রহমতউল্লাহ নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি দৈনিক শিরোমণিঃ দেশের উত্তর জনপদের অন্যতম জেলা নওগাঁ খাদ্যভান্ডর বলে খ্যাত এবার নওগাঁয় চলতি মৌসুমে বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে আমন ধানের সোনালি শীষ বাতাসে দোল খাচ্ছে। দৃষ্টিসীমা ছাপিয়ে চারদিকে দুলছে আমনের শীষ। আর এ দোলায় লুকিয়ে আছে হাজারও কৃষকের রঙিন স্বপ্ন। সোনালি ফসলের মাঠ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে আরও বিকশিত করে তুলেছে।জেলার হাজারও পরিবারের চোখে মুখে এখন স্বপ্ন পূরণের প্রত্যাশায়। প্রাকৃতিক দুর্যোগ কিংবা কোনো বিপর্যয় না ঘটলে কৃষকদের বাড়ির আঙ্গিনা ভরে উঠবে সোনালি ধানে। ধান কাটা-মাড়াই শুরু হয়েছে জেলা জুড়ে। নতুন ধান উঠবে কৃষকের গোলায়। একন ধান ঘরে তোলার স্বপ্নে চাষিরা বিভোর। গৃহস্থ আর কিষাণ-কিষাণিরা গোলা, খলা, আঙ্গিনা পরিষ্কার করায় বেস্ত। খেতের মধ্যে পোতা বাঁশের কঞ্চি ও গাছের ডালের উপর ফিঙ্গে, শালিক, দোয়েলসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি বসে আছে। সুযোগ বুঝে ধান খেতের ক্ষতিকারক পোকা ওইসব পাখিরা খেয়ে ফেলছে। আবার অনেকে অধিক ধান পাওয়ার আশায় নিজ নিজ জমিতে রাসায়নিক ও জৈব সার প্রয়োগ করছে। উপজেলার গ্রামের কৃষকরা বলেন, গতবারের চেয়ে এবার ধান ভালো হয়েছে।আর কয়েকদিন পর কাটা শুরু করা যাবে। প্রকৃতি অনুকূলে থাকলে স্বপ্নের সোনালি ধান যথা সময়ে ঘরে তুলতে পারব। আরেক কৃষক বলেন, সেচ খরচ এবং শ্রমের অধিক মূল্য ও কৃষি শ্রমিকের কিছু সমস্যা থাকলেও অনুকূল আবহাওয়ায় সঠিক সময়ে পর্যাপ্ত সার, কীটনাশক ও বিদ্যুৎ সরবরাহ পাওয়ায় এ বছর আমন ধান খুবই ভালো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ধান খেতের পাশে দাঁড়ালে বুক জুড়িয়ে যায়। এ বছর তিন একর জমিতে আমন আবাদ করেছি। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক শামসুল ওয়াদুদ বলেন, ক্ষতিকর পোকা ও রোগের আক্রমণ থেকে ফসল রক্ষায় আলোচনা সভা, লিফলেট বিতরণসহ নানা সচেতনতামূলক কর্মকা চালিয়ে যাচ্ছে কৃষি বিভাগ। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা খেতের আইলে আলোক ফাঁদ পেতে ক্ষতিকর পোকার উপস্থিতি নিশ্চিত করে কৃষকদের বালাইনাশক প্রয়োগের পরামর্শ দিচ্ছেন। বাম্পার ফলন ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্য নিয়ে আমরা মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন ধরনের কাজ করে আসছি। কৃষকরা যাতে লাভবান হতে পারে এবং কোনো প্রকার সমস্যায় না পড়েন এজন্য আমরা সার্বক্ষণিক নজর রাখছি। আশা করি বিগত মৌসুমের মতো এবারও আমন ধানের বাম্পার ফলন হবে।
৬ views