খায়রুল ইসলাম নরসিংদী প্রতিনিধিঃ আঃ বারেক নামে এক ব্যক্তি মোসা: সাহেরা খাতুন নামে এক মহিলা জীবিত সিদ্দিক মিয়া এবং তার স্ত্রীকে মৃত: দেখিয়ে তাদের নাবালক পুত্র মো: সাব্বির মিয়া-কন্যা মোসা: শিরিন আক্তার ও শিল্পী আক্তারকে দাতা সাজিয়ে জাল দলিল সৃজন করে জমি দখল করে নিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে নরসিংদী সদর উপজেলার নজরপুর ইউনিয়নস্থ নবীপুর গ্রামে। মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, ঐ গ্রামের মৃত: মো: গিয়াস উদ্দিন সরকারের পুত্র মো: সিদ্দিক মিয়া ১৯৯৭ইং সালের ২৭ মে তারিখে দিলারপুর মৌজায় ৭০৩নং খতিয়ানে আর.এস. ১৫৫২৫ দাগে মোট ৩৩ ডিং জমি থেকে ১৭ ডিং জমি সাফকবলা দলিলমুলে খরিদ করে।
যার দলিল নং-৪৩৬৭। পরবর্তীতে সিদ্দিক মিয়ার নামে নামজারী ও জমা-ভাগ করে ভোগদখল করতে থাকে। সিদ্দিক মিয়া বিদেশ চলে যাবার পর এই সম্পত্তির উপর লোলপ দৃষ্টি পরে একই গ্রামের মৃত: সবদর আলীর পুত্র আব্দুল বারেক বেপারীর। সে অতি কৌশলে সিদ্দিক মিয়া ও তার স্ত্রীকে মৃত: দেখিয়ে তাদের পুত্র ও কন্যাকে নাবালক দেখিয়ে আদালত থেকে একটি আমমোক্তারনামা অর্থাৎ পাওয়ার অব এটোলী আব্দুল বারেক এর স্ত্রী সাহেরা খাতুন নামে নিয়ে নেয়। অত:পর এই আমমোক্তারনামা দলিলের বলে সাহেরা খাতুন তার স্বামী আ: বারেক মিয়ার নামে সাফকবলা দলিল করে দেয়। অথচ সিদ্দিক মিয়ার পুত্র-কন্যারা এই দলিলে কোনদিন স্বাক্ষরই করেনি। এই জাল-দলিল সৃজন করে আ: বারেক তার নামে পুরো ১৭ শতাংশ জমি নামজারী জমাভাগ করে নেয়। সিদ্দিক মিয়া দীর্ঘ ১০ বছর পর বিদেশ থেকে বাড়িতে এসে খোঁজ নিয়ে জানতে পারে যে, তার ক্রয়কৃত সম্পত্তি আঃ বারেক জাল দলিল সৃজন করে দখল করে নিয়েছে। এ ব্যাপারে সিদ্দিক মিয়া বাদী হয়ে গত ১৭/৯/২০ইং তারিখে বিজ্ঞ যুগ্ন জেলা জজ ১ম আদালতে সাহেরা খাতুনসহ ৪ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছেন।