এস এ ডিউক ভূঁইয়া, তিতাস কুমিল্লাঃ কুমিল্লার তিতাস উপজেলায়সূর্যমুখী ফুলের মুগ্ধতা উপভোগ করতে হাজারো মানুষের ভিড় দেখা যায় ।প্রতিদিনই দুর-দুরান্ত থেকে ছুটে এসে সেলফি তুলতে হাজারো মানুষের ভিড় দেখা যায় সূর্যমুখী চাষ করা জমিতে।সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, কুমিল্লার তিতাস উপজেলার কলাকান্দি ইউনিয়নের মাছিমপুর গ্রামের একজন কৃষিবিদ শিক্ষার্থী পরিক্ষা মূলক ভাবে নিজের পৈত্রিক ৯০শতক জমিতে চাষ করেন সূর্যমুখী ফুলের।হলুদের সমারোহ দেখতে দুর-দুরান্ত থেকে প্রতিদিনই ফুল প্রেমিরা ছুটে আসেন এবং সেলফী তুলে নিজের ফেসবুকসহ সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করে আনন্দোৎসব করেন প্রকৃতিপ্রেমীরা।উপজেলারকলাকান্দি ইউনিয়নের মাছিমপুর গ্রামের মো.ওয়ালিদ মিয়ার পুত্র হোমনা কৃষিপ্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউশন থেকে সদ্য ডিপ্লোমা করা কৃষিবিদ ওমর ফারুক (টুটুল) জানায়,পরীক্ষামূলক ভাবে মাছিমপুর- কলাকান্দি সড়কের উত্তর পাশ্বের ৯০ শতক জমিতে সূর্যমুখী চাষ করেন।প্রতিদিন সূর্যমূখী ফুলের মুগ্ধতা উপভোগ করতে হাজারো মানুষের ভিড় হয়।সূর্যমুখী ফুলের মুগ্ধাতা উপভোগ কারীদের দেখে তিনি নিজেও অনেক আনন্দ উপভোগ করেন।সেজন্যেই কাউকে কিছু বলেন না বরং আরো উৎসাহ পান বলে জানান তিনি।শুধু তিনি নন; এলাকার কৃষকগণও সূর্যমুখী ফুলের চাষে আগ্রহ বাড়াতে শুরু করেছে বলেও জানান।কারণ,অল্প পূঁজিতে শষ্যবিজ ও তৈল উৎপাদনে সূর্যমুখীর চাষ কৃষকের জন্য লাভ জনক ও নতুন দিগন্তে সম্ভাবনা হতে পারে বলেও তিনি জানান।তিনি বলেন,আমি পরীক্ষামূলক ভাবে সূর্যমুখী চাষ করেছি।আমার জমিতে প্রতিদিনই দুর-দুরান্ত থেকে সেলফি তুলতে হাজারো মানুষ আসে,আমি কখনো কাউকে কিছু বলি না।আমি চাই আমার মতো অন্যরাও তাঁদের জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করুক।আমি তাঁদেরকে সার্বিক ভাবে সহযোগিতা করবো।ওই সূর্যমুখী ফুল চাষের খবর ফেজবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হলে এবিষয়ে কৃষিবিদ ওমর ফারুক (টুটুল)’র সাথে সাক্ষাত করেন উপজেলা কৃষি বিভাগের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ কাউছার আহমেদ।তিনি কৃষিবিদ ওমর ফারুক (টুটুল)’র কাছ থেকে সূর্যমুখী ফুল চাষের সফলতার গল্প শুনেন।