আবুল হাসনাত রিন্টু, ফেনী,ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কোটি টাকার এক্স-রে মেশিন ২০২১ সাল থেকে বাক্সবন্দি হয়ে পড়ে আছে। ২০০৮ সাল থেকে এক্স-রে করার টেকনিশিয়ান নেই। টেকনিশিয়ান না থাকায় রোগীরা চিকিৎসাসেবা পাচ্ছে না। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সাল থেকে দাগনভূঞা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক্স-রে করা হয় না। ২০২১ সালের ২ মার্চ ডিজিটাল এক্স-রে মেশিনটি আনা হলেও স্থাপন করা হয়নি। এ কারণে তা অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে।উপজেলার শ্রীধরপুর গ্রামের বাসিন্দা মিজানুর রহমান জানান, রাস্তায় পড়ে গিয়ে তিনি ডান পায়ে আঘাত পেয়েছেন। জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে এক্স-রে করার পরামর্শ দেন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক্স-রে করার ব্যবস্থা না থাকায় চিকিৎসক আমাকে প্রাইভেট ক্লিনিকে যেতে বলেছেন। কিন্তু আমার কাছে এক্স-রে করার টাকা নেই।উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, এক্স-রে টেকনিশিয়ান না থাকায় রোগীদের সেবা দেওয়া যাচ্ছে না। টেকনিশিয়ানের শূন্য পদটি পূরণের জন্য প্রতি মাসে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে প্রতিবেদন পাঠানো হয়। কিন্তু শূন্যপদ পূরণ করা হয়নি।উল্লেখ্য, দাগনভূঞা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ফেনী-মাইজদী সড়কের পাশে হওয়ায় দুর্ঘটনাকবলিতরা প্রতিদিন চিকিৎসা নিতে আসছেন।