বিধান মন্ডল সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি:
ফরিদপুরের সালথা উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নের জগন্নাদী গ্রামে ভাইকে মাঠ থেকে ডেকে আনতে গিয়ে সংঘবদ্ধ দলের ধর্ষণের শিকার হয়েছে এক কিশোরী। পরে সেই দৃর্শ্য ধারন করে মোবইল ফোনে। ঘটনার প্রায় ২০ দিন পর এলাকার লোকজনের মধ্যে জানাজানি হলে বিষয়টি নিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ ওই কিশোরীর বাবা থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুই কিশোর কে গ্রেফতার করে। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নের জগন্নাদী গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাদের কে গ্রেফতার করা হয়। এই ঘটনার ভিকটিম ১৫ বছরের এক কিশোরী। ধর্ষকরা একই এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
আটককৃতরা হল একই গ্রামের সাহিদুল শেখ এর ছেলে ফয়সাল শেখ(১৫), বিল্লাল গাজীর ছেলে জাহিদুল গাজী (১৪)। মামলা ও স্থানীয় সুত্র জানিয়েছে, ধর্ষক ফয়সাল ও জাহিদুল মাঝে মধ্যে ওই কিশোরী কে কুপ্রস্তাব দিতো তাতে সে রাজি হয়নি। ঘটনার দিন গত ১৫ অক্টোম্বর সকাল ১১ টায় ওই কিশোরী তার ভাই শারুপ কে মাঠ থেকে ডেকে আনতে গেলে আগে থেকে উৎপেতে থাকা ফয়সাল ও জাহিদুল ওই কিশোরীকে জাহিদুলদের পরিত্যাক্ত শ্যালোমেশিন ঘরে জোর করে নিয়ে যায়। সেখানে পাকা চৌকির উপর রেখে পরণের জামাকাপড় ছিড়ে ফেলে প্রথমে ফয়সাল ও পরে জাহিদুল তাকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষন করে। আর এই দৃর্শ্য মোবাইলে ধারন করে একই গ্রামের ওমর আলী মোল্যার ছেলে ইমদাদুল মোল্যা (১৪)। পরে ওই কিশোরীকে হুমকি দেওয়া হয় যেন কাউকে না বলা হয়। বললে ইন্টারনেটে ছেড়ে দেবার হুমকিও দেওয়া হয়।
কয়েকদিন আগে ভিডিওটি এলাকার বিভিন্ন মোবাইল ফোনে লোকজন দেখাদেখি করে এবং জানাজানি হয়। এলাকার গ্রাম্য মাতুব্বররা ঘটনাটি স্থানীয় ভাবে মীমাংসা করে দিবে বলে কালক্ষেপন করে। মীমাংসা না করার কারনে স্থানীয় ৪ শালিসী মাতুব্বর ও দুই ধর্ষকসহ মোট ৭ জনের নামে থানায় অভিযোগ করেন ওই কিশোরীর বাবা।
সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ্ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় এজাহার নামীয় দুজন কে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভিকটিমকে উদ্বার করে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আসামীদের বৃহস্পতিবার বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত বাকীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]