মোঃ রুহেল আহম্মেদ ধামইরহাট (নওগাঁ) প্রতিনিধি দৈনিক শিরোমণিঃ নওগাঁর ধামইরহাটে পুরোদমে শুরু হয়েছে গম কাটা ও মাড়াই। ফলে দিনের পুরোটা সময় মাঠে ব্যাস্ত সময় পার করছেন কৃষক। গত বছরের মতো এবারও ভালো দাম পেয়ে কৃষকের মুখে ফুটেছে হাসি। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এবছর গমের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৬শ ১০ হেক্টর। কিছুটা কমে অর্জন হয়েছে ১৩শ ৯৫ হেক্টর। গড় ফলন হয়েছে ৩.৭৫ হেক্টর। যা ৩৩শতাংশ জমিতে ১২শ ৫০ মন। ফলে মোট উৎপাদন হয়েছে প্রায় ৫হাজার ১শ মেট্রিক টন। এগুলোর মধ্যে বারি গম ৩০, ৩১, ৩২ এবং ৩৩ জাতের গম উল্লেখযোগ্য। সোমবার (১৮ এপ্রিল) সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার আলমপুর ইউনিয়ন, ইসবপুর, খেলনা, আগ্রাদ্বিগুন, উমার ইউনিয়ন, ধামইরহাটসহ জাহানপুর ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকার মাঠ জুড়ে মৃদু হাওয়ায় দোল খেতে দেখা যায় শীষ ভরা সোনালী রঙ্গের পাকা গম।অন্যদিকে বাজারে ভালো দাম পাওয়ার আশায় ক্ষেত থেকে গম কাটা ও মাড়াই কাজে ভীষণ ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক।উঁচু ও মাঝারি দো-আঁশ মাটি গম চাষের জন্য বেশি উপযোগী। লোনা মাটিতে গমের ফলন কম হয়। গমের উচ্চফলনশীল জাতগুলো বপনের উপযুক্ত সময় হলো কার্তিক মাসের শেষ থেকে অগ্রহায়ণের তৃতীয় সপ্তাহ অর্থাৎ নভেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে ডিসেম্বরের ১ম সপ্তাহ পর্যন্ত। গমের খড় গৃহপালিত পশুর খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং ঘড়ের ছাউনির জন্য নির্মাণ সামগ্রী হিসেব ব্যবহার করা হয়।গম চাষি মামুন আহম্মেদ বলেন, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় জাহানপুর ইউনিয়নের নানাইচ ব্লকে উচ্চ ফলনশীল বারি গম ৩৩ লাগিয়েছিলাম। এতে ৩৩ শতাংশ জমিতে ১৫ মণ গম পেয়েছি। গম চাষে ৩হাজার টাকা খরচ বাবদ তাঁর প্রায় ১০হাজার টাকা লাভ হয়েছে বলে তিঁনি জানান। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. তৌফিক আল জুবায়ের বলেন, গম উৎপাদনে পানির খরচ অনেক বেশি হয়। পানির অপচয় রোধ ও খরচ কমাতে আমরা গম চাষাবাদ সীমিত করে কৃষকদের সরিষা ও ভুট্টার দিকে ডাইভার্ট করেছি। ফলে এবার গমের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন কম হয়েছে। গম সংগ্রহে ১১শ ২০টাকা সরকারের বেঁধে দেওয়া মূল্যের চাইতে ও খোলাবাজারে প্রতিমণ গম ১৪শ টাকায় কেনা বেচা হওয়ায় কৃষক অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হয়েছেন বলে তিনি জানান।
১১ views