সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়- নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার চকভবানী গ্রামের আবুল কালাম আজাদ এর ছেলে আবুল হায়াত একজন সৌদি প্রবাসী। আবুল হায়াতকে ব্যবহার করে তার বাবা আবুল কালাম আজাদ ও ভাই আবুল হাসনাত বিদেশে উচ্চ বেতনে চাকুরী দেওয়ার প্রলোভন দিয়ে এলাকার অনেকের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিতেন। তাদের পাশের গ্রামের অহিদুল ইসলাম (৩৫) নামে যুবককে চাকুরীতে উচ্চ বেতনের লোভ দেখিয়ে বিদেশে পাঠানোর নামে চার লাখ ৮০ হাজার টাকা নেয়। পরে অহিদুল ইসলামকে তারা ট্যুরিস্ট ভিসায় সৌদিতে পাঠায়। সৌদি আরবে যাওয়ার পর ভুক্তভোগী অহিদুল ইসলামকে একটি অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। যেখানে একটি স্টোর রুমে প্রায় দুই শতাধিক মানুষ দেখেন অহিদুল। পরে তিনি জানতে পারেন ভুয়া একটি কোম্পানির মাধ্যমে পাচার হয়ে বিদেশে এসেছেন এবং তারা তাকে ট্যুরিস্ট ভিসায় নিয়ে এসেছে। ট্যুরিস্ট ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তিনি সৌদি পুলিশের ভয়ে দীর্ঘদিন পালিয়ে ছিলেন। অবশেষে সৌদি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে ২০ দিন কারাভোগ শেষে সৌদি সরকার তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠায়। এতে ভুক্তভোগী অহিদুল অর্থনৈতিক, শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হন। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী অহিদুল অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে র্যাব ক্যাম্প জয়পুরহাটে একটি অভিযোগ করেন। অভিযোগের পর ছায়া তদন্ত শুরু করে র্যাব।
পরে র্যাব-৫ জয়পুরহাট ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক মেজর মো. মোস্তফা জামান এবং আর্টিলারি ও সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. মাসুদ রানা’র নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে ভোরে উপজেলার ফতেপুর বাজারে পানহাটি এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে। এসময় তাদের কাছ থেকে একটি ট্যুরিষ্ট ভিসা, একটি পাসপোর্ট ও সৌদি কারাগারের মুক্তিপত্র উদ্ধার করা হয়।ধামইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মোজাম্মেল হক বলেন, ঘটনায় ভুক্তভোগী অহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে মানবপাচার আইনে দুই জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন। তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।