স্থানীয় প্রশাসনের যোগসাজশে অশ্লীল নৃত্য ও জুয়ার আসর চলছে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। জানা যায় বাহাদুরপুর ইউনিয়ন এর চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ ও গুজিশহর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল আমিন সহ মেলা কমিটির পরিচালনায় গত ১৮ জানুয়ারি শুরু হয়ে ১৯ ফেব্রুয়ারি চলবে এই মেলা।
সরজমিনে দেখা যায়, উপজেলার গুজিশহর উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে বসেছে এই মেলা।এতে অশ্লীল নৃত্য ও জুয়ার জমজমাট আসর । মেলায় রাত ১১টা থেকে উঠতি বয়সী স্কুল, কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থী আর গ্রাম্যযুবকদের উপচেপড়া ভিড়।প্রতিটি স্পান্ডেলে যেমন চলেছে অশ্লীল নৃত্য অন্য দিকে বসেছে জুয়ার আসর।
স্থানীয় এলাকাবাসিরা বলেন, সন্ধ্যা হলে ছেলেরা পড়ালেখা বাদ দিয়ে মেলায় চলে যায়। চোখের সামনে এমন অশ্লীলতার মেলা চললে নিজেদের আত্মসম্মান বোধ আর থাকে না।নৃত্যের সময় নর্তকীদের সাথে আবার অনেকেই অশ্লীলতায় অংশ নিয়ে আরো অনেক বেশি টাকা ব্যয় করছে। এর পাশাপাশি আবার চলছে জুয়ার আসর যাতে হাজার হাজার টাকা নষ্ট করছে নানান পেশার মানুষ।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও মেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন ,মেলাটি জেলা প্রশাসকের অনুমতি নিয়ে চলছে। তিনি যে ভাবে বলেছেন সে ভাবেই চালানো হচ্ছে। তবে নাট্য অনুষ্ঠানটি রাত্রি ১১ টা থেকে ভোর ৫ টা পর্যন্ত চলে।
বাহাদুরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ মামুন অভিযোগটি অস্বীকার করে বলেন, অভিযোগটি মিথ্যা এবং বানোয়াট । মেলা যেভাবে চলার কথা সে ভাবেই চলছে ,এখানে কোন অশ্লীল নৃত্য বা জুয়ার আসর বসেনি। কিছু মানুষ আছে যারা মেলাটি বন্ধ করার জন্য এরকম কথা ছড়াচ্ছে।
এ বিষয়ে নিয়ামতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ন কবির বলেন,মেলায় অশ্লীল নৃত্য ও জুয়ার আসর বসেছে এরকম কোন অভিযোগ পায়নি। মেলায় আমাদের টিম সর্বক্ষণ ডিউটি করছে।এরকম কিছু করার সুযোগ নেয়।যদি আমরা কোন অভিযোগ পাই তাহলে দ্রুত তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবো।তবে গতকাল মেলার যাত্রা পালা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।