সোহেল মিয়া,দোয়ারাবাজার,সুনামগঞ্জ: সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার সীমান্ত দিয়ে প্রতি রাতে অবৈধভাবে আসছে ভারতীয় গরু-মহিষের চালান। চোরাই পথে ভারত থেকে আসা এসব গরু-মহিষের চালান আসার পর চোরাকারবারিরা দোয়ারাবাজার উপজেলা হতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠাচ্ছে। প্রতি রাতেই এ উপজেলার বিভিন্ন রাস্তা দিয়ে ভারতীয় অবৈধভাবে আমাদানী করা গরু-মহিষের চালান চলে যাচ্ছে। প্রশাসন যেনো দেখেও না দেখার বান করছে। স্থানীয় একাধিক লোক বিষয়টি থানা পুলিশকে অবহিত করলেও এ ব্যাপারে প্রশাসনের পক্ষ হতে কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে দেখা যাচ্ছেনা।সম্প্রতি কাস্টমস বিভাগ ভারতীয় কয়েকটি চোরাই মহিষ আটক করলেও থেমে নেই চোরাকারবারিরা। তারা নিয়মিতভাবেই উপজেলার বোগলা,বাংলাবাজার, লক্ষীপুর, নরসিংপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন রাস্থা দিয়ে গরু-মহিষ পাচার করছে।এদিকে অবৈধভাবে ভারতীয় গরু -মহিষ আমদানি নিয়ে গতকাল দোয়ারাবাজারে দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় ৫ জন আহত হওয়ার ঘটনা ঘঠেছে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের ব্রিটিশ পয়েন্ট এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে গুরুতর আহত দুজনকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।এ ঘটনায় গতকাল দোয়ারাবাজার থানা পুলিশ বাংলাবাজার ইউপির ছনুগাঁও গ্রামের মৃত হোসেন আলীর ছেলে আকিক মিয়া নামের একজনকে (৩৫) আটক করেছে।স্থানীয়রা জানান, উপজেলার চারটি ইউনিয়নের বাংলাদেশ- ভারতের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে রাতের আঁধারে ভারতীয় গরু-মহিষ চোরাই পথে বাংলাদেশে আসছে। এসব পশু দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাচার করছে স্থানীয় চোরাকারবারিরা। এতে সরকারের রাজস্ব ফাকি দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও অবৈধ পথে আসা এসব গবাদি পশু দেশের ভেতরে প্রবেশ নিয়ে প্রায় সময়ই চোরা কারবারীদের সাথে স্থানীয় লোকজনের বাক-বিতন্ডা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেই চলছে।বৃহস্পতিবার মধ্যরাতেউপজেলার বাংলাবাজার ইউপির কুশিউড়া গ্রামের সুলতান মিয়া ও ছনুগাঁও গ্রামের আকিক মিয়া পক্ষদ্বয়ের মধ্যে চোরাই পথে আনা গরু মহিষকে কেন্দ করে এক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের ৫ জন আহত হয়।সংঘর্ষের খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। দোয়ারাবাজার থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মিজানুর রহমান জানান,চোরাই পথে আনা গরু মহিষকে কেন্দ করে দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় আকিক মিয়াকে আটক করা হয়েছে।দোয়ারাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেব দুলাল ধর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় শুক্রবার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]