রাশেদুজ্জামান,নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি :নওগাঁয় চাঁপাইনবাবগঞ্জকে ছাড়িয়ে ধানের রাজ্যে আমের রাজত্ব শুরু। ইতিমধ্যে প্রতিটি আমের গাছে গাছে ছেয়ে গেছে মুকুলে। মুকুলের মৌ-মৌ ঘ্রাণে আকাশে বাতাসে যেন এখন মুখরিত। নওগাঁ জেলা আমের ফলনে দেশসেরা হিসেবে রেকর্ড গড়েছে। এজেলার আম এখন দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। সাপাহার,পোরশা, পত্নীতলায়,মহাদেবপুর, বদলগাছী, নওগাঁ সদরসহ অন্যান্য উপজেলাগুলো তো আমের ব্যাপক চাষ হচ্ছে।
আমের গাছে-গাছে ফুলে ফুলে ভরে গেছে চারিদিক। মধু সংগ্রহে ব্যস্ত এখন মৌমাছিরা। ফাগুনের আগুন রঙে সেজেছে প্রকৃতি। বাতাসে মুকুলের মৌ-মৌ সুবাস বইছে। গাছে গাছে এখন আমের মুকুল শোভা পাচ্ছে। ইতোমধ্যেই গত মাস খানেক হতে কাঙ্খিত ফলের আশায় বাগান মালিকরা পরিচর্যা শুরু করেছেন। শুরু হয়েছে আমের মুকুলে মৌমাছির গুঞ্জন। মুকুলের মিষ্টি ঘ্রাণ যেন জাদুর মতো কাছে টানছে তাদের। গাছের প্রতিটি শাখা-প্রশাখায় তাই চলছে ভ্রমরের সুর ব্যঞ্জনা। ফাগুনের স্নিগ্ধতার মাঝেও শোভা ছড়াচ্ছে স্বর্ণালি মুকুল। আম চাষীরা সেই কাকডাকা ভোর থেকে লোক লাগিয়ে বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। যে গাছ গুলোতে কেবল মুকুল ফুটবে সেগুলোতে স্প্রে করছে। কেউ আবার আম গাছের গোড়া আগাছা পরিস্কার করছে। কেউবা নালা কাটছে । আম বাগানগুলোতে যেন সাজ সাজ রব। সাপাহারের আমচাষী আব্দুল মতিন,সুবাশ বলেন, এবার আমের মুকুল ভালো হয়েছে। আমরা নিয়মিত সার, বিষ ও শ্রমিক দিয়ে পরিচর্যার কাজ করছি। তাছাড়া এবার শ্রমিকের দামও বেশি। তবে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে গত বছরের মতো এবারেও ভালো ফলন হবে।
মহাদেবপুরের আম চাষী খায়রুল,জাহিদ, পত্নীতলার আমচাষী আনোয়ার,রবিউল জানায়, ‘আমের মুকুলে তারা অনেক খুশি। এই মুকুল টা টিকে থাকলে এবার আমের বাম্পার ফলন পাওয়া যাবে।কৃষি অধিদপ্তর জানায়,আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছরও আমের বাম্পান ফলন হবে।
০ views