এস এ ডিউক ভূঁইয়া-তিতাস
(কুমিল্লা)প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লার তিতাস উপজেলার রঘুনাথপুর (নয়ানী) মেহেনাজ হোসেন মিম কলেজের পাশে অবস্থিত স্ট্যান্ডে ১০ টি অটোরিকশা ভাংচুর করেছে একদল দূর্বৃত্ত।প্রত্যক্ষদর্শী ও ভোক্তভোগীদের সাথে কথা বলে জানা যায়,মুরাদনগর উপজেলার ছালিয়াকান্দি ইউনিয়নের ছালিয়াকান্দি গ্রামের শফিক মিয়ার ছেলে জুয়েল,ইমন,চেয়ারম্যান বাড়ির সুমন ও আনিসসহ ২০-২৫ জনের একটি দল লোহার রড,এসএস পাইপ ও লাঠি নিয়ে এসে ৮-১০ টি অটোরিকশা ও দোকান গুলোতে ভাংচুর করে।তারা হঠাৎ এসেই কোন কথা নেই গালাগালি শুরু করে এবং হামলা চালায়।জানা যায়, রঘুনাথপুর নয়ানী গ্রামের ইমন সি,এন,জি যোগে গতকাল তারা ছালিয়াকান্দি থেকে অন্য একটি জায়গায় ৫ জন যায়।এবং১০০ টাকার নোট দেয়।ভাড়া ৪৫ টাকা কিন্তু ভাংতি না থাকায় ৫০ টাকা ফেরত দেয় ইমন।৫ টাকার জন্য কথা কাটাকাটি হয়।ক্ষিপ্ত হয় ওরা ৫ জন। ঐবিষয়টিকে কেন্দ্র করে ১৩ জুলাই সকাল ১০টা থেকে ১০.৩০ টার সময় তারা আকস্মিক হামলা চালায়।এতে সেম্বুপুর গ্রামের বাবু,রিফাত, সাতানীর নূরে আলম,একই গ্রামের বাদল,কবির,হযরত আলী,আনন্দ বাজারের ( নয়ানী) সেলিম ও রবিউলের অটোরিকশা ভাংচুর করে।তাদের সন্ত্রাসী হামলায় আহত হয় নয়ানী গ্রামের মোস্তফার প্রতিবন্ধী ছেলে রবিউল।বর্তমানে সে তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে।
এই বিষয়ে ছালিয়াকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু মুসার ভাতিজা বাবুর সাথে বললে,তিনি জানান,আমি ঘটনাস্থলের কাছাকাছি গিয়েছি এবং নির্ভৃত করার চেষ্টা করেছি। বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন বলেন,আমি এই বিষয়ে কোন কিছু জানি না এবং আমাকে কেউ কোন কিছু জানায় নি।এই বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ মুক্তার হোসেন বলেন,আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম এবং উভয়পক্ষের সাথে কথা বলেছি। বিষয়টি মিমাংসা করার পথে রয়েছে।এই বিষয়ে ভূক্তভোগী অটোরিকশা চালকগণ বলেন, আমরা আমাদের ক্ষতিপূরণ চাই এবং সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের বিচার চাই।পেটের দায়ে লকডাউন উপেক্ষা করে রাস্তায় নেমেছি। এখন আমরা কিভাবে সংসার চালাব? আমরা তিতাস উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।এবিষয়ে তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) সুধীন চন্দ্র দাস বলেন, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]