মৌজা-কৈবর্তগ্রাম, জেএল নং-৬৯, আরএস খতিয়ান নং -৩০৮, হাল দাগ নং ৩১০, মোট ২৪ শতক সম্পত্তিতে বসত বাড়ি নির্মান করে দীর্ঘ ৪০/৫০ বছর ধরে সেখানে বসবাস করে আসছিল। এমতাবস্থায় প্রতিপক্ষের আব্দুস সুবহান (৫৫), আতাউর রহমান (৬৫) খোরশেদ ওরফে মুকশেদ (৪০),আব্দুর রাজ্জাক (৪৫) সাবেরা বিবি (৬০) গত ১৫ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টার দিকে অজ্ঞাতনামা কিছু লোকজন নিয়ে সম্পূর্ণ অবৈধ ভাবে তার সম্পত্তিতে অনধিকার প্রবেশ করে জবরদখলের চেষ্টা করে। এসময় তারা সম্পত্তির উপর থাকা বাড়িঘর জোরপূর্বক বাঁশের বেডা দিয়ে ঘিরে ফেলে। বিবাদীগণ এতেও ক্ষ্যান্ত না হয়ে তারা মেরু সরেনের বাড়ীর বাহির দরজা বন্ধ করে দেয়। বাড়ির মালিক বাড়ীতে ঢোকার কোন উপায় না পেয়ে নিরুপায় হয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও চেয়ারম্যান মেম্বারদের নিকট ধর্না দিতে থাকে। এদিকে ঘটনার বেশ কয়েক দিন অতিবাহিত হলেও কোন প্রকার সুবিচার না পাওয়ার কারনে তারা মানবেতর জীবন যাপন করতে থাকে। ভুক্তভোগীরা জানান বিবাদীগণ যেকোন সময় তাদের শয়ন ঘর ভেঙ্গে ফেলতে পারে। তাদের কে তারা বাড়িঘর থেকে উচ্ছেদ করার হুমকী দিচ্ছে। অবরুদ্ধ পরিবারটি নিরুপায় হয়ে সুবিচারের আশায় গত ৩১ ডিসেম্বর স্থানীয় থানায় জড়িতদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। উল্লেখ্য যে বিবাদমান ওই সম্পত্তি নিয়ে নওগাঁ জেলা জজ কোর্টে ৩২৬/২০২২ , ৩২৮/২০২২ আপিল মামলা চলামান রয়েছে। এবিষয়ে প্রতিপক্ষের খোরশেদ আলমের সাথে কথা হলে তিনি জানান যে ওই সম্পত্তি নিয়ে চলমান মামলায় বিজ্ঞ আদালত সম্প্রতি তাদের পক্ষে রায় দিয়েছে। এজন্যই তারা ওই সম্পত্তি দখলে নিয়ে এভাবে ঘিরে দিয়েছে। এ ঘটনায় তদন্তের দায়িত্বে নিয়োজিত পুলিশ কর্মকর্তা এস আই মুকুল হোসেন জানান অভিযোগ পাওয়ার পর দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্তপুর্বক ভুক্তভোগীদের বাড়ি থেকে সহজে বের হওয়ার পথ তৈরী করে দেয়া হয়েছে। যেহেতু সম্পত্তির মালিকানা নিয়ে আদিবাসী দুপক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে সেখানে তৃতীয় কোন পক্ষ জড়িত হয়ে সুবিধা নিতে চাইলে তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষনিক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি স্থানীয়দের সতর্ক করেছেন বলে জানান।