মোশারফ হোসেন লিটন সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি দৈনিক শিরোমণিঃ পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, প্রতিবেশী দেশের কথা বললেই অনেকে মনে করেন ‘এই বুঝি ভারতের কথা বলছে’, আসলে শুধুমাত্র ভারতই আমাদের প্রতিবেশী দেশ নয়। নেপাল, ভুটান, মিয়ানমার, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা এবং মালয়েশিয়াও আমাদের প্রতিবেশী। তিনি বলেন, আমাদের সৃষ্টিকর্তা বলেছেন প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখতে। আমাদের প্রধানমন্ত্রীও প্রতিবেশীদের প্রতি উদার। আমরা চাই এই সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও বাড়বে।শুক্রবার (৮ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আইসিটি টাওয়ারের বিসিসি অডিটোরিয়ামে আন্তর্জাতিক ব্লকচেইন অলি¤িপয়াড-২০২১ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।মন্ত্রী বলেন, উন্নয়ন ও পরিবর্তনের জন্য স্থিতিশীলতার প্রয়োজন। যখনই কোনো সরকার উন্নয়নের চেষ্টা করেছে, তখনই বিশৃঙ্খলতা সৃষ্টি করা হয়েছে। আমাদের মধ্যে ঐক্যের ফাটল ধরেছে। আমাদের অনেক সময় ব্যয় হয়েছে। আমরা কষ্ট ভোগ করেছি। সামরিক শাসকেরা আমাদের জীবন থেকে প্রায় ২১ বছর কেড়ে নিয়ে গেছেন। আধাসামরিক শাসক অথবা ছায়াসামরিক শাসক নষ্ট করেছেন আরও ৫ থেকে ৭ বছর।তিনি বলেন, আমরা বেশিদিন মন্ত্রী থাকতে চাচ্ছি, বিষয়টা এমন না। সমাজের উন্নয়নের জন্য আমাদের স্থিতিশীল চিন্তা থাকতে হবে, এটাই হলো মুখ্য বিষয়। আমরা যদি স্থিতিশীলতার পক্ষে, গণতন্ত্রের পক্ষে না থাকি তবে আমাদের অবস্থা খারাপ হতে পারে, এমনকি পরাধীনতাও আসতে পারে। সেটা শারীরিকভাবে না হলেও অর্থনৈতিকভাবে কিংবা সামাজিকভাবেও হতে পারে।ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা বেশকিছু আইন চালু করেছি। অনেকেরই বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন আছে যে, ব্যক্তিজীবনে হয়তো আঘাত আসতে পারে। কিন্তু সরকারের এ ধরনের কোনো ইচ্ছা নেই। আপনার সব ধরনের তথ্য জানার প্রয়োজন আছে। সে প্রয়োজন তো আমরাই নির্ধারণ করবো, আপনারা নয়। যারা অপরাধের মধ্যে আছে তাদেরকে আয়ত্তে আনতেই হবে। জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে, স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ও দেশের বিরুদ্ধে যারা কাজ করছে তাদেরও বিচারের আওতায় আনতে হবে।পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের সরকার ওপেন পলিসিতে বিশ্বাস করে। প্রধানমন্ত্রী ঘরের ভেতরে নয়, উঠানে কাজ করায় বিশ্বাসী। যার ফলে তিনি কী করছেন না করছেন সব আমরা দেখতে পাই। আপনারা সরকারের সব ধরনের তথ্য আমাদের কাছে চাইতে পারেন, আমরা যদি না দিই, তাহলে আইনের মাধ্যমে আমাদের বাধ্য করতে পারেন। প্রধানমন্ত্রী যথেষ্ট আধুনিক একজন মানুষ। তিনি আরও আধুনিক হতে চান।তরুণদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, ইতিহাস কিংবা অতীতের সঙ্গে লড়াই করা সম্ভব না। কিন্তু চাইলে নিজেই নিজের ভবিষ্যৎ তৈরি করা যায়। আর এই বিষয়টি তরুণদের হাতেই আছে। শুধু স্বপ্ন দেখেই নয়, কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমেই নিজের ভবিষ্যৎ গড়তে হবে। কঠোর পরিশ্রমের পাশাপাশি চিন্তা, গবেষণা, বাইরে যাওয়া, অ্যাডভেঞ্চার, ঝুঁকিগ্রহণ, স্টার্টআপ ইত্যাদি ক্ষেত্রেও নিজেকে নিযুক্ত করার পরামর্শ দেন তিনি।