী রোজিনা আক্তার।এদিকে তাঁর ছোট ছেলে সাদ্দাম হোসেন(২৭)এর ঘরের দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে ২ টি মোবাইল মূল্য-১১ হাজার টাকা ডাকাতি করে নিয়ে যায় বলে জানায় সাদ্দাম হোসেনের স্ত্রী শিল্পী আক্তার। ২৩ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার রাত ১১ টার দিকে জগতপুর ইউনিয়নের ভূঁইয়া’র বাজারে শিরো দাসের মেইলের সামনে ৭-৮ জনের একটি ডাকাত দলকে জনতার ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায় বলে বিশ্বস্ত এক সূত্র থেকে জানা গেছে। ২১শে ফেব্রুয়ারি রবিবার দিবাগত রাত ২ টার দিকে কলাকান্দি ইউনিয়নের মাছিমপুর উত্তর পাড়ার মৃত দুধ মিয়ার ছেলে মোঃ সিদ্দিকুর রহমান(৭০)এর বিল্ডিংয়ের এস এস গেইটের তালা ভেঙে বিল্ডিংয়ের প্রথম দরজাটি ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে সিদ্দিকুর রহমানের স্ত্রী পিয়ারা বেগম(৬০) এর গলা থেকে দেড় ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন ও ১ ভরি ওজনের কানের দুল,ছেলের বউ আমেনা(২৫)এর গলা থেকে ১ ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন ও আট আনি ওজনের কানের দুল ও সুকেসের তালা ভেঙে ২ ভরি ওজনের ৪ টি স্বর্ণের আংটি,৩০টি কাপর মূল্য-২০ হাজার টাকা,৬ টি কম্বল মূল্য-২০ হাজার টাকা,৩ টি মোবাইল মূল্য-৭০ হাজার টাকা,১টি ডিএসেলার ক্যামেরা মূল্য-৮০ হাজার টাকা,১ টি ল্যাপটপ মূল্য-৫০ হাজার টাকা,নগদ ৫০ হাজার টাকা,সিদ্দিকুর রহমানের নাতনী আমেনা(১২) ও জাইফা(৩)দের গলা থেকে ২ ভরি ওজনের রূপার দুইটি চেইন, তাঁর ছেলের বউ আমেনা আক্তারের বড় বোন শিল্পী আক্তার(৩৮)এর গলা থেকে ১ ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন ও আট আনি ওজনের কানের জিনিস ডাকাতি করে নিয়ে যায় বলে জানায় সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে আলাউদ্দিন।১৪ ফেব্রুয়ারি রবিবার দিবাগত রাত আড়াই টার দিকে সাতানী ইউনিয়নের উত্তর আকালিয়ার চকের বাড়ীর মৃত রশিদের ছেলে মজিবুর রহমান(৫০)এর ঘরের দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে মজিবুর রহমানকেসহ তাঁর স্ত্রী হাসনা বেগমকে(৪৫) তাঁর মেয়ে মরিয়ম বেগমকে(২৫) তাঁর স্বামী ইকবাল হোসেনকে(৩৫) মারধর করে নগদ-৫০’হাজার টাকা,সাড়ে ৪ ভড়ি স্বর্ণালংকার ও ৩ টি মোবাইল মূল্য ২০’হাজার টাকা ডাকাতি করে নিয়ে গেছে বলে জানায় মুজিবুর রহমান। ১৩ ফেব্রুয়ারি শনিবার দিবাগত রাত ২ টার দিকে মজিদপুর ইউনিয়নের মৌটুপী গ্রামের মৃত আজিজ বেপারীর ছেলে প্রবাসী মোশারফ বেপারীর ঘরের দরজা খুলে ভিতরে প্রবেশ করে তাঁর মেজ বোন আমিরুন(৩৬) এর গলা থেকে আট আনি ওজনের স্বর্ণের চেইন ও কান থেকে ১ ভরি ওজনের স্বর্ণের জিনিস,তাঁর স্ত্রী রানু(২৬)এর গলায় ছুরি ধরে সাত আনি ওজনের স্বর্ণের চেইন ও পাঁচ আনি ওজনের কানের জিনিস,তাঁর মা মানোয়ারা(৭০)এর গলা থেকে ১ ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন ও কানের জিনিস,৫ টি মোবাইল মূল্য -৪১ হাজার ২’শ টাকা,১টি চার্জ লাইট মূল্য-৩ হাজার টাকা,২টি কম্বল মূল্য-১৪ হাজার টাকা,৭ ভরি রূপা ও নগদ ১লক্ষ ১৫ হাজার টাকা ডাকাতি করে নিয়ে গেছে বলে জানায় মোশারফের বোন জামাই বাদল।এর আগেও আরও দুইবার মোশারফ ব্যাপারীর ঘরে ডাকাতি হয়েছে বলে জানান তিনি।এর সাপ্তাহ খানিক আগে রাতের কোনো এক প্রহরে একই গ্রামের মৃত হজরত আলীর ছেলে প্রবাসী সেলিম মিয়ার বিল্ডিংয়ের তালা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে আলমারি ভাংচুর করে স্বর্ণালঙ্কার খোঁজে না পেয়ে নগদ-১ হাজার ৫’শ টাকা ডাকাতি করে নিয়ে গেছে বলে বিশ্বস্ত এক সূত্রে জানা গেছে।১৩ ফেব্রুয়ারি শনিবার দিবাগত গভীর রাতে কড়িকান্দি(সদর) ইউনিয়নের উত্তর আলীরগাঁও গ্রামে ডাকাত দল হানা দিলে গ্রামবাসী টের পেয়ে মসজিদের মাইকে মাইকিং করলে ডাকাত দল পালিয়ে যায় বলে বিশ্বস্ত এক সূত্রে জানা গেছে। ১২ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার দিবাগত রাত ২ টার দিকে সাতানী ইউনিয়নের দ্বিতীয় গোবিন্দপুর চকের বাড়ীর খলিলুর রহমান(৬০)এর ছেলে ওমর ফারুক(৩০) ও সহোদর ভাই মাহবুবুর রহমান(২০)দের দু’টি ঘরের জরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে খলিলুর রহমানের স্ত্রী নাজমা(৪৫)এর কান থেকে পাচ আনি ওজনের স্বর্ণের জিনিস ও ভাতের আলমারির তালা ভেঙে ১ ভরি ওজনের রূপা,২টি টাংয়ের তালা ভেঙে তাঁর মেয়ে আলো আক্তার (১৯) এর ১ ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন ও পাঁচ আনি ওজনের স্বর্ণের কানের জাপটা,নগদ-৪০ হাজার টাকা,৩ টি মোবাইল মূল্য-১৩ হাজার ২’শ টাকা,তাঁর ছেলে মাহবুবুর রহমানের রেখ থেকে নগদ-২০ হাজার টাকা ও মানি ব্যাগ থেকে ৫ হাজার টাকা,খলিলুর রহমানের সাটের পকেট থেকে ৭’শ টাকা এবং তাঁর বড় ছেলে ওমর ফারুক (৩০)এর ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে সুকেসে রাখা চার আনি ওজনের স্বর্ণের আংটি, ৩টি মোবাইল মূল্য-৪০ হাজার টাকা,১টি মসলার মেশিন মূল্য-৩ হাজার টাকা,মাটির ১টি ব্যাংক ভেঙে প্রায় ১০ হাজার টাকা ও মানি ব্যাগ থেকে ৭ হাজার টাকা ডাকাতি করে নিয়ে গেছে বলে জানায় খলিলুর রহমানের স্ত্রী নাজমা বেগম।১০ ফেব্রুয়ারি বুধবার দিবাগত রাতে ভিটিকান্দি ইউনিয়নের রতনপুরের হানিফ মিয়ার ঘর থেকে নগদ টাকাসহ অন্যান্য দামী জিনিস নিয়ে যায়। ঘরের লোকজন টের পেয়ে চিৎকার করলে ডাকাত দল হানিফ মিয়ার বউকে কুপিয়ে আহত করে।পরে মসজিদের মাইকে মাইকিং করলে ডাকাতদল মাইক্রো নিয়ে পালিয়ে যায়। ৯ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২ টার দিকে জগতপুর ইউনিয়নের প্রথম দশানী পাড়ার আবুল কাসেমের বিল্ডিং ও দু’চালা ঘরের তালা ভেঙে আবুল কাসেমকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে তাঁর স্ত্রীর গলা থেকে ১ ভরি ওজের স্বর্ণের চেইন ও আট আনি ওজনের কানের দুল,তাঁর বড় ছেলে সোহেলের স্ত্রী কুহিনূর এর গলা থেকে ১ ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন ও আট আনি ওজনের কানের জিনিস,তাঁর মেজ ছেলে জুয়েলের স্ত্রী জুমির গলা থেকে সাত আনি ওজনের স্বর্ণের চেইন ও পাঁচ আনি ওজনের কানের জিনিস,বিল্ডিংয়ের রোমের টেবিলের উপর রাখা ব্যাগ থেকে দেড় ভরি ওজনের ৩ টি স্বর্ণের আংটি,নগদ-২ হাজার ৫’শ টাকা, ৫ টি মোবাইল ১টি আইফোন মূল্য-৭০ হাজার টাকা, দু’টি হাওয়াইফোন, মূল্য-৭৩ হাজার টাকা,স্যামসাং মোবাইল মূল্য-১৬ হাজার টাকা ও নকেয়া মোবাইল মূল্য-৪ হাজার টাকা ডাকাতি করে নিয়ে যায় বলে জানায় আবুল কাসেমের মেয়ে রোজিনা আক্তার।একই রাতে একই পাড়ার মৃত লাল মিয়ার ছেলে জহর মিয়া (৬০) এর বিল্ডিং ও দু’চালা ঘরের তালা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে তাঁর স্ত্রী বানু বেগমের গলা থেকে ১ ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন ও১ ভরি ওজনের কানের জিনিস,২টি মোবাইল,১টি স্যামসাং মূল্য-২০’হাজার টাকা,১টি মোবাইল মূল্য-৮ হাজার টাকা, ২টি চার্জ লাইট মূল্য-৮ হাজার টাকা,
বিল্ডিং থেকে নগদ-৩০’হাজার টাকা ও দু’চালা ঘর থেকে প্লাস্টিকের ব্যাংক কেটে ২০ হাজার টাকা ও মসলার মেশিন মূল্য- ৩ হাজার টাকা ডাকাতি করে নিয়ে গেছে বলে জানায় জহর মিয়ার ছেলের বউ সারমিন।একই রাতে বাতাকান্দি সরকার বাড়ীর মৃত দেলোয়ার হোসেন সরকারের ছেলে মেসার্স শাহ আমানত ট্রেডার্সের প্রোঃ মোঃ রুবেল সরকারের বাতাকান্দি বাজারের চাউলের গোডাউনের তালা ভেঙে ৪৪ বস্তা চাউল নিয়ে গেছে ডাকাত দল। যার মূল্যে আনুমানিক ১ লক্ষ টাকা বলে জানায় মেসার্স শাহ আমানত ট্রেডার্সের প্রোঃ মোঃ রুবেল সরকার।একই রাত দেড় টার দিকে মজিদপুর ইউনিয়নের কাখিয়াখালী গ্রামের মৃত সোলেমানের ছেলে গিয়াস উদ্দিন (৬০) এর ঘরের দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে তাঁর মাথায় ও ডান হাতে কুপিয়ে সুকেসের ড্রয়ার ভেঙে নগদ-৩০ হাজার টাকা,তিন আনি ওজনের স্বর্ণের জিনিস,৩ ভরি রূপাসহ তাঁর মা অজুফা খাতুন(৮০)এর সাত আনি ওজনের স্বর্ণের কানের জিনিস,১টি মোবাইল মূল্য-১ হাজার ২’শ টাকা ও ২টি টস লাইট মূল্য-১ হাজার টাকা ডাকাতি করে নিয়ে যায় বলে জানায় তার মেয়ে শিরিনা আক্তার।৭ ফেব্রুয়ারি রবিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে কড়িকান্দি(সদর) ইউনিয়নের চর রাজাপুর বেপারী বাড়িতে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একটি ডাকাত দল ঐ বাড়িতে অস্ত্রের মুখে সাইফুল ইসলামের স্ত্রী গৃহবধূ রোজিনাকে গণধর্ষণের হুমকি দিয়ে প্রতিটি কক্ষের তালা ভেঙে প্রায় ১৭ লক্ষাধিক টাকার মালামাল ডাকাতি করে নিয়ে যায় বলে জানায় সাইফুল ইসলাম।৫ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার দিবাগত রাত ৩ টার দিকে জগতপুর ইউনিয়নের কৈয়ারপাড় গ্রামের মৃত তজমুদ্দিন হাজীর ছেলে আব্দুল কাদির(৯০) এর বিল্ডিংয়ের দরজা খুলে ভিতরে প্রবেশ করে রামদা দিয়ে আব্দুল কাদিরের বাম হাতের ডেনায় আঘাত করে তাঁর ছেলে খোকনের স্ত্রী পারুল বেগমকেসহ তার মেয়ে সাকিবা আক্তারকে ও কাদিরের ছোট ছেলে স্বপনের স্ত্রী রাহিমা বেগমকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে শাশুড়ি সালেহা খাতুন(৫০)এর গলায় ছুরি ধরে আট আনি ওজের স্বর্ণের চেইন ও ছয় আনি ওজনের কানের জিনিস,১ভরি ওজনের রূপার চেইন ও আলমারি খুলে নগদ-১ লক্ষ টাকা,২টি মোবাইল মল্য-৮০ হাজার টাকা ও ২টি চার্জ লাইট মূল্য-৩ হাজার টাকা ডাকাতি করে নিয়ে গেছে বলে জানায় আব্দুল কাদির।১১ জানুয়ারি রবিবার দিবাগত রাত দেড় টার দিকে কড়িকান্দি(সদর) ইউনিয়নের আলীরগাঁও গ্রামের তালেব হোসেন এর ছেলে মোঃ এলাহি মিয়া(৫০) এর বিল্ডিংয়ের ছাদের উপর দিয়ে বিল্ডিংয়ের ভিতরে প্রবেশ বিল্ডিংয়ের প্রথম দরজাটি খুলে এলাহি মিয়ার বড় ছেলে ফিরোজ মিয়ার স্ত্রী তানহা আক্তার(২২) এর গালে চর থাপ্পড় মেরে ৪ ভরি স্বর্ণালংকার,১টি মোবাইল মূল্য-৩০হাজার টাকা,৭ টি কম্বল মূল্য-১৪ হাজার টাকা,১টি লোহার দাউ ও নগদ-৫০ হাজার টাকা ডাকাতি করে নিয়ে গেছে বলে জানায় এলাহি মিয়া।এদিকে আইনের লোক পরিচয় দিয়ে একই রাতে একই গ্রামের মৃত মনু মিয়া ব্যাপারীর ছেলে মোঃ বাবুল মিয়া(৫৫) এর ঘরের দরজা খুলতে বললে,তখন তিনি বলেন, আপনারা যদি আইনের লোক হয়ে থাকেন, তাহলে সকালে আইসেন এখন দরজা খুলতে পারবো না বলায় তাঁর ঘরের দরজাটি ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে বাবুলকেসহ স্ত্রী বেবী বেগমকে(৪০)মারধর করে ছেলের বউ রোমিনা আক্তার(২০) এর গলা থেকে স্বর্ণের চেইন,কানের জিনিস,তাঁর শাশুড়ি বেবী বেগমের গলা থেকে স্বর্ণের চেইন,কানের জিনিস ও স্টীলের আলমারি ভেঙে স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ-১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকাসহ মোট ৮ ভরি স্বর্ণালংকার ডাকাতি করে নিয়ে গেছে বলে জানায় বাবুল মিয়ার স্ত্রী বেবী বেগম। ১৭ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২ টার দিকে ভিটিকান্দি ইউনিয়নের জগতপুর গ্রামের মৃত সুরুজ সরকারের ছেলে হাজী সুলতান সরকার(৫৫) এর বিল্ডিংয়ের কেচি গেইটের তালা কেটে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ডাকাত দল বিল্ডিংয়ের প্রথম দরজাটি লোহার কাউয়াল দিয়ে খুলে বিল্ডিংয়ের ভিতরে প্রবেশ করে সুলতান সরকারকেসহ তাঁর স্ত্রী আফিয়া বেগমকে(৪৫) তাঁর মেয়ে রাবেয়া সুলতানাকে(৩৫) তাঁর ছেলে ফাহিমকে(১৫) বিল্ডিংয়ের একটি রোমে আটক রেখে বিল্ডিং থেকে ১২ ভরি স্বর্ণালংকার,৪ টি মোবাইল, মূল্য- ১ লক্ষ টাকা,২টি কম্বল মূল্য-১০ হাজার টাকা,ছোট্ট বাচ্চার কয়েক সেট জামাকাপড় মূল্য- ৫ হাজার টাকা ও নগদ ৫০ হাজার টাকা ডাকাতি করে নিয়ে গেছে বলে জানায় হাজী সুলতান সরকারের মেয়ের জামাই কামাল পারভেজ।এর আগে বিল্ডিংয়ের অন্য রোম প্রবেশ করে হাজী সুলতান সরকারের ছেলে রাজিব সরকারকে(৩০) রমদা দিয়ে কুপিয়ে নির্বিঘ্নে চলে যায় ডাকাত দল।
এর আগেও রাতের কোনো এক প্রহরে (সদর) কড়িকান্দি বাজারের ভূঁইয়া ইলেকট্রনিক্সের দোকানের তালা কেটে দোকানের ভিতরে প্রবেশ করে ৭টি টিভি,২টি ফ্রিজ,১০ টি ফ্যান ও নগদ-৭০ হাজার টাকাসহ দোকান থেকে ইলেকট্রনিক্সের বিভিন্ন মালামাল ডাকাতি করে নিয়ে যায় বলে জানায় কড়িকান্দি(সদর)ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ভূঁইয়া ইলেকট্রনিক্সের প্রোঃ মোঃ ছাইদুর রহমান ভূঁইয়া।এছাড়াও বলরামপুর ইউনিয়নের পাঙ্গাশিয়া গ্রামের ডাঃ হাসেম মিয়ার ছেলে চট্টগ্রামের বিশিষ্ট কাপর ব্যবসায়ী মোঃ বাবুল মিয়ার বাড়ীতে দুর্র্ধষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে পাঙ্গাশিয়া গ্রামের ডাঃ হাসেম মিয়ার ছেলে চট্টগ্রামে বিশিষ্ট কাপর ব্যবসায়ী বাবুল মিয়ার বিল্ডিংয়ের কলাপসিবল গেইটের তালা ভেঙে বিল্ডিংয়ের ভিতরে ৮ জনকে হাত ও পা বেধে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ৬ টি রোমের স্টীলের আলমারি ও ওয়ার ড্রব ভেঙ্গে ১৫ ভরি ওজনের বিভিন্ন স্বর্ণালঙ্কার,৫ ভরি ওজনের ডাইমন্ড ও নগদ-৭ লক্ষ টাকাসহ প্রায় ২০ লক্ষ টাকা ডাকাতি করে নিয়ে গেছে বলে জানায় বাবুল মিয়ার বড় ভাই ডাঃ মহসীন।এছাড়াও বলরামপুর ইউনিয়নের উলুকান্দি গ্রামের মৃত আব্দুর খালেক মুন্সীর ছেলে মোঃ মঙ্গল মুন্সীর বাড়ীতে রাতের কোনো এক প্রহরে দুর্র্ধষ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাত দল উলুকান্দি গ্রামের মঙ্গল মুন্সীর ছেলে রিপন মুন্সীর বিল্ডিংয়ের গেইটের তালা ভেঙে নগদ টাকা,স্বর্ণালঙ্কার ও কয়েকটি মোবাইলসহ আরও অন্যান্য মালামাল লুট করে নিয়ে যায় যায় এবং একই রাতে তাঁর ছোট ছেলে প্রবাসী বিলাল হোসেন এর ঘরের দরজা ভেঙে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে নগদ টাকা,স্বর্ণাঙ্কার ও মোবাইল ফোনসহ অন্যান্য মালামাল ডাকাতি করে নিয়ে গেছে বলে জানায় ভুক্তভোগী পরিবারটি। একই কায়দায় তিতাসের বিভিন্ন গ্রামে আরো কয়েকটি ডাকাতির ঘটনা ঘঠেছে বলে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে।ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে অভিযোগ উঠেছে তিতাস উপজেলায় প্রতিদিনই ঘঠছে সিরিজ ডাকাতিসহ নানা অপরাধ মূলক কর্মযজ্ঞের ঘটনা।এহেন সিরিজ ডাকাতির ঘটনায় যেনো আতঙ্কের রাজ্যে পরিনত হয়েছে তিতাস।এই আঙ্কের রাজ্যেই বসবাস করছে তিতাসের মানুষ!এহেন সিরিজ ডাকাতি মূলক নানা অপরাধ কর্মযজ্ঞের ঘটনায় যেনো চরম অসহায়ত্বের মধ্যেই জীবনযাপন করছে তিতাসের মানুষ!তবে হাল ছেড়ে দেননি তাঁরা। প্রতিরাতেই জেগে থেকে পাহারা দিয়ে যাচ্ছে সিরিজ ডাকাত দলের সদস্যদের ধরতে তিতাসের বিভিন্ন গ্রামের মানুষ! এহেন সিরিজ ডাকাতি মূলক নানা অপরাধ কর্মযজ্ঞের ঘটনায় তিতাস থানা পুলিশের চরম আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে বলে জানান এলাকার সুশীল সমাজ।এবিষয়ে তিতাস থানার ওসি(তদন্ত) শহিদুল ইসলামের মোবাইল ফোনে কল করা হলে তিনি বলেন,সিরিজ ডাকাতির হোতা শরীফ ও তার সহযোগী কাউছারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।সিরিজ ডাকাতি সাথে জড়িত বাকীদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত আছে।