থানচি বান্দরবান প্রতিনিধি দৈনিক শিরোমণিঃ নেটওর্য়াক বিহীন দুর্গম পাহাড়ে সাংঙ্গু নদীর উপর ১শত দশ মিটারের এক ঝুলন্ত সেতু পাল্টে দিচ্ছে বান্দরবানে থানচিতে দুর্গম অঞ্চল বড় মদকের চিত্র। নদীর পারাপারে দীর্ঘদিনের ভোগান্তি লাঘব হওয়ায় ১৫টি গ্রামের মানুষের মুখে হাসি ফুটেছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টার পরিবর্তে এখন মাত্র ৫ মিনিটে বাজারসহ অন্যান্য গন্তব্যে পৌঁছানো যাচ্ছেন।সাংঙ্গু নদীর ওপর দৃষ্টিনন্দন দৈর্ঘ্য ১শত দশ মিটার ও প্রস্থ ১.৮ মিটারের ঝুলন্ত সেতুটি পাল্টে দিয়েছে থানচি উপজেলা সদর থেকে ৪০ কিলোমিটার দুরে দুর্গম বড় মদক এলাকার দৃশ্যপট। প্রায় ২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত দেশের ২য় বৃহত্তম এই ঝুলন্ত সেতুটির নির্মাণের পর অন্তত ৫ হাজারো বেশি মানুষের দুর্ভোগ লাঘব হয়েছে।এদিকে এলাকার স্থানীয়রা জানান, আগের দিনের সেতুর অভাবে যাতায়াতে ভোগান্তি ছিলো নিত্যদিনের বিষয়। বর্ষায় নদীর স্রোত বেশি থাকায় স্কুলে যেতে পারতো না কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। তবে এখন তা আর সেরকম সমস্যা নেই। দুর্গম অঞ্চলে এমন সেতু নির্মাণ অবকাঠামোগত পরিবর্তনের পাশাপাশি উৎপাদিত ফসল পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হবে মনে করছেন এলাকার স্থানীয়রা।রেমাক্রী (ইউপি) চেয়ারম্যান মুইশৈথুই মারমা জানান, উপজেলা দুর্গম সীমান্তবর্তী বড় মদকের এই ঝুলন্ত সেতুটিতে এলাকার সাধারণ জনগণের অনেক উপকার হচ্ছে। বর্ষায় সাংঙ্গু নদীর দুইপারের মেলাবন্ধনের সুযোগ পাচ্ছেন সীমান্তে বসবাসরত মানুষের।এদিকে উপজেলা চেয়ারম্যান থোয়াইহ্লামং মারমা জানান, পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা’র নির্দেশক্রমে দুর্গম বড় মদক এলাকার জনগণের দাবীর সাংঙ্গু নদীতে একটি ঝুলন্ত সেতু নির্মাণ করতে পেরেছি। তিনি আরো বলেন, পার্বত্য জেলা পরিষদের অর্থায়নে প্রায় দুই কোটি টাকা ব্যয়ে এই সেতুর নির্মাণে কাজ বাস্তবায়ন করা হয়েছে।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আতাউল গনি ওসমানী বলেন, বান্দরবানে সবচেয়ে স্পট দৃষ্টিনন্দন অর্থাৎ পর্যটন কেন্দ্র হচ্ছে থানচির। এই ঝুলন্ত সেতু নির্মাণের উপজেলা পর্যটক শিল্পের বিকাশ একধাপ এগিয়ে যাচ্ছে।তিনি আরো বলেন, সেতুর নির্মাণের এলাকার মানুষের পাশাপাশি দুর্গম সীমান্তে বিনোদন ও পর্যটনের স্পটগুলোতে পর্যটকের মেলাবন্ধন ঘটবে।
৫ views