থানচি (বান্দরবান) প্রতিনিধি দৈনিক শিরোমণিঃ বান্দরবানে থানচিতে বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের মাহাঃ ওয়াগ্যোয়াই পোয়েঃ (প্রবারণা পূর্নিমার) উৎসবের বাধ ভাঙ্গা জোসনার আলোতে শতশত ফানুস বাতির ঝিলিক ও আতশবাজিতে উজ্জল রাতের আকাশ। অন্যদিকে উপজেলা বিভিন্ন পাড়ার বৌদ্ধ বিহারগুলোতে এই মহা উৎসব উপলক্ষ্যে আকাশে নানান রংবেরংঙ্গে ফানুস বাতির উড়িয়ে ভগবান বুদ্ধের (চুলা মনি জাদি) উদ্দেশ্যের উৎসর্গ করেন বৌদ্ধ ধর্মালম্বীরা।ক্রবার (২২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় থানচি'র বলিপাড়া ইউনিয়নের মনাই পাড়া বৌদ্ধ বিহারে দায়ক-দায়িকাবৃন্দ আয়োজনে প্রবারণা পূর্ণিমার সাংঙ্গু নদীতে পদ্ম ফুল ভাসানো অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান থোয়াইহ্লা মং মারমা ও বলিপাড়া জোন (৩৮ বিজিবি) অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল খন্দকার মুহাম্মদ শরীফ-উল-আলম পিএসসি। এছাড়াও মারমা সমাজের তরুন-তরুনী, ছোট-বড় সকল শ্রেণির মানুষ, এলাকার প্রতিনিধিসহ সুশীল সমাজে ব্যক্তিবর্গ ও দায়ক-দায়িকাবৃন্দ এই পদ্ম ফুলের ভাসানো অনুষ্ঠানের অংশ নেন।এই প্রবারণা পূর্ণিমা উৎসবে সাংঙ্গু নদীতে পদ্ম ফুল ভাসানো করোনার কারণে দীর্ঘ দুই বছর পর সীমিত আয়োজনে অনুষ্টান হয়েছে। দীর্ঘদিন পর উৎসব হওয়ায় শত শত মানুষ ভিড় জমায় উৎসবে। এতে পাহাড়ি বাঙ্গালীদের সম্প্রীতির মিলন মেলায় পরিণত হয়। এবারে থানচি উপজেলাতে ফানুস বাতি উড়ানো, পিঠা তৈরী, হাজার প্রদীপ প্রজ্জলন, বিহারে বিহারে পূজা অর্চনা, সাংঙ্গু নদীতে পদ্ম ফুল ভাসানোসহ নানান আয়োজনে ওয়াগ্যোয়াই পোয়েঃ (প্রবারণা পূর্ণিমা) উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।এদিকে ওয়াগ্যোয়াই পোয়েঃ (প্রবারণা পূর্ণিমার) উৎসবে শুধু মারমারাই নয়, অন্যান্য সম্প্রদায়ের লোকজনও আনন্দ-উদ্দীপনা নিয়ে অংশগ্রহণ করেন। ফলে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মিলন মেলায় পরিণত হয়। এই প্রবারণা পূর্ণিমা উৎসবটি ঘিরে আগামী ২৪ অক্টোবর বেলা ২টায় থানচি সদর মগক হেডম্যান পাড়া বৌদ্ধ বিহার মাঠ প্রাঙ্গনে থেকে মহাঃ রথ (রাথাঃ) টেনে উপজেলা বাজারসহ বিভিন্ন স্থান প্রদক্ষিণ শেষে সাংঙ্গু নদীতে রথ (রাথাঃ) বিসর্জনে মাধ্যমে সমাপ্ত হবে প্রবারণা উৎসব। পরে একই দিনের সন্ধ্যায় ৭টায় থানচি মুক্ত মঞ্চের মারমা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক (জ্যাহ্ঃ আহকাঃ) অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]