মিনহাজ উদ্দিন, শ্রীপুর উপজেলা শিশেষ প্রতিনিধি;(নদী গর্ভে যাচ্ছে রাস্তা, উদ্বিগ্ন এলাকাবাসী)সুতিয়া নদীর ভাঙনে গাজীপু জেলা, শ্রীপুর থানা, কাওরাইদ ইউনিয়ন বাপতা পূর্ব পাড়া গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র পুটকাল বিলের খাল সুতিয়া নদীর পাশের রাস্তার অর্ধেক অংশ বিলীন হয়েগেছে। কারণ, নদীটি অব্যাহতভাবে ভেঙেই চলেছে। অথচ ভাঙন রোধে কোনো উদ্যোগ নেই। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। এবার বর্ষা মৌসুম শুরু হতে না হতেই ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। এতে বাপতা পূর্বপাড়া ও নান্দিয়া সাঙ্গন নদীর রাস্তা গুলো বিভিন্ন স্থানের মাটি ধসে পড়েছে। পাঁচ-ছয় বছর আগে রাস্তাটির প্রস্থ ৬ ফুট ছিল। এ বছর ভাঙনে আরও কমে দুই-আড়াই ফুটে দাঁড়িয়েছে। ৬ ফুট প্রস্থ একটি রাস্তা নদীভাঙনে একটু একটু করে বিলীন হয়ে যাচ্ছে, অথচ এত বছরেও এ ব্যাপারে কারও টনক নড়েনি। গ্রামবাসীর আশঙ্কা, ভাঙন অব্যাহত থাকলে ওই রাস্তা তো বিলীনই হয়ে যাবে, ওই গ্রামের মানুষের বসতভিটা, স্কুল, মসজিদসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলো দিন দিন বিলীন হওয়ার আশঙ্কা বাড়ছে।
ভাঙন রোধে এখনই যদি কোনো উদ্যোগ না নেওয়া হয়, তাহলে গ্রামবাসীর আশঙ্কা সত্য হতে সময় লাগবে না। এ জন্য উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডকে তৎপর হতে হবে। নদীভাঙন রোধে দ্রুত প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে। আমাদের দেশে নদীর তীরবর্তী মাটির তলদেশ ক্ষয়ে যাওয়া, বন্যার তীব্রতা বৃদ্ধি, অপরিকল্পিত ড্রেজিং, নদীর গতিপথ পরিবর্তন, নদীতে অপরিকল্পিত বাঁধ ও গ্রোয়েন নির্মাণসহ নানা কারণে নদীভাঙন হয়। সরকারি উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন স্থানে নদীভাঙন রোধে নেওয়া হয় নানা প্রকল্প। ব্লক ফেলাসহ নেওয়া হয় নানা ব্যবস্থা। এতে কোটি কোটি টাকা ব্যয় হলেও এসব ব্যবস্থা স্থায়ী হয় না। আমরা চাই, গাজীপুর জেলা, শ্রীপুর থানা, কাওরাইদ ইউনিয়ন বাপতা পূর্বপাড়া গ্রামে সুতিয়া নদীসহ দেশের অন্যান্য নদীতে সৃষ্ট ভাঙন রোধে স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]