রেজিঃ নং ডিএ ৬০০৯ | বর্ষ ১৪ | ৪ পৃষ্ঠা ৩ টাকা || মঙ্গলবার | ২৬ নভেম্বর ২০২৪ | ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
ধামরাইয়ে সাবেক সাংসদকে বর্তমান সাংসদের ৩ দিনের আলটিমেটাম
রেদোয়ান হাসান সাভার ঢাকা প্রতিনিধি দৈনিক শিরোমণিঃ ঢাকা-২০ ধামরাইয়ে সাংসদ বেনজির আহমেদ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সাকুকে জড়িয়ে অবৈধ মানববন্ধনের আয়োজকদের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ক্ষমা চেয়ে বিবৃতি দিতে বলা হয়েছে। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার হুশিয়ারিও দেয়া হয়।বুধবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার থানা স্ট্যান্ডে সাংবাদিক সমিতিতে এক সংবাদ সম্মেলনে গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে মানববন্ধন আয়োজনকারীদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে ধামরাইয়ের সাবেক সংসদ সদস্য এমএ মালেককে দায়ী করে এসব হুশিয়ারি দেন ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ঢাকা-২০ ধামরাইয়ের সাংসদ বেনজির আহমেদ।তিনি বলেন, ঢাকার অতি নিকটে ধামরাই এলাকাটি ব্যবসা বান্ধব। এখানে অনেকে ব্যবসা করতে আসেন। ব্যবসায়ীদের কাছে কেউ চাঁদা চেয়ে হয়রানি করলে চাঁদাবাজদের দমন করতে হবে।কইসাথে ব্যবসা করতে এসে যদি কেউ অপরাধ করে সেটাকেও কঠোর ভাবে দেখতে হবে।ধামরাইয়ে আকসির নগরে চাঁদাবাজির বিষয়ে তিনি বলেন, ওই কোম্পানির জায়গাকে ঘিরে একটি রাজনৈতিক চক্র সক্রিয় হয়েছে। তারা আমার নাম ভাঙ্গিয়েও চাঁদাবাজি করেছিলো। এজন্য ফরমও ছাড়া হয়েছিলো। পরে পুলিশ চিহ্নিত চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়।আকসির নগরের সঙ্গে সাংসদের সম্পর্কের বিষয়ে এই নেতা বলেন, আকসির নগরের সাথে আমার কোন ব্যক্তিগত সম্পর্ক নেই আর কেউ ব্যবসা করতে আসলে তাকে নিয়ে মাথাব্যথার কিছু নেই।আকসির নগরের সঙ্গে বিএনপি জামায়াতের সংশ্লিষ্টতার কোন প্রমান পাওয়া গেছে কি না সে বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ধামরাইয়ের সংসদ বেনজির আহমেদ বলেন, তেমন কিছু পাওয়া গেলে তো প্রশাসন ব্যবস্থা নিতো। স্থানীয়ভাবেও আকসির নগরের কেউ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত আছে কিনা সেটাও তদন্ত করেছি।তিনি বলেন, একটি চক্র সক্রিয় হয়ে কাজগুলো করছে। আমি বলবো তারা যে অপরাধ করেছে সেজন্য তারা ক্ষমা চেয়ে বিবৃতি দিক। যদি না তা করে আমি ৭২ ঘণ্টা পর আইনি ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবো।বিক্ষোভ মিছিল এবং সংবাদ সম্মেলনে পৌরসভার মেয়র গোলাম কবির মোল্লা গতকালের জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংসদ বেনজির আহমেদের বিরুদ্ধে মানববন্ধনের কিছু ভিডিও ফুটেজ সাংবাদিকদের দেখান। সেখানে মানববন্ধনে উপস্থিত কিছু ব্যক্তি তাদের সাক্ষাৎকারে ধামরাই সাবেক সাংসদ এম এ মালেকের কর্মী হিসাবে পরিচয় দেওয়ার মানববন্ধনটি ষড়যন্ত্রমূলকভাবে সুনাম নষ্ট করার জন্য আয়োজন করা হয়েছে বলে দাবি করেন। এসময় সংবাদ সম্মেলনে ধামরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সাকু, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম সিরাজসহ ১৬ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে এমপি বেনজির আহমেদ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সাকুর পদত্যাগ ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করে কুল্লা ইউনিয়নের প্রায় শতাধিক মানুষ।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]
Copyright © 2024 দৈনিক শিরোমনি | shiromoni.com. All rights reserved.