তুরস্ক-গ্রিস সীমান্তে ঠাণ্ডায় জমে ১২ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার এক টুইটবার্তায় এ তথ্য জানিয়েছেন তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেইমান সয়লু।
হতভাগ্য এই অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মৃত্যুর জন্য গ্রিসের সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে দায়ী করেছেন সয়লু। টুইটবার্তায় তিনি অভিযোগ করেন- ওই অভিবাসনপ্রত্যাশীদের দলটিতে মোট ২২ জন ছিল। সীমান্ত পেরোনার সময় গ্রীসের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে তারা। তারপর তাদের শীতের কাপড় ও জুতা রেখে দিয়ে তুরস্কের পথে ফেরত পাঠায় সীমান্তরক্ষী বাহিনী।
ফিরতি পথে তুরস্কে আসার সময় ঠাণ্ডায় জমে তাদের মধ্যে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে টুইটবার্তায় জানান দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তবে এই অভিবাসীরা কোন দেশের- তা টুইটে জানাননি তিনি।
এদিকে তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই অভিযোগকে ‘মিথ্যা প্রোপাগান্ডা’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন গ্রিসের অভিবাসন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী নোটিস মিটারাচি। বুধবার এক বিবৃতিতে মিটারাচি বলেন, ‘এই অভিবাসনপ্রত্যাশীরা সীমান্ত এলাকা পর্যন্ত আসতেই পারেনি। যদি তারা আসতো, গ্রিক সীমান্তরক্ষী বাহিনী তাদের সঙ্গে এমন আচরণ করত না। সুতরাং এই অভিযোগ একেবারেই ভিত্তিহীন।’
২০১৫-’১৬ সাল থেকে ভূমধ্যসাগর বা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে তুরস্ক থেকে গ্রিস হয়ে ইউরোপের ধনী দেশগুলোতে যাওয়ার প্রবণতা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতি বছর লাখ লাখ অভিবাসনপ্রত্যাশী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই বিপদসঙ্কুল পথে পাড়ি জমাচ্ছেন।
এই অভিবাসনপ্রত্যাশীদের প্রায় সবাই আফ্রিকা ও এশিয়ার দরিদ্র দেশগুলো থেকে আসা মানুষ এবং তাদের মূল লক্ষ্য তুরস্ক-গ্রিস হয়ে ইউরোপের ধনী দেশগুলোতে যাওয়া।
২০১৬ সালের মার্চে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের অনুপ্রবেশ বন্ধে তুরস্কের সঙ্গে চুক্তি করেছিল ইউরোপীয় ইউনিয়নের, কিন্তু তাতে কোনো কাজ হয়নি। বন্ধ হয়নি অভিবাসন প্রত্যাশীদের জোয়ার।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]