৫ বছর পর নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।জানা গেছে, নতুন দলের নিবন্ধন দিতে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করবে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি। ইতিমধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল ইসির সংশ্লিষ্ট শাখাকে গণবিজ্ঞপ্তি জারির নির্দেশনা দিয়েছেন।এক্ষেত্রে চলতি মাসেই আবেদন আহ্বান করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হতে পারে বলে ইসি সূত্রে জানা গেছে।সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, দ্রুত নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। স্বল্প সময়ের মধ্যে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে।ইসির সংশ্লিষ্টরা বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত তিন দফা রাজনেতিক দলগুলোকে নিবন্ধনের জন্য গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে ইসি।
নবম সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করেছিল নির্বাচন কমিশন। প্রথম ২০০৮ সালের ১৫ অক্টোবর গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজনৈতিক দলগুলোকে জবাবদিহিতায় আনার লক্ষ্যে নিবন্ধন দেওয়া শুরু হয়।সে সময় ১১৭টি দল আবেদন করে এবং পরে খসড়া গঠনতন্ত্র জমা দিয়ে ৩৯টি দল নিবন্ধিত হয়। সংশোধিত গঠনতন্ত্র জমা না দেওয়ায় ফ্রিডম পার্টির নিবন্ধন বাতিল করে কমিশন।
এরপর ২০১২ সালে দশম জাতীয় সংসদ এবং সর্বশেষ ২০১৭ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নতুন রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে আবেদন আহ্বান করেছিল ইসি।রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বিধিমালা ২০০৮-এর ৩ ধারায় বলা আছে, ‘কমিশন নির্বাচনে অংশগ্রহণে ইচ্ছুক রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের জন্য সময় গণবিজ্ঞপ্তি দ্বারা দরখাস্ত আহ্বান করতে পারবে’।রাজনৈতিক দলকে শর্ত পূরণ সাপেক্ষে নিবন্ধিত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর উক্ত দলকে নিবন্ধন সার্টিফিকেট প্রদান করে কমিশন। নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের নাম সরকারি গেজেটে প্রকাশ করা হয়। নিবন্ধন না থাকলে কোনো দল নির্বাচনে অংশ নিতে পারে না।
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিষয়টি কমিশনের কাছে উপস্থাপনের জন্য নথি প্রস্তুত করা হচ্ছে। কমিশন অনুমোদন দিলে যে কোনো সময় জারি হতে পারে গণবিজ্ঞপ্তি।সর্বশেষ দল নিবন্ধনের জন্য ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল ইসি। সময় দেওয়া হয়েছিল ঐ বছর ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এতে নিবন্ধন পেতে আবেদন করেছিল ৭৬টি রাজনৈতিক দল।কে এম নুরুল হুদা কমিশন নানা কারণে সবার আবেদন বাতিল করেছিল। পরবর্তী সময়ে আদালতের আদেশে নিবন্ধন পায় জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন— এনডিএম ও বাংলাদেশ কংগ্রেস।২০১২ সালে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করলে ৪৩টি দল আবেদন করেছিল। কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ কমিশন সে সময় বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) ও সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট—এই দুইটি দলকে নিবন্ধন দেয়।