শেখ তোফাজ্জেল হোসেন, খুলনা সিটি প্রতিনিধিঃ নগরীর আড়ংঘাটা থানাধীন তেলিগাতী ফকিরপাড়ার হাকিম কাজীর মেয়ে দুই সন্তানের জননী দিঘলিয়া ভ্রম্যগাতীর নজরুল ইসলাম শেখ নজুর স্ত্রী ফাতেমা বেগম(৪৫) গৃহবধুর রহস্যজনক মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। নিহতের বৃদ্ধ মাতা রুপবান বেগম ও তার বোন হোসনে আরা সহ স্বজনদের দাবী শারিরক নির্যাতন করে তাকে পানির সাথে কিটনাশক জাতিয় কিছু পান করিয়ে হত্যা করা হয়েছে। অপরদিকে নিহতের স্বামী এবং তার আত্মীয় স্বজনদের দাবী কিটনাশক পান করে সে আত্মহত্যা করেছে। গতকাল শনিবার নিহত ফতেমার লাশ তার বাবার বাড়ী তেলিগাতী ফকিরপাড়া ঈদগাহে জানাযা শেষে যোগীপোল কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।
নিহত ফাতেমা বেগমের বোন হোসনে আরা বেগম জানান, দিঘলিয়া ভ্রম্যগাতী গ্রামের রাজমিন্ত্রী মোঃ নজরুল ইসলাম নজু শেখের সাথে বিবাহ দেওয়া হয়। বেশ কয়েক মাস আগে নজরুল ইসলাম দ্বিতীয় বিবাহ করে বিষয়টি ফাতেমা জানতে পারলে তাদের মধ্যে কলহ দেখাদেয়। গত বৃহস্পতিবার নজু দ্বিতীয় স্ত্রীকে বাড়ীতে উঠালে ফাতেমা প্রতিবাদ করে। এই ঘটনায় রাতে ফাতেমাকে মারপিট করে তার স্বামী নজরুল ইসলাম নজু। বিষয়টি ফাতেমা রাতে ফোন করে জানায় এবং তাকে নিয়ে আসতে বলে। পরদিন শুক্রবার দুপুরে ফোন আসে ফাতেমা কিটনাশক পান করেছে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, হাসপাতালের মর্গে আমার বোনকে দেখতে চাইলে অজ্ঞাত ফোনের কারণে পুলিশ প্রথমে লাশ দেখতে না দিলেও পরবর্তিতে দেখতে দেয়। লাশের কপালে রক্তাক্ত চিহৃ, বুকে, পিঠে, পায়েসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহৃ রয়েছে। তিনি বলেন বিষপান করলে যে আলামত দেখা যায় সেটা দেখতে পায়নি। তাকে নির্যাতন করে পানির সাথে কিটনাশক জাতিয় কিছু পান করিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে দাবী করেন নিহতের মাতা রুপবান বেগম ও বোন হোসনে আরা। তবে নজরুলের দাবী সে কিটনাশক পান করে আত্মহত্যা করেছে। এ ব্যাপারে সোনাডাঙ্গা থানার ডিউটি অফিসার জানায় লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরী করেছেন এস আই সোবহান মোল্যা। বিষয়টি জানতে তার ব্যবহৃত মোবাইলে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেনি। এ ব্যাপারে সোনাডাঙ্গা থানায় একটি সাধারণ ডায়রী হয়েছে(যার নং ১৪৭০ তাং ২৬-৩-২১। এদিকে নিহত ফাতেমার লাশ গতকাল শনিবার তেলিগাতী গ্রামে পৌছালে সেখানে এক হৃদয় বিদায়ক দৃশ্যে অবতৃর্ণ হয়। স্বজনদের কান্নায় এলাকার বাতাস ভারী হয়ে ওঠে। এলাকাবাসী ঘটনার সুষ্ট তদন্তপূর্বক দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন। নিহত ফাতেমার জানাযা বিকাল পৌনে ৪টায় তেলিগাতী ফকির পাড়া ঈদগাহে অনুষ্ঠিত হয়। পরে যোগীপোল কবরস্থানে দাফন করা হয়।