রেজিঃ নং ডিএ ৬০০৯ | বর্ষ ১৪ | ৪ পৃষ্ঠা ৩ টাকা || মঙ্গলবার | ২৬ নভেম্বর ২০২৪ | ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
থানচি ইতিহাসের বড় শোকাহত পরিবার কেমন আছেন?
থানচি (বান্দরবান) প্রতিনিধি দৈনিক শিরোমণিঃ বান্দরবানে থানচিতে উপজেলা সদর হতে বলিপাড়া রাস্তায় ১১ কিঃমিঃ শিলা ঝিড়ি (সংরেক্ষ্যং) নামক স্থানে ২০১২ সালে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবার কেমন আছেন? ১৭ জন নিহতদের স্বরণে উপজেলা প্রশাসনে অর্থায়নে স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়। মোজাইক করা স্মৃতিসৌধটি অযত্ন অবহেলা ও অরক্ষিত অবস্থায় যেন দেখভাল দায়িত্বে কেউ নেই।এদিকে একই বছরে উপজেলা প্রশাসনে আয়োজনে মাসিক সমন্বয় সভাতে স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা বিশেষ বিবেচনায় থানচির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় শোকাবহ ঘটনা ১৭ জনের নিহত সড়ক দুর্ঘটনা বিষয়টি গুরুত্বসহকারে আলোচনা আমলে নেন। একই বছরে অর্থাৎ ২০১২ সালে প্রশাসনে অর্থায়নে সড়ক দুর্ঘটনা নিহতদের স্মরণে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মান করা হয়।সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালে ১৪ জানুয়ারী শনিবার সকাল সাড়ে ৭ টায় থানচি থেকে বান্দরবান সদরে উদ্দেশ্যে যাত্রা করে একটি যাত্রীবাহী বাস। থানচি সড়কে ১১ কিঃমিঃ শিলা ঝিড়ি (সংরেক্ষ্যং) নামক স্থানে পৌচ্ছালে সড়ক দুর্ঘটনা কবলিত পড়ে যাত্রীবাহী বাসটি নিয়ন্ত্রন হারিয়ে প্রায় ৩শত মিটার গভীরে ঝিড়ি খাদে পড়ে যায়।আরো জানা গেছে, এই সড়ক দুর্ঘটনায় কবলিত পড়ে ঘটনাস্থলে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগের সদর ইউনিয়নে সভাপতি উহ্লাচিং মারমা, তার দৌহিত্র দুই মেয়ে মধ্যে বড় মেয়ে বেঁচে যান। ঘটনাস্থলে ১৭ জন নিহত ও বাস চালকসহ ১৪ জনের আহত হন। যা থানচির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় শোকাবহ ঘটনা বলে জানান এলাকাবাসী।ফেসবুক সামাজিক যোগাযোগ মধ্যমে পোষ্টের বাবা, ছোট বোন ও নিহতদের সকলে আত্মার শান্তি কামনা করেন বাবা হারার বড় সন্তান উবাহাই মারমা। তিনি পোষ্টের লিখেন, আজ আমার স্বর্গীয় বাবা ও স্নেহে আদরে ছোট বোন কিকিনু আজ ১০তম মৃত্যু বার্ষিকী। ২০১২ সালে ১৪ জানুয়ারী এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা আর ছোট বোনকে হারিয়েছি। তাই ১৪ জানুয়ারী আমাদের পরিবারের জন্য এই দিনই স্মরণীয় কষ্টদায়ক একটা দিন। মন্দিরে পূজা ও প্রার্থনা করলাম। ওনাদের আত্মার শান্তি কামনা করছি।এদিকে স্থানীয়রা জানান, বিগত ২০১২ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় কবলিত পড়ে নিহতদের স্মরণের নির্মাণ সেই স্মৃতিসৌধটি বছরে পর বছর ধরে অবহেলিত, ময়লা অবর্জনা ও অরক্ষিত অবস্থায় জঙ্গলে পরিনত রয়েছে। দেখভাল আমলে নিয়ে স্মৃতিসৌধটি সংরক্ষণে প্রতি বছর পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করার প্রয়োজনীয়।থানচি হেডম্যান পাড়া বাসিন্দা ডথুইনু মারমা বলেন, সেদিন বাবাসহ আমরা দুই বোনের গোপালগঞ্জ স্কুলে পড়াশুনা করার উদ্দেশ্যে সকাল ৭টায় বাসের থানচি থেকে বান্দরবানে রওনা দিয়েছিলাম। আমি গুরুত্বর আহত হয়ে বেঁচে গেলেও ছোট বোন ও বাবা ঘটনাস্থলে প্রাণ হারান।তিনি আরো বলেন, এই সড়কের যখনি আমি বান্দরবান থানচি আসা যাওয়ার করি তখনি এ স্মৃতিসৌধ দেখলে বাবা ও আদরে ছোট বোনের কথা মনে পড়ে। চোখের পানি ফুটফোটে ফেলে কেঁদে কেঁদে যেতাম আমি।এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আতাউল গনি ওসমানী বলেন, এই স্মৃতিসৌধ ইতিহাসটি জেনেছি। এরই মধ্যে স্মৃতিসৌধটি পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে।তিনি আরো বলেন, উপজেলা পরিষদের মাসিক সভাতে উস্থাপন করে স্মৃতিসৌধটি আরো উন্নত ও নিহতদের নাম খুঁজে তাদের নামে একটি বিলবোর্ড তৈরী করার চেষ্ট করবো।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]
Copyright © 2024 দৈনিক শিরোমনি | shiromoni.com. All rights reserved.