১৪ বিজিবি সূত্রে জানা, নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার আগ্রাদিগুন সীমান্তে ২৫৭/২০ আর পিলারে কাছে জমি নিয়ে বিজিবির সঙে বিএসএফ এর দীর্ঘদিনের বিরোধ ছিল। আর জমিটি বাংলাদেশের ১০০ গজ অভ্যন্তরে হওয়ায় সেখানে বাংলাদেশের কৃষকরা চাষাবাদ করে আসছিলো। বিরোধ নিষ্পত্তি করতে বিএসএফ এর সঙে বিএসএফ এর পতাকা বৈঠকের আহ্বান করা হয়। পতাকা বৈঠকের আহ্বানে সাড়া দেয় বিএসএফ।
বুধবার বেলা ১১ টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত পত্নীতলা ব্যাটালিয়ন (১৪ বিজিবি) এবং প্রতিপক্ষ ১৬৪ ব্যাটালিয়ন বিএসএফ আরাদপুর এর মধ্যে সীমান্ত পিলার ২৫৮/৬-এস এর নিকটবর্তী বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আগ্রাদ্বিগুন ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর ফুটবল মাঠে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় বিজিবি এর পক্ষে ছয় সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন পত্নীতলা ব্যাটালিয়ন (১৪ বিজিবি) অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোঃ হামিদ উদ্দিন, পিএসসি। অপরদিকে ১২ সদস্য বিশিষ্ট বিএসএফ এর প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন ভারতের আরাদপুর ১৬৪ ব্যাটালিয়ন বিএসএফ কমান্ড্যান্ট শ্রী শঞ্জয় কুমার মিশ্রা।
এরপর উভয় দেশের সার্ভেয়ার দ্বারা জমি পরিমাপ করা হয়। মাপজোখ শেষে ৭৫ শতাংশ জমিসহ অতিরিক্ত কিছু জমি পায় বাংলাদেশ। তবে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের অনুমোদন না পাওয়া পর্যন্ত কোনো পক্ষই বর্ণিত জমিটি ভোগদখল করতে পারবে না এরূপ সিদ্ধান্ত নিয়ে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে পতাকা বৈঠকটি শেষ হয়। এসময় ভারতের ভূমি অফিসের কর্মকর্তা ও বাংলাদেশের ভূমি অফিসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পত্নীতলা ব্যাটালিয়ন (১৪ বিজিবি) অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোঃ হামিদ উদ্দিন বলেন, প্রায় ৫০ বছর থেকে ওই জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। অবশেষে দুই দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে মাপজোখ শেষে ৭৫ শতাংশ জমিসহ অতিরিক্ত কিছু জমি পায় বাংলাদেশ।