জামালপুর সংবাদদাতা \ জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার কাঠারবিলÑসানন্দবাড়ী সড়কের গয়ারডোবা ফুটওভার ব্রিজটি দীর্ঘদিন থেকে ঝুঁকিপূর্ণ হয়েছে। ব্রিজের উপর দিয়ে প্রতিদিন শতশত যানবাহন ও পথচারীকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।
এলজিইডির সূত্রে জানা যায়, ২০০৬ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের অর্থায়নে ৩৫লক্ষ ২৫হাজার ৫৯৭ টাকা ব্যয়ে কাঠারবিলÑসানন্দবাড়ী সড়কের গয়ারডোবা খালের ওপর ১৪৪ মিটার ফুটওভার ব্রিজটি নির্মাণ করে। ব্রিজটির ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ছিলো মেসার্স কাদের এন্টারপ্রাইজ। নির্মাণের সময় ব্রিজের দু’পাশে সরু কাঁচা সড়ক ছিলো। সে কারণে যানবাহন চলাচলের বিষয়টি বিবেচনা না করেই পথচারীদের চলাচলের জন্যে ফুটওভার ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়।
২০১৭ সালে কাঠারবিল থেকে ওই ব্রিজ হয়ে সানন্দবাড়ী পর্যন্ত পাকা সড়ক হওয়ায় ফুটওভার ব্রিজটির ওপর দিয়ে যানবাহন চলাচল শুরু করে। ফলে উত্তরাঞ্চলের বিশাল জনগোষ্ঠীর দৈনন্দিন উপজেলা জেলা শহরে যাতায়াতসহ কৃষকদের উৎপাদিত পণ্য পরিবহন ব্যবস্থা সহজতর হয়েছে। দুর্ভোগের হাত থেকে বেঁচে গেছে এ অঞ্চলের বিপুল সংখ্যক স্কুল কলেজ পড়–য়া শিক্ষার্থী। ফুটওভার ব্রিজটির প্রশস্ততা এতোই কম যে, মুখোমুখি দু’টো অটোরিক্সা ক্রসিং করা যায় না। বিগত ৮ বছর পূর্ব থেকে এ ব্রিজের রেলিং ভাঙ্গতে শুরু করেছে। দু’পাশে পাকা সড়ক হওয়ার পর থেকে ব্রিজটির ওপর দিয়ে প্রতিদিন পথচারী ছাড়াও শতশত যানবাহন ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছে। যে কোনো মূহুর্তে বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
চরআমখাওয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আজিজুর রহমান আকন্দ জানান, ব্রিজটির রেলিংসহ বিভিন্ন স্থানে ভেঙ্গে যাওয়ায় যানবাহন ও পথচারী চলাচল খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়েছে। চর আমখাওয়া ইউপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শামছুল আলম জানান, ফুটওভার ব্রিজটির নির্মাণ কাজে ত্রুটি ছিলো। নি¤œমানের ইট, খোয়া, বালি, সিমেন্ট ও রড ব্যবহার করার কারণে নির্মাণের ৬ বছর পর থেকে ব্রিজটির রেলিংসহ অন্যান্য স্থান ভাঙ্গতে শুরু করেছে। ব্রিজটি দ্রুত পূন:নির্মাণ করা প্রয়োজন।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]