ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে হানিফ মিয়া (৩৮) নামের এক প্রবাসীকে নৃশংস ভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। গত বুধবার রাতে উপজেলা বড়িকান্দি ইউনিয়নের নূরজাহানপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরন করেছে।এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকেই গ্রেফতার করা হয়নি।
সরেজমিনে গিয়ে জানাযায়, উপজেলার নুরজাহানপুর গ্রামের মৃত দুবরাজ মিয়ার ছেলে প্রবাসী হানিফ মিয়া বুধবার সন্ধ্যায় বাড়ী থেকে বের হওয়ার পর রাতে বাড়িতে ফিরে না আসায়, তার পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখোঁজির পরও তার কোন সন্ধান না পেয়ে, ফজরের পর আবারও হানিফ মিয়ার বোন ও মা তাকে খুঁজতে বের হলে বাড়ির সামনে একটি রক্তমাখা দা ও হানিফের একটি জুতা দেখতে পায়। পরে বাড়ির পাশের খালে হানিফের মৃতদেহ দেখতে পেয়ে চিৎকার শুরু করলে আশপাশের লোকজন জমায়েত হয়।হানিফের শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে খুন করে ডোবার পাশে ফেলে রেখে যাওয়ার পর শেয়াল কুকুরে তার হাতের মাংশ খেয়ে ফেলেছে। পরে বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করেন।
নিহতের বোন শিল্পি আক্তার জানান, আড়াই বছর আগে ওই গ্রামের ডলার ব্যবসায়ী শাকিলের নেতৃত্বে সামসুজ্জামান,সানাউল্লাহ, হানিফ মিয়ার হাত ও পায়ের রগ কেটে দিয়েছিলো। ঐ যাত্রায় হানিফ বেঁচে গেলেও এবার ডলার ব্যবসায়ী শাকিলের অর্থায়নে নুরজাহান পুর গ্রামের মাদক সম্রাট মোনাফ তার ছেলে শিপন,সুমন,রুমান এবং ভাতিজা টিপু তাদের সাথে দুজন ভাড়াটিয়াও ছিলো। ওই সন্ত্রাসীরা আমার ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করে খালের কচুরি পানার মধ্যে ফেলে গেলে শিয়াল কুকুরে কামড়িয়ে তার একটি হাতের কিছু অংশ খেয়ে ফেলে। নিহত হানিফ মিয়া দুই সন্তানের জনক ও তার স্ত্রী আট মাসের গর্ভবতী।
এ বিষয়ে নবীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মকবুল হোসেন জানান, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ জেলা সদর মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা শনাক্তের জন্য তদন্ত চলছে।