মাদকসেবীরা হলেন বদলগাছীর মৃত আব্বাস আলীর ছেলে সোহাগ (২৭) ও জগন্নাথপুর গ্রামের হাফিজুল ইসলামের ছেলে আলামিন খাঁন(২৫)।
স্থানীয়সূত্রে জানা যায়, নওগাঁর বদলগাছীতে গত শনিবার ১১ই ফেব্রুয়ারি বিকেল আনুঃ ৫টায় অঙ্গাতনামা ডিবি পরিচয়দানকারী ৩জন ব্যক্তি বদলগাছীর দেউলিয়া ব্রীজের নিকট থেকে নিষিদ্ধ এ্যাম্পল সহ সোহাগ (২৭) ও আলামিন (২৫) কে আটক করে কোলা ইউপির ভান্ডারপুর বাজারের আলামিনের বোনের কাছে নিয়ে আসে। ভান্ডারপুর বাজারে গিয়ে বাজারে অবস্থিত ওয়ালটন শোরুমের মালিক উজ্জলকে আলামিনের বোনের বাসা কোথায় জানতে চাইলে উজ্জল তা দেখিয়ে দেয়। বাসা দেখানোর পর আটককৃতদের নিয়ে বাসার মধ্যে প্রবেশ করে এবং বলে এ কি আপনার ভাই আমরা তাকে এইযে এ্যাম্পল মাদক সহকারে ধরেছি। সে সময় আলামিন বলে আপু ৫হাজার টাকা দাও এরা আমায় ছেড়ে দিবে। আলামিনের বোন টাকা দিবে না বলে জানিয়ে দেয়। অতঃপর আটককৃতদের নিয়ে উজ্জলের ওয়ালটন শোরুমে বসে ডিবির লোকজন।
আটককৃত সোহাগ তখন বলে আমার মোটরসাইকেল বন্ধক রেখে টাকাটা ম্যানেজ করার কথা বললে উজ্জল পাশের দোকানী বাবুর কাছে যান মটরসাইকেলটি রেখে টাকা আনার জন্য এবং বাবুর কাছে টাকা না থাকায় ফেরত আসে। ঠিক তখনই এলাকার ডিস ব্যবসায়ী রিপন, হাবিব ওয়ালটনের সামনে এসে আটককৃতদের মটরসাইকেলটি নিয়ে ডীস অফিসে আসে এবং সেখানে মটরসাইকেল বন্ধক নিয়ে ৩০হাজার টাকা দেয়। টাকা নেবার পর ডিবিরা আটককৃতদের ছেড়ে দিয়ে চলে যায়। চলে যাবার পর বাজারের লোকজন জানতে পারে ওরা ডিবি ছিলো না।
আল আমিনের বড় বোন সুমি বলেন, ডিবি পরিচয় দিয়ে দুই জনকে আটক করে আমার বাসায় প্রবেশ করে। বলে এইযে আম্পল সহ আপনার ভাইকে হাতে নাতে ধরেছি। সে সময় এ্যাম্পল দেখাতে গিয়ে হাত থেকে কিছু এ্যাম্পল পরে ভেঙ্গে যায় আমি তা পরিস্কার করে বাথরুমে ফেলে দিই। পরে আমি বলি আমার ভাই আল আমিন মাদাকাসক্ত। আমি নিজেও চাই সে ভালো হোক। তাই আমি মাদকসহ আমার ভাইকে আটকের পর বলেছি যে আপনারা তাকে জেলে দেন। আমি কোন টাকা দিবো না। আমি তাদের কাছে ওকিটকি, হ্যান্ডকাপ দেখেছি।
স্থানীয়রা বলেন, সেইদিন শোরুমের সামনে একটি সিএনজি ছিলো আর একটি মটরসাইকেল ছিলো। দুই জন ছেলের হাতে হান্ডক্যাপ পরিয়ে রেখেছিলো। পরে ঐ দুই ছেলেকে নিয়ে উজ্জলের শোরুমে ঢুকে পরে। পরে কি হয়েছে জানি না।
এ ব্যপারে ওয়ালটন শোরুমের মালিক উজ্জল বলেন, আমাকে আল আমিনের বোনের বাসার কথা জানতে চাইলে তা আমি দেখিয়ে দিই, পরে ডিবি পরিচয়ধারী লোকজন আমার দোকানে বসতে চাইলে আমি বসতে দিই। আমাকে সোহাগ গাড়ী রেখে টাকা ম্যানেজ করার করতে বলে আমি পার্শের দোকানি বাবুর কাছে যাই বাবু নিবে না তাই ফিরে আসি। পরে ডিস ব্যবসায়ী রিপন গাড়ী নিয়ে রফাদফা করে।
এ ব্যপারে ডিস ব্যবসায়ী রিপন বলেন, আমি শুধু গাড়ী নিয়ে টাকা দিয়েছি। কতো টাকা জানতে চাইলে বলেন,৩০হাজার। টাকা দিয়েছি সোহাগের গাড়ী রেখে উজ্জ্বলের দোকানে।
এ ব্যপারে ভান্ডারপুর বাজার সমিতির সাবেক সভাপতি সাগর বলেন, ঘটনার সাথে যারা জরিত তাদেরকে আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ ব্যপারে কোলা ইউপির চেয়ারম্যান শাহীনুর হোসেন বলেন, এ ঘটনার সাথে জরিতদের আইনের আওতায় এনে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
এ ব্যপারে বদলগাছী থানা অফিসার ইনচার্জ আতিয়ার রহমান বলেন, এ ব্যপারে আমাদের কাছে কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আমরা ব্যবস্থা নিবো।
এ ব্যপারে নওগাঁ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক লোকমান হোসেন বলেন, ঐ দিন আমাদের কোন লোকজন বদলগাছীতে যায় নি।
এ ব্যপারে নওগাঁর ডিবির ওসি হাসমত আলী বলেন, ঘটনার দিন আমাদের কোন টিম বদলগাছীর ভান্ডারপুরে যায় নি। কারো এ ব্যপারে অভিযোগ থাকে তাহলে আমাদের অফিসে এসে অভিযোগ দিলে আমরা ব্যবস্থা নিবো।