রহমতউল্লাহ নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি দৈনিক শিরোমণিঃ নিয়ামতপুরে চাচার পরিবর্তে পরীক্ষা দেয়ার আপরাধে ভাতিজা আটক। ভুয়া পরীক্ষার্থী আটককৃত ভাতিজাকে সাজা দিয়েছে ভ্রম্যমাণ আদালত। ৫ ডিসেম্বর রবিবার বেলা সোয়া ১১ টায় নিয়ামতপুর সরকারী কলেজ কেন্দ্রে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মনজুরুল আলমের নেতৃত্বে গঠিত ভ্রাম্যমাণ আদালত এ দণ্ডাদেশ দেন।সাজা প্রাপ্ত ভূয়া পরীক্ষার্থী ভাতিজা হলেন, শ্যামাপদ (১৯)। তাকে ভ্রাম্যামান আদালত এক বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং ১শত টাকা জরিমানা করেন।সাজাপ্রাপ্ত ভাতিজা শ্যামাপদ নিয়ামতপুর উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের গাহইল গ্রামের ভবেশ বর্মনের ছেলে এবং নিয়ামতপুর সরকারী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্স ২য় বর্ষের ছাত্র।পরীক্ষা কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, রবিবার সকালে টিকরামপুর টেকনিক্যাল এন্ড ম্যানেজন্টে কলজের এইচএসসি ভোকেশনাল শাখার ২য় বর্ষের পরিক্ষা চলছিলো। কেন্দ্রে মোট ২৫৪ জন পরীক্ষার্থী অশংগ্রহণ করে। এ পরীক্ষায় কার্তিক বর্মনের অশংগ্রহণের কথা ছিলো। কিন্তু তার পরিবর্তে ভূয়া পরিক্ষার্থী ( ভাতিজা) পরিক্ষা দিচ্ছিল। কার্তিক বর্মন উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের গাহইল গ্রামের মনজম বর্মনের ছেলে।সে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কর্মরত। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মনজুরুল আলমের নেতেৃত্ব একাডেমীক সুপারভাইজার জাকির হোসেন, কেন্দ্রে সচিব গোলাম শফি কামালসহ কক্ষ পরিদর্শনে গিয়ে তাকে সনাক্ত পূর্বক আটক করা হয়। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে শ্যামাপদ নিজের অপরাধ স্বীকার করে বলেন, আমি আমার কাকা উপজেলার গাহইল গামের সনজম বর্মনের ছেলে কার্তিক বর্মনের বদলে পরীক্ষা দিতে এসেছিলাম। কার্তিক বর্মন সেনাবাহিনীতে কর্মরত। নিয়ামতপুর সহকারী কমিশনার (ভূমি) মনজুরুল আলম জানান, আজকে সকালে যে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে ব্যবস্থাপনা সে পরীক্ষাতে একজন পরীক্ষার্থী অন্য আরেকজন পরীক্ষার্থীর হয়ে পরীক্ষা দিতে আসছিলো। বেলা ১১.২০ মিনিটে আমরা তাকে সনাক্ত করতে পারি। এরপর আটক পূর্বক ভূয়া পরীক্ষার্থী হিসাবে মোবাইল কোর্ট আইন অনুযায়ী পাবলিক পরীক্ষা আইন সমূহের ১৯৮০ সালে ৩ (খ) ধারা অনুযায়ী তাকে ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও ১শত টাকা জরিমানা করা হয়।
১১ views