মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন,নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি,দৈনিক শিরোমণিঃ
নোয়াখালীর তিন জন মানবিক মানুষ সদর উপজেলার নেয়াজপুর ইউনিয়নের দ্বেবীপুর গ্রামের দিগন্ত দিপু,সাবেক সেনা প্রধান আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক এবং সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নুর আলম সিদ্দিকী রাজুর ব্যক্তিগত আর্থিক সহায়তায় নতুন ঘর পেলেন নেয়াজপুর ইউনিয়নের ধন্যপুর গ্রামের অসহায় বিধবা বৃদ্ধা, নারী ননী খাতুন (৫৫)।দীর্ঘ দিন ধরে অসহায় নারী ননী খাতুন একটি ঝুপড়ি ঘরে কোন রকমে বাস করে আসছিলেন।কোন ভাবে যেন মৃত্যুর আগে তার নতুন ঘরে থাকার স্বপ্ন পূরণ হচ্ছিলোনা।অবশেষে উল্লেখিত তিন দানবীরের সহযোগীতায় নতুন ঘর পেয়ে আনন্দে আত্নহারা ননী খাতুন।আনন্দে আত্নহারা ননী খাতুন জানান,তার স্বামী দীর্ঘ ৫ পাঁচ বছর আগে মারা যাওয়ার পর অসুস্থ প্রতিবন্ধী ছেলেকে নিয়ে মানবেতার জীবনযাপন করে আসছেন।নিজের সামান্য যায়গা থাকলেও টাকা-পয়সার অভাবে নতুন কোন ঘর নিমার্ণ করতে না পারায় কবির কবিতার আসমানীদের মতো গাছের লতা-পাতা দিয়ে পাখির বাসার মতো ঝুপড়ি ঘরে বসবাস করে।তিনি দীর্ঘ দিন ধরে বিভিন্ন মানুষের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরেও তার কপালে কোন সহযোগীতা জটেনি।এমন কি দুর্ভাগ্য জনক ভাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহার হতদরিদ্রদের জন্য ঘরের তালিকায়ও তার নাম উঠেনি।তিনি আরো জানান,অবশেষে উল্লেখিত তিন জন দানবীর আমার খরব নিয়ে আমার দীর্ঘ দিনের কাঙ্গিত নতুন ঘরের স্বপ্ন পূরণ করে দিয়েছেন।এখন আমি আমার প্রতিবন্ধী ছেলেকে নিয়ে নতুন জীবনের স্বপ্ন দেখছি।আমি এ মহৎ তিন জন মানুষের সুস্বাস্থ্য, দীর্ঘায়ুসহ সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি।দানবীর দিগন্ত দিপু জানান,দীর্ঘ দিন থেকে এই মহিলার অসহায়ত্ব কথা জানতে পারেননি তিনি,অবশেষে বিশ্বস্ত সূত্রে খবর পেয়ে সরেজমিনে গিয়ে ভাঙ্গা চুরা ঘর দেখে আমি অবাক হই।সাথে সাথে আমার মনের বিতরে নাড়া দেয়।প্রথমে আমি নিজ উদ্যেগে বৃদ্ধার ঘর নিমার্ণ শুরু করি।এরই মধ্য খবর পেয়ে কবিরহাট উপজেলার মানবিক নেতা রেজাউল হক শাহীন ভাইয়ের মাধ্যমে সাবেক সেনা প্রধান আবু বেলাল মোঃ শফিউল হক ও সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নুর আলম সিদ্দিকী রাজুর সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দেন।অবশেষে দ্রুত নতুন ঘর তৈরী করে অসোহায় নারীকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।দানবীররা ঘরটি বুঝিয়ে দিতে পেরে আনন্দিত।তারা আরো জানান,আমাদের পাশাপাশি সমাজের অন্যান্য বৃত্তবান ব্যাক্তিরা এগিয়ে আসলে অসহায় মানুষের জন্য কাজ করা সহজ হয়।
১৩১ views