মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া বাংলাদেশ মেরিন ফিশারিজ একাডেমি থেকে গ্রাজুয়েশন প্রাপ্ত ক্যাডেটগণ কাজের ক্ষেত্রে দেশেই নয় তারা বিদেশেও বাংলাদেশর প্রতিনিধিত্ব করবে। দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবে। দেশের মান-সম্মান রক্ষার দায়িত্ব ক্যাডেটদের উপর ন্যাস্ত হলো।
আজ সোমবার চট্টগ্রাম মেরিন ফিশারিজ একাডেমিতে ৩৯তম ও ৪০তম ব্যাচের পাসিং আউট প্যারেড গ্রহণ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী কথাগুলো বলেন। এসময় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ, মেরিন একাডেমির অধ্যক্ষ ক্যাপটেন মোহাম্মদ ওয়াসিম মকসুদসহ বাংলাদেশ নৌবাহিনী, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন অধিদপ্তর, মৎস্য অধিদপ্তর, মার্কেন্টাইল মেরিন ডিপার্টমেন্ট, সরকারি শিপিং অফিসসহ অন্যান্য মেরিটাইম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, দেশের সুনীল অর্থনীতিতে অবদান রাখার নিমিত্তে চৌকস এ প্রশিক্ষিত ক্যাডেটদের মাধ্যমে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার আর্থ সামজিক উন্নয়নের জন্য একটি নতুন দ্বার উন্মোচিত হলো। মন্ত্রী তাঁর বক্তব্যের শুরুতে স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানান। অনুষ্ঠানে একাডেমির এডজুট্যান্ট লেফট্যানেন্ট এ কে এম কাওসার জাহান ক্যাডেটদের শপথবাক্য পাঠ করান। ৩৯তম ব্যাচের নন্দীনি কুন্ড, ৪০তম ব্যাচের ক্যাডেট আজমাইন আজ সামি, ক্যাডেট শাহেদা আক্তার, ক্যাডেট নাহিদুর রহমান স্বর্ন পদক লাভ করেন। এবছর একাডেমির ৩৯ তম ও ৪০ তম ব্যাচে নটিক্যাল বিভাগে ৬৩ জন, মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে মোট ৬৬ জন এবং মেরিন ফিশারিজ বিভাগে ৩৬ জন ক্যাডেট গ্রাজুয়েশন লাভ করেছে।
এদের মধ্যে মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ৬ জন এবং মেরিন ফিশারিজ বিভাগে ৪ জন মহিলা ক্যাডেট রয়েছে। নারী শিক্ষার উন্নয়নে বর্তমান সরকারের যুগোপোযোগী পরিকল্পনার একটি ধাপ হিসেবে এ একাডেমিতে মেরিন ফিশারিজ ও মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে মহিলা ক্যাডেটদেরকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। একাডেমির পক্ষ থেকে জানানো হয় ৩২ তম থেকে ৩৮ তম ব্যাচ পর্যন্ত ৪৮ জন মহিলা ক্যাডেট গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেছেন।
এ যাবৎ একাডেমি হতে উত্তীর্ণ প্রায় ১৭৪৯ জন পুরুষ ও মহিলা ক্যাডেট দেশি ও বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অত্যন্ত দক্ষতা এবং সুনামের সাথে চাকুরী করে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখছেন। একাডেমি থেকে প্রদত্ত ৩ বছর মেয়াদী ব্যাচেলর অব সায়েন্স পাস কোর্সকে ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ হতে ৪ বছর মেয়াদী অনার্স কোর্সে উন্নীত করা হয়েছে। এর ফলে ৩৯ তম ব্যাচ থেকে নটিক্যাল, মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং ও মেরিন ফিশারিজ বিভাগের ক্যাডেটদেরকে ব্যাচেলর অব সায়েন্স অনার্স ডিগ্রী প্রদান করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।